সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা বন্ধ- চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রপ্তানি অর্ধেক কমেছে by মিঠুন চৌধুরী
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য নতুন ভিসা গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর চট্টগ্রাম থেকে গত তিন মাসে জনশক্তি রপ্তানি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।
তবে আগামী বছরের শুরুতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি শুরু হলে এ অবস্থা কাটবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন দেশে কর্মী হিসেবে যাওয়ার জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর চট্টগ্রাম কার্যালয়ে নিবন্ধন করতে হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা বন্ধের আগে গত জুলাইয়ে এই কার্যালয়ে আট হাজার ৯৫৩ জন বিদেশগামী ব্যক্তি নিবন্ধন করেন। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে নিবন্ধন করেন প্রায় নয় হাজার। গত দুই বছর দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে জনশক্তি রপ্তানিতে শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম জেলা।
কিন্তু গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে ইউএই সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিলে ওই মাসে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৫৫২ জনে। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় চার হাজার ৩৪৮ জনে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা জুলাইয়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়ে চার হাজার ১৬৪ জনে নেমে আসে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভিসা চালু করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস সক্রিয় আছে। ভিসা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা আয়োজনে দূতাবাস চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করি আলোচনা হলেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার কর্মীরা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিমানযোগে বিদেশে যান। গত জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে নতুন ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে যান ১০ হাজার ৬৪৩ জন কর্মী। এর মধ্যে ইউএইতে যান পাঁচ হাজার ৭২২ জন। আগস্টে সাত হাজার ৬০ জন বিদেশগামী কর্মীর মধ্যে তিন হাজার ৩৭৯ জন ইউএইতে যান। সেপ্টেম্বরে ছয় হাজার ৩৬৩ জন বিদেশগামীর মধ্যে মাত্র এক হাজার ৭৯৬ জন এবং অক্টোবরে চার হাজার ৩৫৯ জন বিদেশগামীর মধ্যে শুধু ৩৫ জন আরব আমিরাতে যান।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সদস্য ও রিক্রুটিং এজেন্সি জাহার ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী নুরুল আমিন বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বেশি যায়। ইউএইতে ভিসা বন্ধের পর বিদেশগামীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এখন চট্টগ্রাম থেকে ওমানেই বেশি কর্মী যাচ্ছেন।
ইউএই বাংলাদেশি শ্রমিকদের নতুন ভিসা বন্ধের কোনো কারণ না জানালেও গত ৪ অক্টোবর মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশিরা জাল পাসপোর্ট, ভিসা ও অবৈধ কাগজপত্র নিয়ে ওই দেশে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে ইউএই ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার করে কর্মী যাচ্ছিলেন দেশটিতে।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে মোট ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ১৫০ জন বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে নয় লাখ ৫৯ হাজার ৭৮ জনই অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশই গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাজার বন্ধের প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক শ্রমবাজারে। জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে ৬২ হাজার ৭১৩ জন বিদেশে গেলেও আগস্টে গেছেন ৪৩ হাজার ৭৭৩ জন কর্মী। সেপ্টেম্বরে সেটি কমে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ১৬১ জনে। অক্টোবরে তা কমে দাঁড়ায় ২৯ হাজার ৬২৪ জনে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ওমানে জনশক্তি রপ্তানি আবার বাড়ছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় ভিসা চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রপ্তানি আবারও বাড়বে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন দেশে কর্মী হিসেবে যাওয়ার জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর চট্টগ্রাম কার্যালয়ে নিবন্ধন করতে হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা বন্ধের আগে গত জুলাইয়ে এই কার্যালয়ে আট হাজার ৯৫৩ জন বিদেশগামী ব্যক্তি নিবন্ধন করেন। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে নিবন্ধন করেন প্রায় নয় হাজার। গত দুই বছর দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে জনশক্তি রপ্তানিতে শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম জেলা।
কিন্তু গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে ইউএই সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিলে ওই মাসে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৫৫২ জনে। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় চার হাজার ৩৪৮ জনে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা জুলাইয়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়ে চার হাজার ১৬৪ জনে নেমে আসে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভিসা চালু করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস সক্রিয় আছে। ভিসা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা আয়োজনে দূতাবাস চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করি আলোচনা হলেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার কর্মীরা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিমানযোগে বিদেশে যান। গত জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে নতুন ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে যান ১০ হাজার ৬৪৩ জন কর্মী। এর মধ্যে ইউএইতে যান পাঁচ হাজার ৭২২ জন। আগস্টে সাত হাজার ৬০ জন বিদেশগামী কর্মীর মধ্যে তিন হাজার ৩৭৯ জন ইউএইতে যান। সেপ্টেম্বরে ছয় হাজার ৩৬৩ জন বিদেশগামীর মধ্যে মাত্র এক হাজার ৭৯৬ জন এবং অক্টোবরে চার হাজার ৩৫৯ জন বিদেশগামীর মধ্যে শুধু ৩৫ জন আরব আমিরাতে যান।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সদস্য ও রিক্রুটিং এজেন্সি জাহার ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী নুরুল আমিন বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বেশি যায়। ইউএইতে ভিসা বন্ধের পর বিদেশগামীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এখন চট্টগ্রাম থেকে ওমানেই বেশি কর্মী যাচ্ছেন।
ইউএই বাংলাদেশি শ্রমিকদের নতুন ভিসা বন্ধের কোনো কারণ না জানালেও গত ৪ অক্টোবর মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশিরা জাল পাসপোর্ট, ভিসা ও অবৈধ কাগজপত্র নিয়ে ওই দেশে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে ইউএই ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার করে কর্মী যাচ্ছিলেন দেশটিতে।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে মোট ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ১৫০ জন বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে নয় লাখ ৫৯ হাজার ৭৮ জনই অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশই গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাজার বন্ধের প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক শ্রমবাজারে। জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে ৬২ হাজার ৭১৩ জন বিদেশে গেলেও আগস্টে গেছেন ৪৩ হাজার ৭৭৩ জন কর্মী। সেপ্টেম্বরে সেটি কমে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ১৬১ জনে। অক্টোবরে তা কমে দাঁড়ায় ২৯ হাজার ৬২৪ জনে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ওমানে জনশক্তি রপ্তানি আবার বাড়ছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় ভিসা চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রপ্তানি আবারও বাড়বে।
No comments