মুরসির পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক সমাবেশ
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থনে ও বিরুদ্ধে রাজধানী কায়রোতে গতকাল শনিবার হাজার হাজার লোকের সমাবেশ হয়েছে। তাহরির স্কয়ারে মুরসির বিরোধীরা এবং কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় মুরসির সমর্থকদের সমাবেশ হয়।
তবে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে খসড়া সংবিধান পর্যালোচনার কথা বিবেচনা করছেন মুরসি।
গত ২২ নভেম্বর মুরসি ঘোষিত অধ্যাদেশের প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে মিসরজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। মিসরের কোনো আদালতেই মুরসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা যাবে না_এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী তাহরির স্কয়ারে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে সাংবিধানিক পরিষদে গত শুক্রবার তড়িঘড়ি করে খসড়া সংবিধান অনুমোদনের ঘটনায় বিক্ষোভ আরো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নারীর অধিকার রক্ষিত হয়নি_এ অভিযোগে বিরোধীরা খসড়া সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাজার হাজার লোক তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভ করে। গতকালও বিক্ষোভ চলে। মিসরের বিরোধী রাজনীতিবিদদের জোট দ্য ন্যাশনাল রেসকিউ ফ্রন্ট জনসাধারণের প্রতি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা মুরসি ঘোষিত 'অবৈধ অধ্যাদেশ' বাতিল ও খসড়া সংবিধান বর্জনের দাবিতে ধর্মঘট ও অসহযোগের আহ্বান জানিয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে খসড়া নিয়ে গণভোট আয়োজন করা হতে পারে।
বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিতে মুরসির সমর্থকরাও গতকাল বড় ধরনের সমাবেশ করে। জোহরের নামাজের পর কায়রোর বিভিন্ন মসজিদ থেকে বের হয়ে মিছিল নিয়ে আন-নাহদা স্কয়ারে জড়ো হয় তারা। কট্টরপন্থী সালাফিরা কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ করে। 'মুসলিম ব্রাদারহুড মুরসির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে', 'জনগণ আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন চায়' লেখা ব্যানার বহন করেন মুরসির সমর্থকরা। খালেদ নামের একজন বলেন, 'কিছু লোক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্যই সংবিধান প্রণয়ন জরুরি।' খসড়া সংবিধানের বিরোধীদের 'আল্লাহ ও ইসলামের শত্রু' বলে অভিহিত করে মুরসির সমর্থকরা।
গতকাল বিকেলে মুরসির কাছে খসড়া সংবিধানের অনুলিপি পাঠানো হয়। তবে গণবিক্ষোভের কারণে মুরসি খসড়া সংবিধান পর্যালোচনার বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে জানায় তাঁর দল মুসলিম ব্রাদারহুড।
মিসরের খসড়া সংবিধানের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার নাভি পিল্লাই। মিসরের চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশে সংবিধান প্রণয়নের বিষয়টি 'বিভেদ তৈরি করতে পারে'_এটা জানিয়ে মুরসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, খুব দ্রুততার সঙ্গে খসড়া সংবিধান অনুমোদনের বিষয়টি মিসরীয়দের নিরাশ করেছে এবং 'মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে' উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গত ২২ নভেম্বর মুরসি ঘোষিত অধ্যাদেশের প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে মিসরজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। মিসরের কোনো আদালতেই মুরসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা যাবে না_এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী তাহরির স্কয়ারে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে সাংবিধানিক পরিষদে গত শুক্রবার তড়িঘড়ি করে খসড়া সংবিধান অনুমোদনের ঘটনায় বিক্ষোভ আরো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নারীর অধিকার রক্ষিত হয়নি_এ অভিযোগে বিরোধীরা খসড়া সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাজার হাজার লোক তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভ করে। গতকালও বিক্ষোভ চলে। মিসরের বিরোধী রাজনীতিবিদদের জোট দ্য ন্যাশনাল রেসকিউ ফ্রন্ট জনসাধারণের প্রতি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা মুরসি ঘোষিত 'অবৈধ অধ্যাদেশ' বাতিল ও খসড়া সংবিধান বর্জনের দাবিতে ধর্মঘট ও অসহযোগের আহ্বান জানিয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে খসড়া নিয়ে গণভোট আয়োজন করা হতে পারে।
বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিতে মুরসির সমর্থকরাও গতকাল বড় ধরনের সমাবেশ করে। জোহরের নামাজের পর কায়রোর বিভিন্ন মসজিদ থেকে বের হয়ে মিছিল নিয়ে আন-নাহদা স্কয়ারে জড়ো হয় তারা। কট্টরপন্থী সালাফিরা কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ করে। 'মুসলিম ব্রাদারহুড মুরসির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে', 'জনগণ আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন চায়' লেখা ব্যানার বহন করেন মুরসির সমর্থকরা। খালেদ নামের একজন বলেন, 'কিছু লোক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্যই সংবিধান প্রণয়ন জরুরি।' খসড়া সংবিধানের বিরোধীদের 'আল্লাহ ও ইসলামের শত্রু' বলে অভিহিত করে মুরসির সমর্থকরা।
গতকাল বিকেলে মুরসির কাছে খসড়া সংবিধানের অনুলিপি পাঠানো হয়। তবে গণবিক্ষোভের কারণে মুরসি খসড়া সংবিধান পর্যালোচনার বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে জানায় তাঁর দল মুসলিম ব্রাদারহুড।
মিসরের খসড়া সংবিধানের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার নাভি পিল্লাই। মিসরের চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশে সংবিধান প্রণয়নের বিষয়টি 'বিভেদ তৈরি করতে পারে'_এটা জানিয়ে মুরসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, খুব দ্রুততার সঙ্গে খসড়া সংবিধান অনুমোদনের বিষয়টি মিসরীয়দের নিরাশ করেছে এবং 'মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে' উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments