বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় বাংলায় রূপান্তর : by এনামুল হক
মহিউদ্দীনও (অর্টিলারি) আইনের নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে তার বক্তব্য রেকর্ড করা সম্পর্কে সাী যা বলেছেন সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেনি। রাষ্ট্রপরে ৫২ নং সাী অবশ্য স্বীকার করেন যে, ফর্মের এক নম্বর কলামটি খালি ছিল।
তিনি আসামিপরে এই বক্তব্য অস্বীকার করেন যে, মহিউদ্দীন (আর্টিলারি) তাঁর কাছে কোন স্বীকারোক্তি করেননি কিংবা তিনি তদন্তকারী অফিসারের তৈরি করা একটি স্বীকারোক্তিতে সই করেছিলেন অথবা আসামির স্বার পুলিশের উপস্থিতিতে জোর করে আদায় করা হয়েছিল এবং অপরাধ স্বীকারোক্তি সত্য বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ছিল না। ফর্মের ১ নং কলামে যা দেখা যায় তাহলো রাষ্ট্রপরে ৫২ নং সাী ওতে উল্লেখ করেছিলেন যে, মহিউদ্দীনকে ১৯৯৬ সালের ২৭ নবেম্বর সকাল ১১টায় হাজির করা হয়েছিল এবং তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল বেলা দু'টায়। কাজেই আসামিকে হাজির করার সময় ও তারিখ এবং তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় যথাযথভাবেই উল্লেখ করা হয়েছিল। ফর্মের ৩ ও ৪ নম্বর কলাম হলো আসামির স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার সময় ম্যাজিস্ট্রেটদের অনুসরণীয় কিছু নির্দেশাবলী ও পথ নির্দেশনা। ৩ নম্বর কলামটি হচ্ছে অপরাধ স্বীকারকারী আসামিকে ৫ নং কলামে বর্ণিত বিষয়াবলীর প্রত্যেকটি ব্যাখ্যা করা এবং বক্তব্য দেয়ার আগে সাবধানে চিন্তাভাবনা করে দেখার জন্য তাকে সতর্ক করে দেয়া সংক্রান্ত। অবশ্য দেখা যায় যে, ৫ নং কলামে আসামিকে যেসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা দরকার ৬ নং কলামে তাকে যথাযথভাবেই সেসব প্রশ্নের মুখোমুখি করা হয়েছিল। উপরোক্ত কলামগুলো যথাযথভাবে পূরণ করা হয়েছিল। কাজেই এ ব্যাপারে আসামির কোন অভিযোগ-অনুযোগ থাকা উচিত নয়। বক্তব্য রেকর্ড করার সময় আসামির রুমে পুলিশ অফিসারের উপস্থিতি সম্পর্কে আসামি পরে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ৮নং কলামটি হচ্ছে আসামি যে স্বেচ্ছায় বক্তব্য দিয়েছে সে ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টির যুক্তি বা কারণ সম্পর্কিত। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর বক্তব্যে বলেছেন যে, আসামির অপরাধ স্বীকারোক্তি আইন অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছিল এবং আসামি তার বক্তব্যের সঠিকতায় সন্তুষ্ট হয়ে স্বার দিয়েছিল। ১০ নং কলামে স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার পর আসামিকে প্রেরণ করার সময়টা উল্লেখ থাকে। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন যে, বক্তব্য রেকর্ড করার পর আসামিকে তিনি একই দিনে রেকর্ডসহ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠিয়েছিলেন। (ক্রমশ)
No comments