সংলাপ চাই সংলাপ by মোশাররফ বাবলু ও পাভেল হায়দার চৌধুরী
রাজনৈতিক সংকট কাটাতে আলোচনার বিকল্প নেই। নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি আলোচনার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে সব মহল থেকেই। বড় দুই দলের নেতারাও এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছেন না।
তবে এখন পর্যন্ত আলোচনা বা সংলাপের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের সাফ কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফেরার পথ বন্ধ। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো সম্পর্কে ভিন্ন কোনো চিন্তা থাকলে তা নিয়ে সংসদে গিয়ে প্রস্তাব দিতে পারে বিরোধী দল। সরকার এ ব্যাপারে আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু বিএনপির অবস্থান এর বিপরীতে। বিএনপির দাবি, যে নামেই হোক, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সরকার রাজি থাকলে সংসদ কিংবা সংসদের বাইরে আলোচনায় তারা রাজি।
দুই দলের এই বিপরীতমুখী অবস্থানের পরিণতিস্বরূপ আরেকটি 'এক-এগারোর' সৃষ্টি হতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকেই আলোচনায় বসে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করার জন্য সব দিক থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি কূটনীতিক, দেশের ব্যবসায়ী মহল, সুধী সমাজ এমনকি সাধারণ মানুষ- সবার মুখেই তাই সংলাপের তাগিদ।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। আনুষ্ঠানিক আলোচনাও হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ অবশ্য কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আশরাফের এ বক্তব্য সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।' অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'কোথাও না কোথাও দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে।' আরো স্পষ্ট করে তিনি বলেন, সংসদ লবিতে, বিভিন্ন পার্টিতে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সেখানে খোশগল্প নয়, রাজনৈতিক আলোচনাই চলছে।
আলোচনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা তো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চাই না। আমরা কেনো আলোচনার প্রস্তাব দেব? বিরোধী দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁরা সংসদে আসবেন, প্রস্তাব করবেন, আলোচনা হবে। সেখানে আলোচনা হলে দেশ দেখবে, বিশ্ব দেখবে।' তিনি অবশ্য বলেন, আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় এবং এ জন্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের এখন একটাই ফর্মুলা তা হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' নামটি যদি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে 'নির্বাচনকালীন সরকার' কিংবা 'কেয়ারটেকার সরকার' নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে যে নামেই হোক নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে না হলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিলে সংসদে কিংবা সংসদের বাইরে যেকোনো স্থানে আলোচনা হতে পারে।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নিলে সংলাপ ও নির্বাচনের জন্য অমরা প্রস্তুত। আমরা আগেই বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বয়কট করা হবে।' তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের সংলাপ কিংবা আলোচনা হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ আলোচনা চায়। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ রয়েছে। কারণ সংলাপ হলো গণতন্ত্রের ভাষা। সংলাপ করতে সরকার ব্যর্থ হলে সারা দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি শুরু হবে। দেশ এক অনিশ্চয়তার পথে চলে যাবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে। গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন। বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ- যে নামেই হোক না কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল করা। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।'
ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আলোচনার কার্যকর উদ্যোগ এখনো নেই। তবে রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আলোচনা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁদের দাবি, আলোচনা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যা বলছেন এবং এর সূত্র ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন যে পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন তা আলোচনারই অংশ। এর মধ্য দিয়েই আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, দেশীয় রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ চলছে। এরই অংশ হিসেবে রাজনীতিতে চলমান সংকট নিরসনের জন্য দুই দলের ওপরই চাপ বাড়ছে। তাই নানাভাবে আলোচনার ইস্যু সামনে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতা আরো বলেন, 'সৈয়দ আশরাফ যে বলেছেন আলোচনা চলছে, তা একদমই ফেলনা কোনো বক্তব্য নয়। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে, দূতাবাসগুলোর নিমন্ত্রণে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে আসলেই কথা হয়। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাও বলছেন, তাঁর ধারণা দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা চলছে।'
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার আন্তরিকতা ছাড়া কোনো আলোচনাই ফলপ্রসূ হবে না। এর আগেও নানা সময়ে রাজনৈতিক সংকটে বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ হয়েছে। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শওকত আরা এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া খোলা মন নিয়ে বসলেই কেবল এ সমস্যার সমাধান হবে। রাজনৈতিক নিয়মকানুন পালন করতে হবে। শেখ হাসিনা যাদি মনে করেন- আমি আওয়ামী লীগ করি, আমি কেন ছাড় দেব; খালেদা জিয়াও যদি একই কথা মনে করেন- তিনি বিএনপির প্রধান, তিনি কেন ছাড় দেবেন- তাহলে হবে না। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিরাজমান। সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোকেই একসঙ্গে বসতে হবে।'
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিয়াস করিম বলেন, দুই দলের রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি। আলোচনা নিয়ে দুই দলের বিভিন্ন বক্তব্য সমঝোতার ইঙ্গিত বহন করে না। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য পেলেই কেবল আলোচনা ফলপ্রসূ হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাফ কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফেরার পথ বন্ধ। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো সম্পর্কে ভিন্ন কোনো চিন্তা থাকলে তা নিয়ে সংসদে গিয়ে প্রস্তাব দিতে পারে বিরোধী দল। সরকার এ ব্যাপারে আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু বিএনপির অবস্থান এর বিপরীতে। বিএনপির দাবি, যে নামেই হোক, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সরকার রাজি থাকলে সংসদ কিংবা সংসদের বাইরে আলোচনায় তারা রাজি।
দুই দলের এই বিপরীতমুখী অবস্থানের পরিণতিস্বরূপ আরেকটি 'এক-এগারোর' সৃষ্টি হতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকেই আলোচনায় বসে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করার জন্য সব দিক থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি কূটনীতিক, দেশের ব্যবসায়ী মহল, সুধী সমাজ এমনকি সাধারণ মানুষ- সবার মুখেই তাই সংলাপের তাগিদ।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। আনুষ্ঠানিক আলোচনাও হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ অবশ্য কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আশরাফের এ বক্তব্য সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।' অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'কোথাও না কোথাও দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে।' আরো স্পষ্ট করে তিনি বলেন, সংসদ লবিতে, বিভিন্ন পার্টিতে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সেখানে খোশগল্প নয়, রাজনৈতিক আলোচনাই চলছে।
আলোচনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা তো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চাই না। আমরা কেনো আলোচনার প্রস্তাব দেব? বিরোধী দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁরা সংসদে আসবেন, প্রস্তাব করবেন, আলোচনা হবে। সেখানে আলোচনা হলে দেশ দেখবে, বিশ্ব দেখবে।' তিনি অবশ্য বলেন, আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় এবং এ জন্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের এখন একটাই ফর্মুলা তা হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' নামটি যদি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে 'নির্বাচনকালীন সরকার' কিংবা 'কেয়ারটেকার সরকার' নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে যে নামেই হোক নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে না হলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিলে সংসদে কিংবা সংসদের বাইরে যেকোনো স্থানে আলোচনা হতে পারে।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নিলে সংলাপ ও নির্বাচনের জন্য অমরা প্রস্তুত। আমরা আগেই বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বয়কট করা হবে।' তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের সংলাপ কিংবা আলোচনা হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ আলোচনা চায়। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ রয়েছে। কারণ সংলাপ হলো গণতন্ত্রের ভাষা। সংলাপ করতে সরকার ব্যর্থ হলে সারা দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি শুরু হবে। দেশ এক অনিশ্চয়তার পথে চলে যাবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে। গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন। বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ- যে নামেই হোক না কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল করা। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।'
ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আলোচনার কার্যকর উদ্যোগ এখনো নেই। তবে রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আলোচনা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁদের দাবি, আলোচনা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যা বলছেন এবং এর সূত্র ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন যে পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন তা আলোচনারই অংশ। এর মধ্য দিয়েই আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, দেশীয় রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ চলছে। এরই অংশ হিসেবে রাজনীতিতে চলমান সংকট নিরসনের জন্য দুই দলের ওপরই চাপ বাড়ছে। তাই নানাভাবে আলোচনার ইস্যু সামনে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতা আরো বলেন, 'সৈয়দ আশরাফ যে বলেছেন আলোচনা চলছে, তা একদমই ফেলনা কোনো বক্তব্য নয়। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে, দূতাবাসগুলোর নিমন্ত্রণে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে আসলেই কথা হয়। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাও বলছেন, তাঁর ধারণা দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা চলছে।'
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার আন্তরিকতা ছাড়া কোনো আলোচনাই ফলপ্রসূ হবে না। এর আগেও নানা সময়ে রাজনৈতিক সংকটে বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ হয়েছে। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শওকত আরা এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া খোলা মন নিয়ে বসলেই কেবল এ সমস্যার সমাধান হবে। রাজনৈতিক নিয়মকানুন পালন করতে হবে। শেখ হাসিনা যাদি মনে করেন- আমি আওয়ামী লীগ করি, আমি কেন ছাড় দেব; খালেদা জিয়াও যদি একই কথা মনে করেন- তিনি বিএনপির প্রধান, তিনি কেন ছাড় দেবেন- তাহলে হবে না। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিরাজমান। সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোকেই একসঙ্গে বসতে হবে।'
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিয়াস করিম বলেন, দুই দলের রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি। আলোচনা নিয়ে দুই দলের বিভিন্ন বক্তব্য সমঝোতার ইঙ্গিত বহন করে না। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য পেলেই কেবল আলোচনা ফলপ্রসূ হতে পারে।
No comments