আবার কি ছেদ পড়বে সম্পর্কে?
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কার্যত তলানিতে ঠেকে। পরমাণু শক্তিধর এ দুই প্রতিবেশীর মধ্যে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা শান্তি আলোচনা পড়ে মুখ থুবড়ে।
এতে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তিন দফা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া দেশ দুটির মধ্যে 'বন্ধুত্ব' প্রতিষ্ঠা আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
তবে গত দুই বছরে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। একে অপরের আস্থা অর্জনের পথে অনেকটা এগিয়েছেও দুই দেশ। এ অবস্থায় কাশ্মীরের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় গত রবিবার ও মঙ্গলবারের 'গুলিবিনিময়ের' ঘটনা সম্পর্কোন্নয়নের গতি বাধাগ্রস্ত করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারত এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেছেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনা ব্যাহত করার স্পষ্ট ইঙ্গিত সীমান্তের এ হত্যাকাণ্ড।' বিপরীতে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি সেনাবাহিনীকে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় পুরো প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সাম্প্রতিককালে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের সম্পর্কের অগ্রগতির উল্লেখযোগ্য দিক হলো- বাণিজ্য বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি দেওয়া। গত মাসেই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকের ভারত সফরে এ ব্যাপারে সফল আলোচনা হয়। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ক্ষেত্রে একমত হয় দুই দেশ। মুম্বাই হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাকিস্তানি নাগরিক আমির আজমল কাসাবের ফাঁসি গত নভেম্বরে কার্যকর করে ভারত। এর ফলে অন্তত একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে। এ ছাড়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত বলে বিশ্লেষকদের মত।
এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সংঘটিত তিনটি যুদ্ধের দুটিই ঘটেছে সীমান্তবিরোধের কারণে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরো কাশ্মীরকে দুই দেশই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তবে কোনো দেশের হাতেই এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। উভয় দেশ কাশ্মীরের অংশবিশেষ শাসন করে।
২০০৩ সাল থেকে সীমান্তে অস্ত্রবিরতি মেনে আসছে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় পক্ষের দাবি, ২০১১ সালে ৫১ দফা অস্ত্রবিরতি ভঙ্গ করেছে পাকিস্তান। গত বছরে আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৩৩। তবে এ ব্যাপারে পাকিস্তানের তরফে তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, পিটিআই, ডন।
তবে গত দুই বছরে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। একে অপরের আস্থা অর্জনের পথে অনেকটা এগিয়েছেও দুই দেশ। এ অবস্থায় কাশ্মীরের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় গত রবিবার ও মঙ্গলবারের 'গুলিবিনিময়ের' ঘটনা সম্পর্কোন্নয়নের গতি বাধাগ্রস্ত করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারত এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেছেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনা ব্যাহত করার স্পষ্ট ইঙ্গিত সীমান্তের এ হত্যাকাণ্ড।' বিপরীতে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি সেনাবাহিনীকে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় পুরো প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সাম্প্রতিককালে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের সম্পর্কের অগ্রগতির উল্লেখযোগ্য দিক হলো- বাণিজ্য বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি দেওয়া। গত মাসেই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকের ভারত সফরে এ ব্যাপারে সফল আলোচনা হয়। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ক্ষেত্রে একমত হয় দুই দেশ। মুম্বাই হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাকিস্তানি নাগরিক আমির আজমল কাসাবের ফাঁসি গত নভেম্বরে কার্যকর করে ভারত। এর ফলে অন্তত একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে। এ ছাড়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত বলে বিশ্লেষকদের মত।
এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সংঘটিত তিনটি যুদ্ধের দুটিই ঘটেছে সীমান্তবিরোধের কারণে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরো কাশ্মীরকে দুই দেশই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তবে কোনো দেশের হাতেই এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। উভয় দেশ কাশ্মীরের অংশবিশেষ শাসন করে।
২০০৩ সাল থেকে সীমান্তে অস্ত্রবিরতি মেনে আসছে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় পক্ষের দাবি, ২০১১ সালে ৫১ দফা অস্ত্রবিরতি ভঙ্গ করেছে পাকিস্তান। গত বছরে আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৩৩। তবে এ ব্যাপারে পাকিস্তানের তরফে তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, পিটিআই, ডন।
No comments