সাংসদের ভাইয়ের নামে ১০০ পরিবারের জমি!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বনগজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ, ঈদগাহ ময়দান এবং বনগজ ও পাশের আরও তিন গ্রামের প্রায় ১০০ পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলি জমির আমমোক্তার দলিলমূলে মালিক হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ শাহ আলমের ছোট ভাই মো. সেলিম মিয়া ও চট্টগ্রামের পটিয়ার শামসুল আলম।
জালিয়াতির মাধ্যমে এই দলিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনগজ গ্রামটি উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। এই ইউনিয়নের পাঁচটি মৌজার প্রায় ৭০ একর জমি ভুয়া দাতা সাজিয়ে ওই দুই ব্যক্তির নামে আমমোক্তার দলিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় বনগজ ও পাশের গ্রামের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তারা আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
গত বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বনগজে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদের ভাইকে ব্যবহার করে একটি জালিয়াত চক্র যে দলিল করেছে, তা বাতিল করা হবে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ২২ অক্টোবর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় অনিয়মের মাধ্যমে ওই আমমোক্তার দলিল করে। বনগজ মৌজার ৩৬ একর ৭৭ শতাংশ, তন্তর মৌজার ২৬ একর, ধরখার মৌজার এক একর ২২ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার চার একর ৩ শতাংশ ও ভাটামাথা মৌজার এক একর ৩৫ শতাংশ জমির ভোগদখল ও বিক্রয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় আমমোক্তার দলিল গ্রহীতাদের।
অনিয়মের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রশিদ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, আমমোক্তার দলিলটি বাতিলের কাজ চলছে।
বনগজ গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা অহিদ মিয়া বলেন, ‘বনগজ গ্রামের ৫০টি পরিবারসহ ধরখার, তন্তর ও ভাটামাথা গ্রামের প্রায় ১০০ পরিবার ক্রয়সূত্রে মালিক হইয়া যুগ যুগ ধইরা ভোগ দখল কইরা আইতাছেন। এখন শুনতাছি আমরার বাড়ি, ফসলি জমি, ইশকুল ও ঈদগাহ মাঠ নাকি এমপির ভাইয়ের।’
বনগজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের জমির মালিক ছিলেন চন্দ্র কুমার ঘোষ, বিনিময়সূত্রে পরে মালিক হন চান মিয়া। তাঁর (চান মিয়া) কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে তাজু মিয়া এবং তাজু মিয়ার কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে ফিরোজ মিয়া মালিক হন। সর্বশেষ তিনি প্রায় ৯৭ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। শিক্ষা অফিস প্রতিবছর এ জমির খাজনাও দিচ্ছে।
ধরখার ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বনগজ মৌজার ওই সব জমির মালিক ছিলেন চন্দ্র কুমার ঘোষ। ১৯৬৮ সালে বিনিময়মূলে জমির মালিক হন চান মিয়া ও মোস্তাক মিয়া। চান মিয়া ও তাঁর উত্তরাধিকারেরা সম্পূর্ণ সম্পত্তিই বিক্রি করে দিয়েছেন।
চান মিয়ার মেয়ে ফরিদা খাতুনও ওই আমমোক্তার দলিলের একজন দাতা। তবে তিনি বলেন, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে দলিলে টিপসই নেওয়া হয়েছে। দলিলের আরেক দাতা ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাবা কোনো জমি বিক্রি করেননি।
এ বিষয়ে সাংসদের ভাই মো. সেলিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে সাংসদ শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই খুব সহজ-সরল মানুষ। তাঁকে একটি জালিয়াত চক্র ব্যবহার করে থাকতে পারে। তবে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনগজ গ্রামটি উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। এই ইউনিয়নের পাঁচটি মৌজার প্রায় ৭০ একর জমি ভুয়া দাতা সাজিয়ে ওই দুই ব্যক্তির নামে আমমোক্তার দলিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় বনগজ ও পাশের গ্রামের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তারা আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
গত বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বনগজে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদের ভাইকে ব্যবহার করে একটি জালিয়াত চক্র যে দলিল করেছে, তা বাতিল করা হবে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ২২ অক্টোবর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় অনিয়মের মাধ্যমে ওই আমমোক্তার দলিল করে। বনগজ মৌজার ৩৬ একর ৭৭ শতাংশ, তন্তর মৌজার ২৬ একর, ধরখার মৌজার এক একর ২২ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার চার একর ৩ শতাংশ ও ভাটামাথা মৌজার এক একর ৩৫ শতাংশ জমির ভোগদখল ও বিক্রয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় আমমোক্তার দলিল গ্রহীতাদের।
অনিয়মের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রশিদ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, আমমোক্তার দলিলটি বাতিলের কাজ চলছে।
বনগজ গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা অহিদ মিয়া বলেন, ‘বনগজ গ্রামের ৫০টি পরিবারসহ ধরখার, তন্তর ও ভাটামাথা গ্রামের প্রায় ১০০ পরিবার ক্রয়সূত্রে মালিক হইয়া যুগ যুগ ধইরা ভোগ দখল কইরা আইতাছেন। এখন শুনতাছি আমরার বাড়ি, ফসলি জমি, ইশকুল ও ঈদগাহ মাঠ নাকি এমপির ভাইয়ের।’
বনগজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের জমির মালিক ছিলেন চন্দ্র কুমার ঘোষ, বিনিময়সূত্রে পরে মালিক হন চান মিয়া। তাঁর (চান মিয়া) কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে তাজু মিয়া এবং তাজু মিয়ার কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে ফিরোজ মিয়া মালিক হন। সর্বশেষ তিনি প্রায় ৯৭ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। শিক্ষা অফিস প্রতিবছর এ জমির খাজনাও দিচ্ছে।
ধরখার ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বনগজ মৌজার ওই সব জমির মালিক ছিলেন চন্দ্র কুমার ঘোষ। ১৯৬৮ সালে বিনিময়মূলে জমির মালিক হন চান মিয়া ও মোস্তাক মিয়া। চান মিয়া ও তাঁর উত্তরাধিকারেরা সম্পূর্ণ সম্পত্তিই বিক্রি করে দিয়েছেন।
চান মিয়ার মেয়ে ফরিদা খাতুনও ওই আমমোক্তার দলিলের একজন দাতা। তবে তিনি বলেন, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে দলিলে টিপসই নেওয়া হয়েছে। দলিলের আরেক দাতা ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাবা কোনো জমি বিক্রি করেননি।
এ বিষয়ে সাংসদের ভাই মো. সেলিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে সাংসদ শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই খুব সহজ-সরল মানুষ। তাঁকে একটি জালিয়াত চক্র ব্যবহার করে থাকতে পারে। তবে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
No comments