১৯২৪ নয়, রবীন্দ্রনাথের আঁকা শুরু ১৯০৮-এ!
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনে বিতর্ক নতুন নয়। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন প্রদর্শনীতে কিছু ছবি তুলে দাবি করা হয়, সেগুলো কবিগুরুর আঁকা। কিন্তু পরে বিশেষজ্ঞরা সেগুলো জাল বলে প্রমাণ করেন। এমন পরিস্থিতিতেই সম্প্রতি দুটি ছবির খোঁজ পাওয়া গেছে।
দাবি করা হচ্ছে, এগুলো রবীন্দ্রনাথের আঁকা এবং প্রচলিত ধারণার চেয়ে ১৫ বছর আগে আঁকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছবিগুলো জাল না হলে রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্মের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে।
প্রচলিত ইতিহাসের তথ্য মতে, ১৯২৪ সালে রক্তকরবী নাটকের পাণ্ডুলিপির ওপরে হিজিবিজি কাটার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ আঁকাআঁকি শুরু করেন। তখন তাঁর বয়স ৬৩ বছর। এরপর তিনি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন একজন পাকা চিত্রকর।
কিন্তু সম্প্রতি খোঁজ পাওয়া ছবি দুটির একটি আঁকা হয়েছে ১৯০৮ সালে। তখন তাঁর বয়স ৪৭ বছর। অন্য ছবিটি আঁকা ১৯১১-তে। দুটি চিত্রকর্মই রয়েছে কলকাতার বরানগরের চিত্র ব্যবসায়ী সুদীপ ঘোষালের কাছে। এর একটিতে আঁকা হয়েছে এক নারীর সম্মুখ মুখাবয়ব। চিত্রকর্মের নিচে বাম দিকে স্বাক্ষর 'রবীন্দ্র' এবং সাল লেখা '১৯০৮'। অন্যটিতেও নারীর মুখ। তবে সেই নারী ঊর্ধ্বমুখে তাকিয়ে আছে, তার চুল বাতাসে উড়ছে। আর নিচে স্বাক্ষর এবং তারিখ ১৯/৩/১১। দুটি ছবিই কলম ও কালিতে আঁকা।
গত বছর কলকাতায় এক প্রদর্শনীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাল ছবি চিহ্নিত করেছিলেন যে শিল্প সমালোচক ও ইতিহাসবিদরা; তাঁরা বলছেন, এ ছবি দুটির কারণে হয় ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে, নয়তো এগুলো জাল চিত্রকর্মের মধ্যেই ফেলতে হবে।
তবে চিত্রকর্ম দুটির খাঁটিত্ব সম্পর্কে হলফ করে বলেছেন সুদীপ ঘোষাল। তিনি বলেন, 'ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমি ছবি দুটি পাই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে। তিনি আমার আত্মীয়।' তিনি আরো বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে অল্প বয়স থেকেই আঁকাআঁকি শুরু করেন, অনেকেই সেটা জানে না।'
ঘোষালের সংগ্রহে থাকা চিত্রকর্ম দুটির খাঁটিত্ব সম্পর্কে অনেক বিশেষজ্ঞ সংশয় প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে প্রখ্যাত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ রমন শিব কুমার, প্রণব রঞ্জন রায়, সুশোভন অধিকারী, সমীন্দ্রনাথ মজুমদারও রয়েছেন।
'কী বলেন!! আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।'- চিত্রকর্ম দুটির কথা শোনার পর প্রণব রঞ্জন রায়ের প্রথম অভিব্যক্তি ছিল এমনই। তিনি বলেন, 'এই ছবি দুটি চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমাদের পুরো বোঝাপড়ার আমূল পাল্টে দিতে পারে। এ দুটি যদি খাঁটি হয় তবে আমরা যা বলেছি, লিখেছি, বিশ্বাস করেছি- সবই আবর্জনায় পরিণত হবে।'
ভারতের পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস চিত্রকর্ম দুটির ডিজিটাল ছবি পাঠিয়েছে শিব কুমারের কাছে। তিনিও এর খাঁটিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে কলকাতায় গভর্নমেন্ট আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটস কলেজে রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্মের ওপর একটি প্রদর্শনী হয়। ওই প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ২৩টি ছবির মধ্যে ২০ ছবিকেই জাল প্রমাণ করেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১২ সালের মার্চে কলকাতায় চিত্রকর্মের এক নিলামে ১৭টি ছবি জাল ধরা পড়ে। ওই ১৭টির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের আঁকা বলে দাবি করা হয়েছিল চারটি। ওই ১৭টি ছবিই এসেছিল ঘোষালের সংগ্রহ থেকে। সূত্র : হিন্দুস্তান
টাইমস অনলাইন।
প্রচলিত ইতিহাসের তথ্য মতে, ১৯২৪ সালে রক্তকরবী নাটকের পাণ্ডুলিপির ওপরে হিজিবিজি কাটার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ আঁকাআঁকি শুরু করেন। তখন তাঁর বয়স ৬৩ বছর। এরপর তিনি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন একজন পাকা চিত্রকর।
কিন্তু সম্প্রতি খোঁজ পাওয়া ছবি দুটির একটি আঁকা হয়েছে ১৯০৮ সালে। তখন তাঁর বয়স ৪৭ বছর। অন্য ছবিটি আঁকা ১৯১১-তে। দুটি চিত্রকর্মই রয়েছে কলকাতার বরানগরের চিত্র ব্যবসায়ী সুদীপ ঘোষালের কাছে। এর একটিতে আঁকা হয়েছে এক নারীর সম্মুখ মুখাবয়ব। চিত্রকর্মের নিচে বাম দিকে স্বাক্ষর 'রবীন্দ্র' এবং সাল লেখা '১৯০৮'। অন্যটিতেও নারীর মুখ। তবে সেই নারী ঊর্ধ্বমুখে তাকিয়ে আছে, তার চুল বাতাসে উড়ছে। আর নিচে স্বাক্ষর এবং তারিখ ১৯/৩/১১। দুটি ছবিই কলম ও কালিতে আঁকা।
গত বছর কলকাতায় এক প্রদর্শনীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাল ছবি চিহ্নিত করেছিলেন যে শিল্প সমালোচক ও ইতিহাসবিদরা; তাঁরা বলছেন, এ ছবি দুটির কারণে হয় ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে, নয়তো এগুলো জাল চিত্রকর্মের মধ্যেই ফেলতে হবে।
তবে চিত্রকর্ম দুটির খাঁটিত্ব সম্পর্কে হলফ করে বলেছেন সুদীপ ঘোষাল। তিনি বলেন, 'ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমি ছবি দুটি পাই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে। তিনি আমার আত্মীয়।' তিনি আরো বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে অল্প বয়স থেকেই আঁকাআঁকি শুরু করেন, অনেকেই সেটা জানে না।'
ঘোষালের সংগ্রহে থাকা চিত্রকর্ম দুটির খাঁটিত্ব সম্পর্কে অনেক বিশেষজ্ঞ সংশয় প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে প্রখ্যাত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ রমন শিব কুমার, প্রণব রঞ্জন রায়, সুশোভন অধিকারী, সমীন্দ্রনাথ মজুমদারও রয়েছেন।
'কী বলেন!! আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।'- চিত্রকর্ম দুটির কথা শোনার পর প্রণব রঞ্জন রায়ের প্রথম অভিব্যক্তি ছিল এমনই। তিনি বলেন, 'এই ছবি দুটি চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমাদের পুরো বোঝাপড়ার আমূল পাল্টে দিতে পারে। এ দুটি যদি খাঁটি হয় তবে আমরা যা বলেছি, লিখেছি, বিশ্বাস করেছি- সবই আবর্জনায় পরিণত হবে।'
ভারতের পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস চিত্রকর্ম দুটির ডিজিটাল ছবি পাঠিয়েছে শিব কুমারের কাছে। তিনিও এর খাঁটিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে কলকাতায় গভর্নমেন্ট আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটস কলেজে রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্মের ওপর একটি প্রদর্শনী হয়। ওই প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ২৩টি ছবির মধ্যে ২০ ছবিকেই জাল প্রমাণ করেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১২ সালের মার্চে কলকাতায় চিত্রকর্মের এক নিলামে ১৭টি ছবি জাল ধরা পড়ে। ওই ১৭টির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের আঁকা বলে দাবি করা হয়েছিল চারটি। ওই ১৭টি ছবিই এসেছিল ঘোষালের সংগ্রহ থেকে। সূত্র : হিন্দুস্তান
টাইমস অনলাইন।
No comments