জাফলং- পাহাড় কেটে সড়ক by উজ্জ্বল মেহেদী
সিলেটের পর্যটন এলাকা জাফলংয়ের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় কেটে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করছেন এক প্রভাবশালী ভূমি ব্যবসায়ী। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কোনো অনুমতি না নিয়েই প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছে।
চূড়ার প্রায় ৭২ শতক জায়গা সমান্তরাল করে এক হাজার ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এস এম ফজলুল করিম চৌধুরী জানান, পাহাড়টি জাফলংয়ের অন্যতম একটি বড় পাহাড়। এর একদিকে ভারতের ডাউকি থেকে পিয়াইন নদের মিলন-মোহনা ও অন্যদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফাঁড়ি, তামাবিল স্থলবন্দর। এ পাহাড় ধ্বংস হলে জাফলংয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অধিদপ্তরের একটি পরিদর্শক দল সরেজমিনে কাটা পাহাড় পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, পাহাড়ের ভূমির মালিক দাবিদার সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান। পাহাড়ের একাংশে জাফলংয়ের বাল্লাঘাট এলাকায় ‘নির্মাণাধীন মেঘালয় রিসোর্ট’ সাইনবোর্ডে আতাউর রহমানের নাম ঝুলছে। পুরো এলাকা জাফলংয়ের পাথরকোয়ারিতে কর্মরত শ্রমিক পরিবারগুলোর জন্য খুপরিঘর বানিয়ে তাঁদের বসবাস করতে দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর আকস্মিকভাবে পাহাড়ের চূড়া অংশে বুলডোজার চালিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। এর প্রায় সপ্তাহ খানেক পর পাহাড়ের চূড়া অংশ এক হাজার ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণ শুরু হয়।
বাল্লাঘাট এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সড়ক নির্মাণকালে আতাউর স্থানীয় ব্যক্তিদের বলেন, তিনি প্রশাসনসহ স্থানীয় সাংসদের পরামর্শে জাফলং এলাকায় বিকল্প সড়কের জন্য তাঁর প্রায় ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি ছেড়ে দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে বাল্লাঘাটের একজন ব্যবসায়ী জানান, আতাউর আসলে পাহাড় কাটার সুযোগ তৈরি করতে জনস্বার্থের কথা বলে বাস্তবে ওই রিসোর্ট নির্মাণের সুযোগ নিয়েছেন। পাহাড় কাটা অংশ থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করে তা বিক্রি করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই ভূমিমালিক পাহাড় কাটছেন। পুরো পাহাড়ি এলাকা তাঁর মালিকানাধীন জায়গা বলে দাবি করা হলেও ভূমি কার্যালয়ের নথিতে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। এক হাজার ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সড়কের মধ্যে ৯০০ ফুট হয়েছে পাহাড় কেটে। এতে প্রায় ৩৫ ফুট প্রস্থ ও সাত থেকে নয় ফুট গভীর করে পাহাড় কাটা হয়েছে।
যোগাযোগ করলে আতাউর রহমান দাবি করেন, স্থানীয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করে জনস্বার্থে তিনি বিকল্প সড়ক করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জাফলংয়ে যাতায়াত করতে একটি সড়ক থাকায় জনগণের স্বার্থে বিকল্প সড়ক করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ ভূমির মালিকানা দাবি করে তিনি জানান, ১৯৯৬ সালে খরিদ সূত্রে ওই পাহাড়ি এলাকার ৬০ বিঘা জায়গার মালিক তিনি।
আতাউরের এ বক্তব্য সঠিক নয় জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কংকন চাকমা প্রথম আলোকে জানান, পুরো জায়গা অর্পিত সম্পত্তিভুক্ত। কারও দখলে থাকলেও ভূমি কার্যালয়ের হিসেবে ওই জায়গার মালিক সরকার। এ জন্য পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ রেখে বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এস এম ফজলুল করিম চৌধুরী জানান, পাহাড়টি জাফলংয়ের অন্যতম একটি বড় পাহাড়। এর একদিকে ভারতের ডাউকি থেকে পিয়াইন নদের মিলন-মোহনা ও অন্যদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফাঁড়ি, তামাবিল স্থলবন্দর। এ পাহাড় ধ্বংস হলে জাফলংয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অধিদপ্তরের একটি পরিদর্শক দল সরেজমিনে কাটা পাহাড় পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, পাহাড়ের ভূমির মালিক দাবিদার সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান। পাহাড়ের একাংশে জাফলংয়ের বাল্লাঘাট এলাকায় ‘নির্মাণাধীন মেঘালয় রিসোর্ট’ সাইনবোর্ডে আতাউর রহমানের নাম ঝুলছে। পুরো এলাকা জাফলংয়ের পাথরকোয়ারিতে কর্মরত শ্রমিক পরিবারগুলোর জন্য খুপরিঘর বানিয়ে তাঁদের বসবাস করতে দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর আকস্মিকভাবে পাহাড়ের চূড়া অংশে বুলডোজার চালিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। এর প্রায় সপ্তাহ খানেক পর পাহাড়ের চূড়া অংশ এক হাজার ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণ শুরু হয়।
বাল্লাঘাট এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সড়ক নির্মাণকালে আতাউর স্থানীয় ব্যক্তিদের বলেন, তিনি প্রশাসনসহ স্থানীয় সাংসদের পরামর্শে জাফলং এলাকায় বিকল্প সড়কের জন্য তাঁর প্রায় ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি ছেড়ে দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে বাল্লাঘাটের একজন ব্যবসায়ী জানান, আতাউর আসলে পাহাড় কাটার সুযোগ তৈরি করতে জনস্বার্থের কথা বলে বাস্তবে ওই রিসোর্ট নির্মাণের সুযোগ নিয়েছেন। পাহাড় কাটা অংশ থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করে তা বিক্রি করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই ভূমিমালিক পাহাড় কাটছেন। পুরো পাহাড়ি এলাকা তাঁর মালিকানাধীন জায়গা বলে দাবি করা হলেও ভূমি কার্যালয়ের নথিতে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। এক হাজার ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সড়কের মধ্যে ৯০০ ফুট হয়েছে পাহাড় কেটে। এতে প্রায় ৩৫ ফুট প্রস্থ ও সাত থেকে নয় ফুট গভীর করে পাহাড় কাটা হয়েছে।
যোগাযোগ করলে আতাউর রহমান দাবি করেন, স্থানীয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করে জনস্বার্থে তিনি বিকল্প সড়ক করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জাফলংয়ে যাতায়াত করতে একটি সড়ক থাকায় জনগণের স্বার্থে বিকল্প সড়ক করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ ভূমির মালিকানা দাবি করে তিনি জানান, ১৯৯৬ সালে খরিদ সূত্রে ওই পাহাড়ি এলাকার ৬০ বিঘা জায়গার মালিক তিনি।
আতাউরের এ বক্তব্য সঠিক নয় জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কংকন চাকমা প্রথম আলোকে জানান, পুরো জায়গা অর্পিত সম্পত্তিভুক্ত। কারও দখলে থাকলেও ভূমি কার্যালয়ের হিসেবে ওই জায়গার মালিক সরকার। এ জন্য পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ রেখে বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
No comments