বাফারিং ইন আর্ট by নাবিলা নবী
বাস্তবতার নানান বৈচিত্রে আমাদের বসবাস। এই চারপাশের বৈচিত্র্যের অনেক
কিছুই আমাদের কাছে কখনো কখনো ধোঁয়াশা। আর এর অনেকটাই উন্মোচন হয় শিল্পীর
তুলিতে কখনো ক্যানভাসে, কখনো পেপারে।
অনেকটা প্রত্যক্ষ
আবার কিছুটা পরোক্ষ এভাবেই বহির্প্রকাশ ঘটে শিল্পীর অব্যক্ত চিন্তার
প্রসার। আর এভাবেই সম্পূর্ণ হলো ‘ইঁভভবৎরহম রহ অৎঃ ঊীরনরঃরড়হ’. গত ২২
জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের
জয়নুল গ্যালারিতে এই প্রদর্শনীর শেষ হলো। এখানে অংশগ্রহণ ছিল চারুকলা
অনুষদের কারুশিল্প বিভাগ, অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগ এবং গ্রাফিক ডিজাইন
বিভাগের চারজন শিক্ষার্থীর।
ঐতিহ্য আর এই ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত খাবার, ঘুড়ি উৎসব, অসংখ্য অলিগলির সংমিশ্রণেই যেন পুরান ঢাকা। পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর ইট-লোহও যেন তাদের ঐতিহ্য নিয়ে দৃঢ়। বাংলার প্রাচীন পুরান ঢাকার গলির রাস্তা, চায়ের দোকান, ঘুড়ি উৎসব, হাট, সদরঘাট এর সবকিছু নিয়েই যেন খেলা করেছেন এমএফএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুমুল ইবনে মাহবুব। মূলত কেরিকাচারের মাধ্যমেই শিল্পী প্রকাশ ঘটিয়েছেন তাঁর নিরক্ষণীয় মানুষ, তাদের জীবনযাত্রা। তাদের ব্যক্ত-অব্যক্ত অনুভূতি।
সংগীত, ছবি আঁকা, শিল্প, শিল্পী এর সবকিছুই উৎসস্থল যে এক তাঁরই বহির্প্রকাশ ঘটেছে শিল্পী আসিফ-উদ-দৌলা নূরের শিল্পকর্মে। মিউজিকের প্রতি তার যে ভাললাগা আর সেই ভাললাগাকে একটা কাজের ধারাতে পরিণত করার প্রয়াসই দেখা গেছে তার শিল্পকর্মে। তার চারুশিল্পকর্মে মানব প্রতিকৃতির সাথে কম্পোজিশন করা হয়েছে মিউজিক যন্ত্রপাতির যা সত্যি সত্যিই মূর্ত হয়ে উঠেছে এক ভিন্ন শিল্পকর্মের ধারা হিসাবে।
টেকচার এবং ড্রইং এই দুয়ের সংমিশ্রণে দ্রুত কিছু মুহূর্তকে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী কান্তা রহমান। রিকশা, নারী, শিল্পকর্মে কালারের খেলা এবং টেকচারের ভিন্নতা যেন দ্যোতনা যোগ করেছে তাঁর ছবি আঁকায়।
রাতের বুড়িগঙ্গা কম বেশি সবারই দেখা। কিন্তু গভীর অবলোকনের যে রেখাপাত অঙ্কন করেছেন ইশতিয়াক তালুকদার সানি তা সবাই বোধগম্য হয়ে উঠেছে ২২ জানুয়ারি প্রদর্শনী উদ্বোধন-পরবর্তী ছবি দেখার পর। রং, কম্পোজিশন ও গতিময়তার পেছনেও ছিল খুব দ্রুত বিশ্বায়নের বিস্ফোরণের আভাস। সেখানে আরও আছে গতির স্থিতিশীলতার সাথে ক্রমান্বয়ে বুড়িগঙ্গার পানির হ্রাস। শিল্পী ইশতিয়াক তালুকদারের শিল্পকর্মে আরও ব্যক্ত হয়েছে ংবষভ ভষধমবষষধঃরড়হ বা ‘আত্মনিপীড়নের’। ছোটবেলা পুরান ঢাকার আশুরায় চাবুকাঘাতের আত্মনিপীড়নের অদ্ভুত আনন্দ পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়েই শিল্পী বেড়ে উঠেছেন। কখনো কৌতূহল কখনো আগ্রহ জন্ম নিলেও সেই শৌশবের নিরীক্ষণকেই শিল্পী রেখাপাত করেছেন তার ংবষভ ভষধমবষষধঃরড়হ শিল্পকর্মে।
এছাড়াও ইশতিয়াক তালুকদারের শিল্পকর্মে প্রকাশিত হয়েছে অনেক প্রাচীন চড়কপূজার চিত্র, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলের কিছু গ্রামের হিন্দু ধর্মালম্বীদের উদযাপিত উৎসব। মূর্ত-বিমূর্ত, ব্যক্ত-অব্যক্ত এই উপলব্ধিটাই যেন শিল্পীরা প্রকাশ করেন তাদের রং-তুলির আঁচড় কাটা শিল্পকর্মের যে কোন মাধ্যম দিয়ে। তাই তো উপলব্ধি, অনুভূতি, শিল্প ও শিল্পী এই শব্দগুলোর সূচনা ও উপসংহার অভিন্ন।
ঐতিহ্য আর এই ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত খাবার, ঘুড়ি উৎসব, অসংখ্য অলিগলির সংমিশ্রণেই যেন পুরান ঢাকা। পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর ইট-লোহও যেন তাদের ঐতিহ্য নিয়ে দৃঢ়। বাংলার প্রাচীন পুরান ঢাকার গলির রাস্তা, চায়ের দোকান, ঘুড়ি উৎসব, হাট, সদরঘাট এর সবকিছু নিয়েই যেন খেলা করেছেন এমএফএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুমুল ইবনে মাহবুব। মূলত কেরিকাচারের মাধ্যমেই শিল্পী প্রকাশ ঘটিয়েছেন তাঁর নিরক্ষণীয় মানুষ, তাদের জীবনযাত্রা। তাদের ব্যক্ত-অব্যক্ত অনুভূতি।
সংগীত, ছবি আঁকা, শিল্প, শিল্পী এর সবকিছুই উৎসস্থল যে এক তাঁরই বহির্প্রকাশ ঘটেছে শিল্পী আসিফ-উদ-দৌলা নূরের শিল্পকর্মে। মিউজিকের প্রতি তার যে ভাললাগা আর সেই ভাললাগাকে একটা কাজের ধারাতে পরিণত করার প্রয়াসই দেখা গেছে তার শিল্পকর্মে। তার চারুশিল্পকর্মে মানব প্রতিকৃতির সাথে কম্পোজিশন করা হয়েছে মিউজিক যন্ত্রপাতির যা সত্যি সত্যিই মূর্ত হয়ে উঠেছে এক ভিন্ন শিল্পকর্মের ধারা হিসাবে।
টেকচার এবং ড্রইং এই দুয়ের সংমিশ্রণে দ্রুত কিছু মুহূর্তকে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী কান্তা রহমান। রিকশা, নারী, শিল্পকর্মে কালারের খেলা এবং টেকচারের ভিন্নতা যেন দ্যোতনা যোগ করেছে তাঁর ছবি আঁকায়।
রাতের বুড়িগঙ্গা কম বেশি সবারই দেখা। কিন্তু গভীর অবলোকনের যে রেখাপাত অঙ্কন করেছেন ইশতিয়াক তালুকদার সানি তা সবাই বোধগম্য হয়ে উঠেছে ২২ জানুয়ারি প্রদর্শনী উদ্বোধন-পরবর্তী ছবি দেখার পর। রং, কম্পোজিশন ও গতিময়তার পেছনেও ছিল খুব দ্রুত বিশ্বায়নের বিস্ফোরণের আভাস। সেখানে আরও আছে গতির স্থিতিশীলতার সাথে ক্রমান্বয়ে বুড়িগঙ্গার পানির হ্রাস। শিল্পী ইশতিয়াক তালুকদারের শিল্পকর্মে আরও ব্যক্ত হয়েছে ংবষভ ভষধমবষষধঃরড়হ বা ‘আত্মনিপীড়নের’। ছোটবেলা পুরান ঢাকার আশুরায় চাবুকাঘাতের আত্মনিপীড়নের অদ্ভুত আনন্দ পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়েই শিল্পী বেড়ে উঠেছেন। কখনো কৌতূহল কখনো আগ্রহ জন্ম নিলেও সেই শৌশবের নিরীক্ষণকেই শিল্পী রেখাপাত করেছেন তার ংবষভ ভষধমবষষধঃরড়হ শিল্পকর্মে।
এছাড়াও ইশতিয়াক তালুকদারের শিল্পকর্মে প্রকাশিত হয়েছে অনেক প্রাচীন চড়কপূজার চিত্র, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলের কিছু গ্রামের হিন্দু ধর্মালম্বীদের উদযাপিত উৎসব। মূর্ত-বিমূর্ত, ব্যক্ত-অব্যক্ত এই উপলব্ধিটাই যেন শিল্পীরা প্রকাশ করেন তাদের রং-তুলির আঁচড় কাটা শিল্পকর্মের যে কোন মাধ্যম দিয়ে। তাই তো উপলব্ধি, অনুভূতি, শিল্প ও শিল্পী এই শব্দগুলোর সূচনা ও উপসংহার অভিন্ন।
No comments