খালেদার উদ্দেশে হাসিনা-জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ছাড়ুন
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আজ শুরু হয়েছে আমাদের বিজয়ের মাস। এই মাসে পাকিস্তানি হানাদার, জামায়াত-শিবির আর তাদের দোসরদের পরাজিত করে আমরা বিজয় পেয়েছি। আর বিজয়ের এই মাসে বিরোধীদলীয় নেতা কর্মসূচি দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর।
তবে তিনি যতই কর্মসূচি দেন, তারা রক্ষা পাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করবই।' বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এখনো সময় আছে। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ছাড়ুন। তবেই সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা স্থান পেতে পারেন। নতুবা এ দেশের মানুষ একদিন আপনারও বিচার করবে।' গতকাল শনিবার মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, তাঁর ছেলেরা সৎ জীবন যাপন করে। কিন্তু তাঁর ছেলেদের অসৎভাবে অর্জিত টাকা ধরা পড়ে আমেরিকা, সিঙ্গাপুরে। দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং করে দেশ থেকে নেওয়া টাকার জন্য আমেরিকায় মামলা হয়। সেখানে রায় হওয়ার পর আমরা সেই টাকা এখন ফেরত আনছি। তাঁর ছেলেরা বিদেশে রেস্টুরেন্ট করছে। বাড়ি করছে। দামি গাড়ি কিনছে। ভাঙা সুটকেস থেকে কি এসব টাকা বের হচ্ছে? আর বিরোধীদলীয় নেতা জনসভায় তাঁর ছেলেদের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখছেন। একেই বলে চোরের মার বড় গলা।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'পঁচাত্তরে জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের একাত্তরের বিজয়কে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে স্বাধীনতার চেতনা থেকে দেশকে অনেক দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এ দেশের মানুষ আবার জেগে ওঠায় তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। গত নির্বাচনে আমাদের অঙ্গীকার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। আর এই বিচার করে আমরা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবই।' তিনি বলেন, 'বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট, দুর্নীতি করা। বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী আপনাদের মৌলভীবাজারের সাইফুর রহমান ও প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমানের ছেলেরা এ জেলায় কিভাবে দুর্নীতি করেছে, সবই আপনারা জানেন। সাইফুর-পুত্র নাসের রহমানের কারণে নূরুজ্জামানকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য। আমরা চাই মানুষের আর দেশের উন্নয়ন। আজ আমি প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যার শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২৫০ শয্যার মৌলভীবাজার হাসপাতাল, মৌলভীবাজার আবহাওয়া অফিস, মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করলাম। ভবিষ্যতে নির্মিত হবে মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স, জাতীয় মহিলা সংস্থা ভবন, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদ কলেজ ও শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, যার ভিত্তিফলকও উন্মোচন করলাম।' তিনি বলেন, 'দেশের সব উপজেলার ৩১ বেডের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো আমরা ৫০ বেডে উন্নীত করব। গত চার বছরে সরকারিভাবে আমরা চার লাখ বেকারের চাকরি দিয়েছি। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে আরো ৩৭ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের উন্নয়নসহ শিক্ষার হার বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১ জানুয়ারি আমরা বিনা মূল্যে ২৭ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব। মৌলভীবাজারে হাওরগুলো হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হাওরের উন্নয়ন করে মাছের চাষ বাড়ানো হবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ডিজিটাল বংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিচ্ছি, তারই প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে সারা দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।' তিনি বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনি দেশের চেহারা পাল্টানোর কথা বলেন। এর অর্থ হচ্ছে, আমরা যে চাকরি দিয়েছি, সেগুলো কেড়ে নেবেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেবেন। বেতন-ভাতা কমিয়ে দেবেন। এসব করেই তো আপনি দেশের চেহারা পাল্টানো দেখাবেন। কিন্তু দেশের মানুষ আর সে সুযোগ দেবে না। তারা শান্তি চায়, স্বস্তি চায়, চায় উন্নয়ন। তাই আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দেবে এ দেশের মানুষ।'
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ মো. আবদুস শহীদ। বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাউদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মহসীন আলী প্রমুখ। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ।
শেখ হাসিনা বলেন, 'পঁচাত্তরে জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের একাত্তরের বিজয়কে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে স্বাধীনতার চেতনা থেকে দেশকে অনেক দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এ দেশের মানুষ আবার জেগে ওঠায় তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। গত নির্বাচনে আমাদের অঙ্গীকার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। আর এই বিচার করে আমরা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবই।' তিনি বলেন, 'বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট, দুর্নীতি করা। বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী আপনাদের মৌলভীবাজারের সাইফুর রহমান ও প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমানের ছেলেরা এ জেলায় কিভাবে দুর্নীতি করেছে, সবই আপনারা জানেন। সাইফুর-পুত্র নাসের রহমানের কারণে নূরুজ্জামানকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য। আমরা চাই মানুষের আর দেশের উন্নয়ন। আজ আমি প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যার শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২৫০ শয্যার মৌলভীবাজার হাসপাতাল, মৌলভীবাজার আবহাওয়া অফিস, মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করলাম। ভবিষ্যতে নির্মিত হবে মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স, জাতীয় মহিলা সংস্থা ভবন, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদ কলেজ ও শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, যার ভিত্তিফলকও উন্মোচন করলাম।' তিনি বলেন, 'দেশের সব উপজেলার ৩১ বেডের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো আমরা ৫০ বেডে উন্নীত করব। গত চার বছরে সরকারিভাবে আমরা চার লাখ বেকারের চাকরি দিয়েছি। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে আরো ৩৭ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের উন্নয়নসহ শিক্ষার হার বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১ জানুয়ারি আমরা বিনা মূল্যে ২৭ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব। মৌলভীবাজারে হাওরগুলো হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হাওরের উন্নয়ন করে মাছের চাষ বাড়ানো হবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ডিজিটাল বংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিচ্ছি, তারই প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে সারা দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।' তিনি বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনি দেশের চেহারা পাল্টানোর কথা বলেন। এর অর্থ হচ্ছে, আমরা যে চাকরি দিয়েছি, সেগুলো কেড়ে নেবেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেবেন। বেতন-ভাতা কমিয়ে দেবেন। এসব করেই তো আপনি দেশের চেহারা পাল্টানো দেখাবেন। কিন্তু দেশের মানুষ আর সে সুযোগ দেবে না। তারা শান্তি চায়, স্বস্তি চায়, চায় উন্নয়ন। তাই আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দেবে এ দেশের মানুষ।'
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ মো. আবদুস শহীদ। বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাউদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মহসীন আলী প্রমুখ। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ।
No comments