ফ্যাশনে ফাগুন হাওয়া by রেজা ফারুক
কুয়াশাধূসর আস্তরণ সরিয়ে নিসর্গের কোলে
ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে আলোকোজ্জ্বল রোদেলা প্রহর। শীতের কাতরতাকে
পাশে রেখে ফাল্গুনের উষ্ণতা যেন ধীরে ধীরে দৈনন্দিন জীবনধারার অলিন্দে ছায়া
ফেলছে নিবিড় আমেজে।
গাছে গাছে নতুন পত্রপল্লবের সবুজাভ
কিরণ প্রকৃতিকে দিতে শুরু করেছে বসন্ত আগমনের মুখরতার বার্তা। আর এই
বার্তাবাহকরূপে কোকিলের মধুর স্বরগুঞ্জন ঝরে পড়ছে শীতার্তবেলা-অবেলার
প্রান্ত ছাড়িয়ে। গ্রাম-গ্রামান্তর পেরিয়ে বসন্তের এই আসন্ন সময়ের ছাপ এসে
পড়তে শুরু করেছে নগরজীবনে। অনুরণিত হচ্ছে জীবনের ছন্দ-অনুছন্দে বসন্তের
মনোহর আবেশ। ধূলিধূসর শীতের ঝাপসা ক্ষণ ফুরিয়ে এসে ফ্ল্যাটবাড়ির কার্নিশে
কার্নিশে খয়েরি শালিকের মতো পালক ছড়িয়ে বসার উদ্যোগ নিয়েছে ঋতুরাজ বসন্তের
মায়াবি-মাধবী ফোটা দিনের উষ্ণীষ।
বৃক্ষ চূড়োয় শিস দিয়ে যাচ্ছে ভোরের টুনটুনি। পাখিদের শীতে আচ্ছন্ন ডানাগুলো বাসন্তী আবহে ইতোমধ্যে ঝলমল করতে শুরু করেছে। যার ছোঁয়া লেগেছে জনজীবনেও। যে জীবন এই ক’দিন আগেও ছিল স্যুট-ব্লেজার, জাম্পার, স্যুয়েটার, মাফলার, গলাবন্ধ, কার্ডিগান, শাল-চাদরে আবৃত; সে জীবন এখন হলুদ বসন্তের মৃদুমন্দ হাওয়ায় যেন ক্রমে উষ্ণ আর উন্মীলিত হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। ঋতুবৈচিত্র্যম-িত বাংলার যে মৌলিক বৈশিষ্ট্য তার অন্যতম বিষয় হলোÑপ্রতি ঋতুতে নৈসর্গিকতায় আসা নিবিড় পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের ছাপ অত্যন্ত গভীরভাবে আন্দোলিত করে প্রাত্যহিক জীবনাচারকে। যার প্রতিচ্ছাপ পড়ে জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গে। এবং এর প্রধান অনুষঙ্গ হলো পরিধেয় বস্ত্র তথা পোশাকপরিচ্ছদ। দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য এই অনুষঙ্গটি এখন আর শুধু প্রয়োজনের মাত্রার সীমায় সীমাবদ্ধ নেই। নিত্য প্রয়োজনের রেখা অতিক্রম করে পোশাক এখন ফ্যাশনেবল কনসেপশন মর্মে ধারণ করে মেলে দিয়েছে তার উজ্জ্বল রেশমী পালক।
শীতের ফুরিয়ে আসা শিশিরস্নাত প্রহরকে বুক পকেটে তুলে রেখে ঝনাৎকার শব্দে নতুন কাঁচা-পয়সার মতো বসন্ত এখন যেন সমগ্র প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষায়। কিন্তু প্রকৃতি ক্যানভাসে বসন্তের রূপ ও রঙের তুলির টানে অপূর্ব, ঋতুর আগমনকে অভিনন্দিত করার তোড়জোড় ইতোমধ্যে সূচিত হয়ে গেছে। একইভাবে ফাল্গুনের গুঞ্জরিত আনন্দঘন রৌদ্রময় ইমেজ গহন মুখরতা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ফ্যাশন ভুবনের পল-অনুপলে।
বসন্ত ঋতু মানেই একটা অন্যরকম আবেদন। ভিন্ন রকম এক অনুভূতি মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে বসন্তে হিল্লোলিত হয়। শীতের মলাট খসে পড়তে পড়তে জীবনের প্রতিটি পঙক্তিতে যেন কবিতার শব্দমধুর এক অনুরণন স্পন্দিত হয় এই বসন্তে। মন কেমন করা, উন্মনা, উদাস হয়ে যাওয়া বসন্তকে যেন সবার মধ্যেই থাকে একটা অভিবাদন জানাতে আগাম প্রস্তুতি। যে প্রস্তুতির স্পর্শ ইতোমধ্যে দেশীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, ফতুয়া, টি-শার্ট, শার্টসহ ফ্যাশন ধারার সব পোশাকেই উন্মোচিত হয়েছে। বসন্তের এই বাক্সময় উজ্জ্বলের নির্জন কিন্তু গুঞ্জরতাশীল বাসন্তীমুগ্ধ রঙিন নিসর্গকে বরণের শব্দ যেন এরইমধ্যে নগরজীবনের মুহূর্তগুলোকে উন্মুখ করে তুলেছে।
আর ক’দিন বাদেই প্রকৃতির সবুজ দরোজার ভোরবেলা বাজিয়ে এসে নিসর্গের বসার ঘরে জড়ির ঘাগড়া ছড়িয়ে বসবে বর্ণোজ্জ্বল-ঋতুরাজ বসন্ত। তার আগেই বাঙালীর জীবনের এক অনন্য গাথা, সাংস্কৃতিক ধারার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি। বইপ্রেমী, শিল্পমনা এবং দেশীয় পোশাকের প্রতি আকণ্ঠ আগ্রহী মানুষের প্রাণখোলা আনন্দের ধারায় সিক্ত মন নিয়ে কবি, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, পাঠকদের এক মহামিলন ঘটবে বাংলা একাডেমী চত্বরে। যাদের অবয়বে শোভা পাবে বাঙালী সংস্কৃতিসমৃদ্ধ দেশীয় মোটিফে তৈরি পোশাক। যে পোশাকের বুকজুড়ে আলো ছড়াবে হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতির প্রতিবিম্ব, লোকজ-গ্রামীণ পটভূমির অজস্র চিত্রময়তা। প্রিয় কবিতার পঙক্তি রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ, লালন এবং বঙ্গবন্ধুসহ জগৎবিখ্যাত মনীষীদের মুখাবয়ব।
শোভিত হবে ‘৭১-এর বীরত্বগাথা। মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসী প্রতিকৃতি, নদী, নৌকা, বৃক্ষ, ফসলের মাঠ, চাষী, কৃষাণীসহ বাঙালী সত্তার নানা রূপ। বিচিত্র রঙে আঁকা পোশাকের বুক হয়ে উঠবে একেকটি ক্যানভাস। বসন্ত যেন সকল ঋতুকে এনে ষড়ঋতুর মোহনায় বইয়ে দিয়ে যাবে। ছয়টি রঙের ছয়টি প্রবহমান ধারা যেন ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি। ভিন্ন ভিন্ন আমেজ অঙ্কিত হয়ে বাঙালীর জীবনবোধ, বাঙালীর চেতনা, বাঙালীর চিরায়ত-চিরন্তন ছবিটার মধ্য দিয়ে অনাদিকাল ধরে বয়ে চলেছে নিরবধি। ফ্যাশন জগতেও পড়েছে যার গভীর প্রভাব।
সুতোয় বোনা রুমালের ভাঁজে ভাঁজে হেম শিখার মতো জেগে ওঠা বসন্তের আলাপনে আবহমান বাংলার রূপসুধা যে স্পন্দনে উৎসারিত হয় তা যেন এক চিরকালীন ভাললাগারই প্রতিরূপ। নিবিড় সুরমূর্ছনা নিয়ে আসে বসন্ত। যে সুরের মোহনীয়তায় মুগ্ধ হয়ে ওঠে সারা বাংলা।
বাংলার নারী ও পুরুষ। প্রবল কাব্যিকতায় ভিজে যায় হৃদয়। যার ছবি ভেসে ওঠে জীবনের প্রতিটি প্রাসঙ্গিকতায়। বিশেষ করে বাংলার সব বয়সী নারীর মধ্যে এর স্ফুরণ ঘটে অন্য এক প্রাণাবেগে। গাঁদাফুল আর রজনীগন্ধার ঐশ্বর্যেভরে ওঠে মায়াবি খোঁপা। আর চারদিকে শুরু হয় বসন্ত উৎসব। যে উৎসবকে ঘিরে ফ্যাশনেবল পোশাকের আবেদনটাও ফুটে ওঠে পরিবেশগত কারণে।
শীতের হিমেল হাওয়া উত্তরে মিলিয়ে যেতে না যেতেই দখিনা হাওয়া এসে লুটিয়ে পড়বে বাসন্তী প্রহরের খোলা ব্যালকনিতে। ফুলেল নিসর্গের সান্নিধ্যে যখন ব্যস্ত জীবন অভিসিক্ত হবে তখনই বলবে মন একটু দাঁড়াও। থমকে থাকা রোদের ড্রয়ার থেকে খুঁজে নেবে সিল্কের বসন্ত সকাল। উঠোনের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা কাঠগোলাপের চারায় ফোটা ফুলের ব্যাকুল গন্ধে অন্তর যেই হয়ে উঠবে তুমুল ফুরফুরে তখনই খিড়কির জানালার পাশে এসে বসবে প্রিয় কোন ছায়ার গোলাপ। থেমে থেমে অন্দরমহল থেকে ভেসে আসবে মৃদুলয়ে গ্রামোফোন রেকর্ডে বেজেওঠা বসন্তের গান। আর প্রাণে জেগে উঠবে দূর বনের কোন গাছের শাখায় বসা কোকিলের হিল্লোলিত নরম কুহুতান।
ছবি : আরিফ আহমেদ
মডেল : লিটু আনাম, হৃদি
হক ও নন্দিনী
বৃক্ষ চূড়োয় শিস দিয়ে যাচ্ছে ভোরের টুনটুনি। পাখিদের শীতে আচ্ছন্ন ডানাগুলো বাসন্তী আবহে ইতোমধ্যে ঝলমল করতে শুরু করেছে। যার ছোঁয়া লেগেছে জনজীবনেও। যে জীবন এই ক’দিন আগেও ছিল স্যুট-ব্লেজার, জাম্পার, স্যুয়েটার, মাফলার, গলাবন্ধ, কার্ডিগান, শাল-চাদরে আবৃত; সে জীবন এখন হলুদ বসন্তের মৃদুমন্দ হাওয়ায় যেন ক্রমে উষ্ণ আর উন্মীলিত হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। ঋতুবৈচিত্র্যম-িত বাংলার যে মৌলিক বৈশিষ্ট্য তার অন্যতম বিষয় হলোÑপ্রতি ঋতুতে নৈসর্গিকতায় আসা নিবিড় পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের ছাপ অত্যন্ত গভীরভাবে আন্দোলিত করে প্রাত্যহিক জীবনাচারকে। যার প্রতিচ্ছাপ পড়ে জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গে। এবং এর প্রধান অনুষঙ্গ হলো পরিধেয় বস্ত্র তথা পোশাকপরিচ্ছদ। দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য এই অনুষঙ্গটি এখন আর শুধু প্রয়োজনের মাত্রার সীমায় সীমাবদ্ধ নেই। নিত্য প্রয়োজনের রেখা অতিক্রম করে পোশাক এখন ফ্যাশনেবল কনসেপশন মর্মে ধারণ করে মেলে দিয়েছে তার উজ্জ্বল রেশমী পালক।
শীতের ফুরিয়ে আসা শিশিরস্নাত প্রহরকে বুক পকেটে তুলে রেখে ঝনাৎকার শব্দে নতুন কাঁচা-পয়সার মতো বসন্ত এখন যেন সমগ্র প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষায়। কিন্তু প্রকৃতি ক্যানভাসে বসন্তের রূপ ও রঙের তুলির টানে অপূর্ব, ঋতুর আগমনকে অভিনন্দিত করার তোড়জোড় ইতোমধ্যে সূচিত হয়ে গেছে। একইভাবে ফাল্গুনের গুঞ্জরিত আনন্দঘন রৌদ্রময় ইমেজ গহন মুখরতা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ফ্যাশন ভুবনের পল-অনুপলে।
বসন্ত ঋতু মানেই একটা অন্যরকম আবেদন। ভিন্ন রকম এক অনুভূতি মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে বসন্তে হিল্লোলিত হয়। শীতের মলাট খসে পড়তে পড়তে জীবনের প্রতিটি পঙক্তিতে যেন কবিতার শব্দমধুর এক অনুরণন স্পন্দিত হয় এই বসন্তে। মন কেমন করা, উন্মনা, উদাস হয়ে যাওয়া বসন্তকে যেন সবার মধ্যেই থাকে একটা অভিবাদন জানাতে আগাম প্রস্তুতি। যে প্রস্তুতির স্পর্শ ইতোমধ্যে দেশীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, ফতুয়া, টি-শার্ট, শার্টসহ ফ্যাশন ধারার সব পোশাকেই উন্মোচিত হয়েছে। বসন্তের এই বাক্সময় উজ্জ্বলের নির্জন কিন্তু গুঞ্জরতাশীল বাসন্তীমুগ্ধ রঙিন নিসর্গকে বরণের শব্দ যেন এরইমধ্যে নগরজীবনের মুহূর্তগুলোকে উন্মুখ করে তুলেছে।
আর ক’দিন বাদেই প্রকৃতির সবুজ দরোজার ভোরবেলা বাজিয়ে এসে নিসর্গের বসার ঘরে জড়ির ঘাগড়া ছড়িয়ে বসবে বর্ণোজ্জ্বল-ঋতুরাজ বসন্ত। তার আগেই বাঙালীর জীবনের এক অনন্য গাথা, সাংস্কৃতিক ধারার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি। বইপ্রেমী, শিল্পমনা এবং দেশীয় পোশাকের প্রতি আকণ্ঠ আগ্রহী মানুষের প্রাণখোলা আনন্দের ধারায় সিক্ত মন নিয়ে কবি, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, পাঠকদের এক মহামিলন ঘটবে বাংলা একাডেমী চত্বরে। যাদের অবয়বে শোভা পাবে বাঙালী সংস্কৃতিসমৃদ্ধ দেশীয় মোটিফে তৈরি পোশাক। যে পোশাকের বুকজুড়ে আলো ছড়াবে হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতির প্রতিবিম্ব, লোকজ-গ্রামীণ পটভূমির অজস্র চিত্রময়তা। প্রিয় কবিতার পঙক্তি রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ, লালন এবং বঙ্গবন্ধুসহ জগৎবিখ্যাত মনীষীদের মুখাবয়ব।
শোভিত হবে ‘৭১-এর বীরত্বগাথা। মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসী প্রতিকৃতি, নদী, নৌকা, বৃক্ষ, ফসলের মাঠ, চাষী, কৃষাণীসহ বাঙালী সত্তার নানা রূপ। বিচিত্র রঙে আঁকা পোশাকের বুক হয়ে উঠবে একেকটি ক্যানভাস। বসন্ত যেন সকল ঋতুকে এনে ষড়ঋতুর মোহনায় বইয়ে দিয়ে যাবে। ছয়টি রঙের ছয়টি প্রবহমান ধারা যেন ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি। ভিন্ন ভিন্ন আমেজ অঙ্কিত হয়ে বাঙালীর জীবনবোধ, বাঙালীর চেতনা, বাঙালীর চিরায়ত-চিরন্তন ছবিটার মধ্য দিয়ে অনাদিকাল ধরে বয়ে চলেছে নিরবধি। ফ্যাশন জগতেও পড়েছে যার গভীর প্রভাব।
সুতোয় বোনা রুমালের ভাঁজে ভাঁজে হেম শিখার মতো জেগে ওঠা বসন্তের আলাপনে আবহমান বাংলার রূপসুধা যে স্পন্দনে উৎসারিত হয় তা যেন এক চিরকালীন ভাললাগারই প্রতিরূপ। নিবিড় সুরমূর্ছনা নিয়ে আসে বসন্ত। যে সুরের মোহনীয়তায় মুগ্ধ হয়ে ওঠে সারা বাংলা।
বাংলার নারী ও পুরুষ। প্রবল কাব্যিকতায় ভিজে যায় হৃদয়। যার ছবি ভেসে ওঠে জীবনের প্রতিটি প্রাসঙ্গিকতায়। বিশেষ করে বাংলার সব বয়সী নারীর মধ্যে এর স্ফুরণ ঘটে অন্য এক প্রাণাবেগে। গাঁদাফুল আর রজনীগন্ধার ঐশ্বর্যেভরে ওঠে মায়াবি খোঁপা। আর চারদিকে শুরু হয় বসন্ত উৎসব। যে উৎসবকে ঘিরে ফ্যাশনেবল পোশাকের আবেদনটাও ফুটে ওঠে পরিবেশগত কারণে।
শীতের হিমেল হাওয়া উত্তরে মিলিয়ে যেতে না যেতেই দখিনা হাওয়া এসে লুটিয়ে পড়বে বাসন্তী প্রহরের খোলা ব্যালকনিতে। ফুলেল নিসর্গের সান্নিধ্যে যখন ব্যস্ত জীবন অভিসিক্ত হবে তখনই বলবে মন একটু দাঁড়াও। থমকে থাকা রোদের ড্রয়ার থেকে খুঁজে নেবে সিল্কের বসন্ত সকাল। উঠোনের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা কাঠগোলাপের চারায় ফোটা ফুলের ব্যাকুল গন্ধে অন্তর যেই হয়ে উঠবে তুমুল ফুরফুরে তখনই খিড়কির জানালার পাশে এসে বসবে প্রিয় কোন ছায়ার গোলাপ। থেমে থেমে অন্দরমহল থেকে ভেসে আসবে মৃদুলয়ে গ্রামোফোন রেকর্ডে বেজেওঠা বসন্তের গান। আর প্রাণে জেগে উঠবে দূর বনের কোন গাছের শাখায় বসা কোকিলের হিল্লোলিত নরম কুহুতান।
ছবি : আরিফ আহমেদ
মডেল : লিটু আনাম, হৃদি
হক ও নন্দিনী
No comments