আক্রান্ত হলে এনপিটি ছাড়ব : ইরান
ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা হলে 'পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি' (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থায় (আইএইএ) নিযুক্ত ইরানের দূত আলী আজগর সোলতানিয়ে গত শুক্রবার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সেই ক্ষেত্রে আইএইএর পরিদর্শকদেরও দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
তাঁর এই মন্তব্য পশ্চিমাদের মধ্যে ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আইএইএর ৩৫টি দেশ নিয়ে গঠিত বোর্ড অব গভর্নরের সভায় দেওয়া এক বিবৃতিতে সোলতানিয়ে বলেন, 'পরমাণু কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা হলে বিষয়টি ইরানি পার্লামেন্টে তোলা হবে। সেখানে সরকারকে আইএইএর পরিদর্শকদের নজরদারি বন্ধের জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে। এমনকি এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও হতে পারে।' এ ছাড়া পরমাণু কার্যক্রম আরো 'নিরাপদ' স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে সোলতানিয়ের দীর্ঘ ১১ পাতার এ বিবৃতিকে 'খুবই হতাশাজনক' বলে মনে করছেন পশ্চিমা কূটনীতিকরা। এর মধ্যে দিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা হলে তা বুমেরাং হতে পারে বলে পশ্চিমাদের মধ্যে যে উদ্বেগ ছিল, তা আরো বাড়ল। তাদের আশঙ্কা, সেই ক্ষেত্রে ইরান তাদের পুরো পরমাণু প্রকল্পকে ভূগর্ভে লুকিয়ে ফেলবে।
তবে সোলতানিয়ের এই বক্তব্যকে স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন আইএইএর ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এহুদ অ্যাজোলে। এহুদ অ্যাজোলে বলেন, 'আমার বিশ্বাস প্রথম পরমাণু বোমা ফাটানোর পর এনপিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে ইরান। এ ক্ষেত্রে ইরান উত্তর কোরিয়ার পথ অনুসরণ করছে।' উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে এনপিটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে দীর্ঘদিন থেকেই অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও ইরান কখনোই এ অভিযোগ মেনে নেয়নি। সূত্র : ডন।
আইএইএর ৩৫টি দেশ নিয়ে গঠিত বোর্ড অব গভর্নরের সভায় দেওয়া এক বিবৃতিতে সোলতানিয়ে বলেন, 'পরমাণু কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা হলে বিষয়টি ইরানি পার্লামেন্টে তোলা হবে। সেখানে সরকারকে আইএইএর পরিদর্শকদের নজরদারি বন্ধের জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে। এমনকি এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও হতে পারে।' এ ছাড়া পরমাণু কার্যক্রম আরো 'নিরাপদ' স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে সোলতানিয়ের দীর্ঘ ১১ পাতার এ বিবৃতিকে 'খুবই হতাশাজনক' বলে মনে করছেন পশ্চিমা কূটনীতিকরা। এর মধ্যে দিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা হলে তা বুমেরাং হতে পারে বলে পশ্চিমাদের মধ্যে যে উদ্বেগ ছিল, তা আরো বাড়ল। তাদের আশঙ্কা, সেই ক্ষেত্রে ইরান তাদের পুরো পরমাণু প্রকল্পকে ভূগর্ভে লুকিয়ে ফেলবে।
তবে সোলতানিয়ের এই বক্তব্যকে স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন আইএইএর ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এহুদ অ্যাজোলে। এহুদ অ্যাজোলে বলেন, 'আমার বিশ্বাস প্রথম পরমাণু বোমা ফাটানোর পর এনপিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে ইরান। এ ক্ষেত্রে ইরান উত্তর কোরিয়ার পথ অনুসরণ করছে।' উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে এনপিটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে দীর্ঘদিন থেকেই অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও ইরান কখনোই এ অভিযোগ মেনে নেয়নি। সূত্র : ডন।
No comments