বগুড়া শহরের ফুটপাত হকারদের দখলে by মিলন রহমান
বগুড়া শহরের ব্যস্ত সাতমাথা এলাকার সাতটি সড়কের ফুটপাতে এখন হেঁটে চলা যায় না। হকাররা এসব ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও পৌরসভার কতিপয় কর্মচারী হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার কারণে এসব ফুটপাত দখলমুক্ত হচ্ছে না।
সাতমাথা মোড়ে এসে মিলেছে সাতটি সড়ক। এগুলো হলো: কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, স্টেশন সড়ক, সার্কিট হাউস সড়ক, নবাববাড়ি সড়ক, টেম্পোল সড়ক, গোহাইল সড়ক ও শেরপুর সড়ক।
গত মঙ্গল ও বুধবার শহরের সাতমাথা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাতটি সড়কের প্রতিটির প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত হকারদের দখলে রয়েছে। তারা প্রতিটি সড়কের দুই পাশের ফুটপাতসহ অর্ধেক জায়গা দখল করে দোকান বসিয়েছে। মাঝে একটি গাড়ি যাওয়ার মতো রাস্তা রয়েছে।
কবি নজরুল ইসলাম সড়কে হকারদের পাশাপাশি মোটর-সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি রাখার কারণে রাস্তা আরও সরু হয়ে গেছে। স্টেশন সড়কের দুই পাশে ফুটপাতে ফলের দোকান। গোহাইল সড়কে একই অবস্থা। সাতমাথার জাসদ অফিসের সামনে, বগুড়া প্রধান ডাকঘর এবং জেলা স্কুলের প্রাচীর ঘেঁষে চটপটি আর শিক কাবারের দোকান। এক হাজারের বেশি হকার ফুটপাত ও সড়কের দুই পাশে ব্যবসা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব ব্যবসায়ী জানান, তাঁরা প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০ টাকা করে পুলিশকে চাঁদা দেন। মাঝেমধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মচারী এসে টাকা নিয়ে যান। এসব চাঁদা কখনো পুলিশ নিজেরাই তোলে, আবার কখনো তাঁরা সবার কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে পুলিশের কাছে জমা দেন। ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসলে ১০ থেকে ২০ টাকা সকালে এবং বিকেলে ১০ টাকা করে দিতে হয় পুলিশকে। চটপটি দোকানের জন্য প্রতিদিন ৫০ টাকা, পুরোনো শীতের কাপড়ের দোকানের জন্য ৩০ টাকা করে দিতে হয়। চাঁদা দেওয়ায় উচ্ছেদ অভিযানের আগে পুলিশই এসে খবর দেয়।
ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘টাকা না দিলে তারা মারধর করে, ফলের ঝুড়ি নিয়ে চলে যায়। টাকা দিলে আর এসব সহ্য করতে হয় না। আমরাও টাকা দিই, কারণ হাটে বা বাজারে গিয়ে ব্যবসা করতে গেলে টোল দেওয়া লাগত। এখন সেটা মনে করেই এই টাকা দিচ্ছি।’
বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান বলেন, ফুটপাতগুলো থেকে কয়েকবার হকারদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁরা এসে বসছেন। হকার ছাড়াও দোকানের মালিকেরা ফুটপাতে মালামাল রেখে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ফুটপাত হকারমুক্ত, সড়কে নির্মাণসামগ্রী না রাখা, লাইসেন্স ছাড়া রিকশা না চালানোর জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, পৌরসভার কোন কর্মচারী চাঁদা আদায় করেছেন, এমন অভিযোগ তাঁর জানা নেই।
পুলিশের চাঁদা তোলার বিষয়টি অস্বীকার করে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার মোজামেঞ্চল হক বলেন, ফুটপাতে কিছু দোকান পৌরসভার অনুমতি নিয়ে বসেছে। এর বাইরে যেসব দোকান রয়েছে, সেসব মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়। এই উচ্ছেদের সঙ্গে পৌরসভা যুক্ত না থাকায় ফুটপাত হকারমুক্ত হচ্ছে না। পুলিশের চাঁদা তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মঙ্গল ও বুধবার শহরের সাতমাথা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাতটি সড়কের প্রতিটির প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত হকারদের দখলে রয়েছে। তারা প্রতিটি সড়কের দুই পাশের ফুটপাতসহ অর্ধেক জায়গা দখল করে দোকান বসিয়েছে। মাঝে একটি গাড়ি যাওয়ার মতো রাস্তা রয়েছে।
কবি নজরুল ইসলাম সড়কে হকারদের পাশাপাশি মোটর-সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি রাখার কারণে রাস্তা আরও সরু হয়ে গেছে। স্টেশন সড়কের দুই পাশে ফুটপাতে ফলের দোকান। গোহাইল সড়কে একই অবস্থা। সাতমাথার জাসদ অফিসের সামনে, বগুড়া প্রধান ডাকঘর এবং জেলা স্কুলের প্রাচীর ঘেঁষে চটপটি আর শিক কাবারের দোকান। এক হাজারের বেশি হকার ফুটপাত ও সড়কের দুই পাশে ব্যবসা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব ব্যবসায়ী জানান, তাঁরা প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০ টাকা করে পুলিশকে চাঁদা দেন। মাঝেমধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মচারী এসে টাকা নিয়ে যান। এসব চাঁদা কখনো পুলিশ নিজেরাই তোলে, আবার কখনো তাঁরা সবার কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে পুলিশের কাছে জমা দেন। ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসলে ১০ থেকে ২০ টাকা সকালে এবং বিকেলে ১০ টাকা করে দিতে হয় পুলিশকে। চটপটি দোকানের জন্য প্রতিদিন ৫০ টাকা, পুরোনো শীতের কাপড়ের দোকানের জন্য ৩০ টাকা করে দিতে হয়। চাঁদা দেওয়ায় উচ্ছেদ অভিযানের আগে পুলিশই এসে খবর দেয়।
ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘টাকা না দিলে তারা মারধর করে, ফলের ঝুড়ি নিয়ে চলে যায়। টাকা দিলে আর এসব সহ্য করতে হয় না। আমরাও টাকা দিই, কারণ হাটে বা বাজারে গিয়ে ব্যবসা করতে গেলে টোল দেওয়া লাগত। এখন সেটা মনে করেই এই টাকা দিচ্ছি।’
বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান বলেন, ফুটপাতগুলো থেকে কয়েকবার হকারদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁরা এসে বসছেন। হকার ছাড়াও দোকানের মালিকেরা ফুটপাতে মালামাল রেখে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ফুটপাত হকারমুক্ত, সড়কে নির্মাণসামগ্রী না রাখা, লাইসেন্স ছাড়া রিকশা না চালানোর জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, পৌরসভার কোন কর্মচারী চাঁদা আদায় করেছেন, এমন অভিযোগ তাঁর জানা নেই।
পুলিশের চাঁদা তোলার বিষয়টি অস্বীকার করে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার মোজামেঞ্চল হক বলেন, ফুটপাতে কিছু দোকান পৌরসভার অনুমতি নিয়ে বসেছে। এর বাইরে যেসব দোকান রয়েছে, সেসব মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়। এই উচ্ছেদের সঙ্গে পৌরসভা যুক্ত না থাকায় ফুটপাত হকারমুক্ত হচ্ছে না। পুলিশের চাঁদা তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments