শীতে থরথর দেশ
দিনাজপুরে গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি ছিল স্বাধীনতার পর চার দশকে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কেবল দিনাজপুর নয়, দেশের কয়েকটি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। তীব্র শীতে লোকালয় ও পথ-ঘাট যেন জমে গিয়েছিল।
জীবনযাত্রায় নেমে এসেছিল স্থবিরতা।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া মানুষ বাইরে বের হয়নি। বিকেল নাগাদ রাস্তাঘাট-পাড়া-মহল্লা বা গ্রামীণ লোকালয় ফাঁকা হয়ে যায়। যাদের ঘর নেই, ফুটপাত যাদের ঠিকানা, তাদের কষ্ট ছিল সবচেয়ে বেশি। হাড় কাঁপানো শীত থেকে রক্ষা পেতে সরকার কিংবা শীতবস্ত্র দিতে পারেন, এমন হূদয়বান ব্যক্তিদের অপেক্ষায় ছিল তারা। শীতজনিত রোগও বাড়ছে। বোরো ও আলুর ফলনে পড়েছে বিরূপ প্রভাব।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঊর্ধ্বাকাশে জেট বায়ুর কারণে চলমান শৈত্যপ্রবাহটি তৈরি হয়েছে। এটি ভারতের বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বেশির ভাগ এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবারের পর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড: ইতিহাস খুঁজতে গেলে গতকালের দিনাজপুরের চেয়ে কম তাপমাত্রা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। তবে সারা দেশে একযোগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। এর আগে বিক্ষিপ্তভাবে দু-একটি এলাকায় তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে ক্ষতির মুখে পড়বে জমিতে বাড়বাড়ন্ত আলু আর বেড়ে উঠতে থাকা বোরো ধানের বীজতলা। আলু ও বোরো চাষ বেশি হয়, এমন এলাকাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতাও মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এতে এই দুটি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তা সরষের জন্য ভালো। কিন্তু ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সরষে পাতার সালোকসংশ্লেষণ কমে যায়। এতে পাতা কুঁকড়ে গিয়ে ফুল মরে যায়। তবে এই তাপমাত্রায় গমের ফলন বাড়বে বলে কৃষিবিদেরা জানিয়েছেন।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিশুদের কাশি, সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বেড়েছে। বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত অন্যান্য রোগের পাশাপাশি হাঁপানি বাড়ছে বলে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। গত দুই দিনের শৈত্যপ্রবাহে শীতজনিত রোগে ও অসুস্থতায় বিভিন্ন স্থানে মোট ২২ জন মারা গেছে। এদের বেশির ভাগই বৃদ্ধ ও শিশু।
গতকাল সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৫, ঈশ্বরদীতে ৩ দশমিক ৯, রংপুরে ৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশজুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবারও একই রকম থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিচেই থাকবে। গত দিনগুলোর মতো নদীতীবরর্তী এলাকায় ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার দাপটও থাকবে। তবে শুক্রবারের পর শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া মানুষ বাইরে বের হয়নি। বিকেল নাগাদ রাস্তাঘাট-পাড়া-মহল্লা বা গ্রামীণ লোকালয় ফাঁকা হয়ে যায়। যাদের ঘর নেই, ফুটপাত যাদের ঠিকানা, তাদের কষ্ট ছিল সবচেয়ে বেশি। হাড় কাঁপানো শীত থেকে রক্ষা পেতে সরকার কিংবা শীতবস্ত্র দিতে পারেন, এমন হূদয়বান ব্যক্তিদের অপেক্ষায় ছিল তারা। শীতজনিত রোগও বাড়ছে। বোরো ও আলুর ফলনে পড়েছে বিরূপ প্রভাব।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঊর্ধ্বাকাশে জেট বায়ুর কারণে চলমান শৈত্যপ্রবাহটি তৈরি হয়েছে। এটি ভারতের বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বেশির ভাগ এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবারের পর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড: ইতিহাস খুঁজতে গেলে গতকালের দিনাজপুরের চেয়ে কম তাপমাত্রা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। তবে সারা দেশে একযোগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। এর আগে বিক্ষিপ্তভাবে দু-একটি এলাকায় তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে ক্ষতির মুখে পড়বে জমিতে বাড়বাড়ন্ত আলু আর বেড়ে উঠতে থাকা বোরো ধানের বীজতলা। আলু ও বোরো চাষ বেশি হয়, এমন এলাকাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতাও মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এতে এই দুটি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তা সরষের জন্য ভালো। কিন্তু ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সরষে পাতার সালোকসংশ্লেষণ কমে যায়। এতে পাতা কুঁকড়ে গিয়ে ফুল মরে যায়। তবে এই তাপমাত্রায় গমের ফলন বাড়বে বলে কৃষিবিদেরা জানিয়েছেন।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিশুদের কাশি, সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বেড়েছে। বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত অন্যান্য রোগের পাশাপাশি হাঁপানি বাড়ছে বলে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। গত দুই দিনের শৈত্যপ্রবাহে শীতজনিত রোগে ও অসুস্থতায় বিভিন্ন স্থানে মোট ২২ জন মারা গেছে। এদের বেশির ভাগই বৃদ্ধ ও শিশু।
গতকাল সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৫, ঈশ্বরদীতে ৩ দশমিক ৯, রংপুরে ৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশজুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবারও একই রকম থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিচেই থাকবে। গত দিনগুলোর মতো নদীতীবরর্তী এলাকায় ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার দাপটও থাকবে। তবে শুক্রবারের পর শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে।
No comments