খবর শুধু খবর নয় by নিয়ামত হোসেন
চীনের এক ব্যক্তি গত দু'বছর ধরে ঘাস এবং
বিভিন্ন গাছের পাতা খাচ্ছেন। তাতে তিনি বেশ ভাল আছেন। আগে তাঁর অসুখ বিসুখ
লেগেই থাকত, এখন ওসব কিছু নেই।
শরীর স্বাস্থ্য তাঁর এখন
বেশ ভাল। প্রকাশিত এক খবরে এই তথ্য জানা গেল। আরও জানা গেল, চীনের গুয়াংডং
প্রদেশের এক গ্রামের ঐ লোকটি বলেছেন টিভির এক অনুষ্ঠানে তিনি জানতে পারেন
এক ব্যক্তি শুধু পানি খেয়ে বেশ কয়েকদিন দিব্যি কাটিয়ে দেন। সেই থেকে তাঁর
মনে হয় প্রচলিত খাবার না খেয়ে তিনি অন্য কোন খাবার খেয়ে তিনিও বাঁচতে
পারবেন। এই চিন্তাতেই শুরু হয় ঘাস ও পাতা খাওয়া। সেই থেকে দু'বছর দিব্যি
আছেন তিনি।
কবি কুমারেশ তোবের একটি ব্যঙ্গ কবিতার কথা মনে পড়েছে তিনি লিখেছিলেন ঘাস খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে। মাননীয় ভদ্র মহিলা এবং ভদ্র মহোদয়গণ, এবং এ পাড়ায় যাঁদের বাস, তাঁরা আজ থেকে খাওয়া শুরু করুন ঘাস ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘাসে কি কি উপাদান আছে, কোন ভিটামিন আছে, গরুরা ঘাস খেয়ে বেশ মোটাতাজা হয় ইত্যাদি নানা বর্ণনা রয়েছে ওতে। বাংলা ভাষায় ঐ হাসির কবিতাটি চীনের ঐ ঘাসখেকোর পড়ার কথা নয়। পড়লে বোঝা যেত হয়ত ওটা তাঁকে ঘাস খেতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
যাই হোক, খবরে জানা গেল চীনা ঐ ভদ্রলোক এখন সুস্থই আছেন। তবে যদি কখনও উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা ভেটেরিনারি ডাক্তারকে খবর দেবেন কিনা কে জানে!
পুরনো 'জুতা আবিষ্কার!'
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে সম্প্রতি পুরনো জুতোর এক প্রদর্শনী হয়ে গেল। আসলে জুতোগুলো পুরনোও নয়, আর ওটা ঠিক প্রদর্শনীও ছিল না। ওগুলো চুরি হয়ে যাওয়া জুতো। পুলিশ জুতোচোরকে পাকড়াও করে চুরি হয়ে যাওয়া জুতো উদ্ধার করে সিউলের একটি মাঠে সেগুলোকে সাজিয়ে রেখে জুতোর মালিকদের নিজেদের চুরি হওয়া জুতো খুঁজে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পুলিশ সেদিন ঐ মাঠে বারো শ' জোড়া দামী জুতো সাজিয়ে রাখে এবং পুলিশের এই ঘোষণা শুনে জুতো হারানো শত শত মানুষ সেখানে হারানো জুতোর খোঁজে হাজির হয়। তারপর বহুজনই তাঁর হারানো জুতো ফিরে পেয়ে হাসিমুখে বাড়িতে ফিরে যান।
প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, সিউলে নানা অনুষ্ঠানে, সমাবেশে, জমায়েতে সাধারণত বহু লোক উপস্থিত হন। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলে লোক সমাগম হয়। অনুষ্ঠান যে ঘরে বা হলে হয় লোকজন জুতো বাইরে খুলে রেখে ভেতরে ঢোকেন। পরে অনেকে বেরিয়ে দেখেন তাঁর দামী জুতো জোড়া নেই, কে যেন নিয়ে গেছে। এমনি ঘটনা ঘটে থাকে বহু অনুষ্ঠানে। পুলিশের কাছে বহু অভিযোগ আসতে থাকে। পুলিশ অনেকদিন ধরে এর কোন কিনারা করতে না পেরে সম্প্রতি এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে গোপনে দেখতে থাকে কী হয়। একসময় পুলিশ দেখতে পায়, এক ব্যক্তি সাধারণ একটা কম দামী জুতো পরে অনুষ্ঠানে এলো, তারপর বাইরে জুতো খুলে ভেতরে গেল। অল্প কিছুক্ষণ পরেই সেই লোকটি বাইরে বেরিয়ে এলো নিজের ছেঁড়া নোংরা জুতো রেখে সেখানে রাখা দামী এক জোড়া জুতো পরে হাঁটা দিল। টের পেয়ে পুলিশও নিল লোকটির পিছু। তারপর যেতে যেতে এক গুদামের মতো ঘরে পুলিশ আবিষ্কার করল যেন জুতোর পাহাড়। শত শত দামী জুতো। লোকটি এভাবেই জুতো সংগ্রহ করে এবং তার গোপন ঘরে জমা করে। পরে সেগুলো ঝেড়ে মুছে নিজের একটা জুতোর দোকানে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করে। এভাবেই ধরা পড়ল জুতো চোর। পাওয়া গেল শত শত জোড়া হারানো জুতো। সেখানকার পুলিশের চুরি হয়ে যাওয়া জুতোর পাহাড় আবিষ্কারের ঘটনাটি সেখানে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি করে।
আমরা হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীর 'জুতা আবিষ্কার'-এর সেই অনন্য কাহিনীটি জানি। সেটাও খুব কৌতূহলোদ্দীপক। সিউলের এই হারানো জুতোর গুদাম আবিষ্কারের ঘটনাটিও কম চমকপ্রদ নয়। তবে এখানে আমাদের স্বদেশেও যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে সে কথা অনেকেরই জানা। নানা অনুষ্ঠানে এখানেও জুতো চুরির ঘটনা ঘটছে বলে এ ধরনের কোন কোন অনুষ্ঠানে জুতো খুলে নিজের কাছে রাখার জন্য একটি করে পলিথিন ব্যাগ দেয়া হয়। ব্যবস্থাটি ভাল। যেখানে এ ধরনের ব্যাগ দেয়া হয় না সেখানে জুতো চোররা অনেক জুতো নিমেষে লোপাট করে দেয়।
গাছ কাটার উচিত জরিমানা!
ভারতের রাজধানী দিল্লীতে কেউ কোন গাছ কাটলে তাকে এখন সে দেশের ২৮ হাজার টাকা সরকারী ঘরে জমা দিতে হবে এবং কাটার স্থানে লাগাতে হবে ৫টি চারা। আগে নিয়ম করা হয়েছিল কেউ একটা গাছ কাটলে তাকে সেখানে ১০টা চারা লাগাতে হবে এবং সরকারকে এক হাজার টাকা দিতে হবে। নতুন নিয়মে টাকার পরিমাণ ২৮ গুণ বাড়িয়ে ২৮ হাজার করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে এই টাকা দিয়ে গাছ কেটে সেখানে ৫টি চারা লাগালে জমা দেয়ার টাকার অর্ধেক ফেরত দেয়া হবে এবং বাকি যে অর্ধেক অর্থ সরকারের কাছে থেকে যাবে সেই ১৪ হাজার টাকা খরচ করে বন বিভাগ গাছ কাটার স্থানে ৫টি চারা রোপণ করবে। বোঝাই যাচ্ছে, পরিবেশ বাঁচাতে এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গাছাপালা রক্ষা তথা পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে যে কোন উদ্যোগ তা সে যে দেশই নিক না কেন, আজকের দুনিয়ার সব মানুষ তার প্রশংসা করবে এতে সন্দেহ নেই।
গাছ ধ্বংসের ব্যাপারে আমরা যে দুনিয়ার অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি এটা কি অস্বীকার করা যাবে? আমাদের শহর হোক, গ্রাম হোক বা বন জঙ্গলই হোক, বছরের পর বছর ধরে আমরা গাছ কেটে কেটে সবুজ এলাকার পরিমাণ ভয়ঙ্করভাবে কমিয়ে ফেলেছি। ছোট বড় অনেক বনের গাছ ধ্বংস করেছি, অনেক ঘন বনকে প্রায় ন্যাড়া করে ছেড়েছি! কয়েক দীর্ঘ্যকাল ধরে এটা চলছে। সে সময় থেকে কাটা গাছপ্রতি যদি সামান্য কয়েকটা টাকা করেও জরিমানা নেয়া হতো, তাহলে তা দিয়ে বহু আগে টাকার কয়েকটা পাহাড় তৈরি হয়ে যেত!
কবি কুমারেশ তোবের একটি ব্যঙ্গ কবিতার কথা মনে পড়েছে তিনি লিখেছিলেন ঘাস খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে। মাননীয় ভদ্র মহিলা এবং ভদ্র মহোদয়গণ, এবং এ পাড়ায় যাঁদের বাস, তাঁরা আজ থেকে খাওয়া শুরু করুন ঘাস ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘাসে কি কি উপাদান আছে, কোন ভিটামিন আছে, গরুরা ঘাস খেয়ে বেশ মোটাতাজা হয় ইত্যাদি নানা বর্ণনা রয়েছে ওতে। বাংলা ভাষায় ঐ হাসির কবিতাটি চীনের ঐ ঘাসখেকোর পড়ার কথা নয়। পড়লে বোঝা যেত হয়ত ওটা তাঁকে ঘাস খেতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
যাই হোক, খবরে জানা গেল চীনা ঐ ভদ্রলোক এখন সুস্থই আছেন। তবে যদি কখনও উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা ভেটেরিনারি ডাক্তারকে খবর দেবেন কিনা কে জানে!
পুরনো 'জুতা আবিষ্কার!'
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে সম্প্রতি পুরনো জুতোর এক প্রদর্শনী হয়ে গেল। আসলে জুতোগুলো পুরনোও নয়, আর ওটা ঠিক প্রদর্শনীও ছিল না। ওগুলো চুরি হয়ে যাওয়া জুতো। পুলিশ জুতোচোরকে পাকড়াও করে চুরি হয়ে যাওয়া জুতো উদ্ধার করে সিউলের একটি মাঠে সেগুলোকে সাজিয়ে রেখে জুতোর মালিকদের নিজেদের চুরি হওয়া জুতো খুঁজে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পুলিশ সেদিন ঐ মাঠে বারো শ' জোড়া দামী জুতো সাজিয়ে রাখে এবং পুলিশের এই ঘোষণা শুনে জুতো হারানো শত শত মানুষ সেখানে হারানো জুতোর খোঁজে হাজির হয়। তারপর বহুজনই তাঁর হারানো জুতো ফিরে পেয়ে হাসিমুখে বাড়িতে ফিরে যান।
প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, সিউলে নানা অনুষ্ঠানে, সমাবেশে, জমায়েতে সাধারণত বহু লোক উপস্থিত হন। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলে লোক সমাগম হয়। অনুষ্ঠান যে ঘরে বা হলে হয় লোকজন জুতো বাইরে খুলে রেখে ভেতরে ঢোকেন। পরে অনেকে বেরিয়ে দেখেন তাঁর দামী জুতো জোড়া নেই, কে যেন নিয়ে গেছে। এমনি ঘটনা ঘটে থাকে বহু অনুষ্ঠানে। পুলিশের কাছে বহু অভিযোগ আসতে থাকে। পুলিশ অনেকদিন ধরে এর কোন কিনারা করতে না পেরে সম্প্রতি এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে গোপনে দেখতে থাকে কী হয়। একসময় পুলিশ দেখতে পায়, এক ব্যক্তি সাধারণ একটা কম দামী জুতো পরে অনুষ্ঠানে এলো, তারপর বাইরে জুতো খুলে ভেতরে গেল। অল্প কিছুক্ষণ পরেই সেই লোকটি বাইরে বেরিয়ে এলো নিজের ছেঁড়া নোংরা জুতো রেখে সেখানে রাখা দামী এক জোড়া জুতো পরে হাঁটা দিল। টের পেয়ে পুলিশও নিল লোকটির পিছু। তারপর যেতে যেতে এক গুদামের মতো ঘরে পুলিশ আবিষ্কার করল যেন জুতোর পাহাড়। শত শত দামী জুতো। লোকটি এভাবেই জুতো সংগ্রহ করে এবং তার গোপন ঘরে জমা করে। পরে সেগুলো ঝেড়ে মুছে নিজের একটা জুতোর দোকানে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করে। এভাবেই ধরা পড়ল জুতো চোর। পাওয়া গেল শত শত জোড়া হারানো জুতো। সেখানকার পুলিশের চুরি হয়ে যাওয়া জুতোর পাহাড় আবিষ্কারের ঘটনাটি সেখানে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি করে।
আমরা হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীর 'জুতা আবিষ্কার'-এর সেই অনন্য কাহিনীটি জানি। সেটাও খুব কৌতূহলোদ্দীপক। সিউলের এই হারানো জুতোর গুদাম আবিষ্কারের ঘটনাটিও কম চমকপ্রদ নয়। তবে এখানে আমাদের স্বদেশেও যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে সে কথা অনেকেরই জানা। নানা অনুষ্ঠানে এখানেও জুতো চুরির ঘটনা ঘটছে বলে এ ধরনের কোন কোন অনুষ্ঠানে জুতো খুলে নিজের কাছে রাখার জন্য একটি করে পলিথিন ব্যাগ দেয়া হয়। ব্যবস্থাটি ভাল। যেখানে এ ধরনের ব্যাগ দেয়া হয় না সেখানে জুতো চোররা অনেক জুতো নিমেষে লোপাট করে দেয়।
গাছ কাটার উচিত জরিমানা!
ভারতের রাজধানী দিল্লীতে কেউ কোন গাছ কাটলে তাকে এখন সে দেশের ২৮ হাজার টাকা সরকারী ঘরে জমা দিতে হবে এবং কাটার স্থানে লাগাতে হবে ৫টি চারা। আগে নিয়ম করা হয়েছিল কেউ একটা গাছ কাটলে তাকে সেখানে ১০টা চারা লাগাতে হবে এবং সরকারকে এক হাজার টাকা দিতে হবে। নতুন নিয়মে টাকার পরিমাণ ২৮ গুণ বাড়িয়ে ২৮ হাজার করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে এই টাকা দিয়ে গাছ কেটে সেখানে ৫টি চারা লাগালে জমা দেয়ার টাকার অর্ধেক ফেরত দেয়া হবে এবং বাকি যে অর্ধেক অর্থ সরকারের কাছে থেকে যাবে সেই ১৪ হাজার টাকা খরচ করে বন বিভাগ গাছ কাটার স্থানে ৫টি চারা রোপণ করবে। বোঝাই যাচ্ছে, পরিবেশ বাঁচাতে এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গাছাপালা রক্ষা তথা পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে যে কোন উদ্যোগ তা সে যে দেশই নিক না কেন, আজকের দুনিয়ার সব মানুষ তার প্রশংসা করবে এতে সন্দেহ নেই।
গাছ ধ্বংসের ব্যাপারে আমরা যে দুনিয়ার অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি এটা কি অস্বীকার করা যাবে? আমাদের শহর হোক, গ্রাম হোক বা বন জঙ্গলই হোক, বছরের পর বছর ধরে আমরা গাছ কেটে কেটে সবুজ এলাকার পরিমাণ ভয়ঙ্করভাবে কমিয়ে ফেলেছি। ছোট বড় অনেক বনের গাছ ধ্বংস করেছি, অনেক ঘন বনকে প্রায় ন্যাড়া করে ছেড়েছি! কয়েক দীর্ঘ্যকাল ধরে এটা চলছে। সে সময় থেকে কাটা গাছপ্রতি যদি সামান্য কয়েকটা টাকা করেও জরিমানা নেয়া হতো, তাহলে তা দিয়ে বহু আগে টাকার কয়েকটা পাহাড় তৈরি হয়ে যেত!
No comments