কয়েকটি কারখানায় হামলা- বেতন পাননি, ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ফিরলেন খালি হাতে by অরূপ রায়
আশুলিয়ায় গতকালও পোশাকশ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন। নিশ্চিন্তপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া তাজরীন ফ্যাশনসের কর্মীরা গতকাল দিনভর অপেক্ষা করেও বেতন-ভাতা পাননি। অথচ পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা বেতন পাওয়ার আশায় জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু ফিরেছেন খালি হাতে।
বেতন-ভাতা না পেয়ে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে একপর্যায়ে আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ গতকাল তাজরীনের শ্রমিকদের এক মাসের বেতন দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকেরা চার মাসের বেতন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
পুলিশ, শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজিএমইএর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল নভেম্বর মাসের বেতন নিতে শ্রমিকেরা সকাল আটটা থেকে নিশ্চিন্তপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন। সকাল নয়টার দিকে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নিশ্চিন্তপুরে ১০টি বাস পাঠানো হয়। ওই বাসে করে শ্রমিকদের টঙ্গীতে তুবা গ্রুপের একটি কারখানায় নিয়ে গিয়ে বেতন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু শ্রমিকেরা টঙ্গী যেতে চাননি, নিশ্চিন্তপুরেই বেতন দিতে বলেন। পাশাপাশি তাঁরা একসঙ্গে চার মাসের বেতন-ভাতাও দাবি করেন। বিজিএমইএর কেউ সেখানে উপস্থিত না থাকায় শ্রমিকেরা তাঁদের দাবির বিষয়ে কোনো জবাব পাচ্ছিলেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকেরা তাজরীন ফ্যাশনসের মালিকের ফাঁসি, চার মাসের বেতন-ভাতা, নিহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ এবং আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা নিশ্চিন্তপুর এলাকার ফ্যাসকো লিমিটেড ও নিউ এইজ অ্যাপারেলসে হামলা চালান। এ সময় নিউ এইজ কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে ওই কারখানার শ্রমিকেরাও তাজরীনের শ্রমিকদের বিক্ষোভে যোগ দেন। বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে আবদুল্লাপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধ করলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
বেলা দেড়টার দিকে নিশ্চিন্তপুর বিদ্যালয় মাঠে আসেন বিজিএমইএর পরিচালক আহাদ আলী আনসারী। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের কাছে নিহতের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কতজন শ্রমিক কারখানাটিতে কাজ করতেন তার তালিকাও নেই। এ জন্য শুধু নভেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এক মাসের বেতন দিলে আনুমানিক একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যেত। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হতো।’ তিনি আরও বলেন, আপনাদের আপত্তির কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে হতাহতসহ শ্রমিকদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এরপর শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন পরিশোধ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আহাদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বিজিএমইএ ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন সহায়তা শিগগিরই পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, শ্রমিকেরা চার মাসের বেতন দাবি করছেন। এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত তালিকা প্রস্তুত করার পর অন্তত দুই মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল বেলা তিনটার দিকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় আবদুল্লাপুর-বাইপাইল সড়কে অবস্থান নিয়ে তাজরীন ফ্যাশনসের শ্রমিকদের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা আশপাশের কয়েকটি কারখানায় হামলা চালালে ওই এলাকার অন্তত অর্ধশত কারখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তখন ওই কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভে নামেন। শ্রমিকেরা মিছিল করে আশুলিয়ার পুকুরপাড় এলাকার পিক্যাট কারখানায় গিয়ে ওই কারখানার শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার দাবি জানান। ছুটি দেওয়া না হলে শ্রমিকেরা সেখানেও হামলা চালান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম শ্রমিক বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তাজরীন ফ্যাশনসের আহত শ্রমিক সাথী বেগম বলেন, ‘আমরা বেতন চাইলে পাব না, রাস্তায় নামলে পুলিশ মারবে, মালিক ও বিজিএমইএ আমাদের খোঁজ নেবে না, তাহলে আমরা কোথায় যাব?’
পোশাকশ্রমিক আঁখি বেগম আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তাঁর ঘাড়ের একটি হাড় ভেঙে যায়। আঘাত পান পা ও পেটে। সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে বাসায় চলে আসেন। গতকাল বেতন নিতে এসে ফিরে গেছেন খালি হাতে।
বেতন না পাওয়ার জন্য বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে আহত শ্রমিক আলীনুর বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনারা লেইখা লেইখা কলমের কালি আর পত্রিকার পাতা ফুরাইয়া ফালাইলেন। কিন্তু আমাগো মালিক আর বিজিএমইএর ঘুম ভাঙলো না। কার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বেতন আর ক্ষতিপূরণের টাকা পামু তাও আমরা বুজবার পারতাছি না।’
মুন্নি আক্তার বলেন, ‘নভেম্বর মাসের বেতনসহ চার মাসের বেতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে আশুলিয়া অচল করে দেওয়া হবে।’
আগুন আতঙ্ক: আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় মাসকট গ্রুপের একটি কারখানায় গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিচতলার এক শ্রমিক আগুন আগুন করে চিৎকার দিলে কারখানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শ্রমিকেরা হুড়োহুড়ি করে কারখানা থেকে বের হয়ে আসেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে আগুন নেই বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন।
এদিকে বেলা দুইটার দিকে তাজরীন ফ্যাশনসের পাশে নিট এশিয়া লিমিটেডে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত শ্রমিকেরা মুহূর্তের মধ্যে কারখানা থেকে বের হয়ে যান।
শ্রমিক মো. হাসান জানান, কারখানাটির নয় তলা ভবনের ছয়তলায় একটি টিউবলাইট ফেটে ধোঁয়া বের হয়। তা দেখে শ্রমিকরো আগুন লাগার সংকেত বাজালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম মোল্লা জানান, টিউবলাইটের ধোঁয়া দেখে শ্রমিকেরা আগুন-আতঙ্কে কারখানা থেকে বের হয়ে যান।
পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ গতকাল তাজরীনের শ্রমিকদের এক মাসের বেতন দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকেরা চার মাসের বেতন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
পুলিশ, শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজিএমইএর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল নভেম্বর মাসের বেতন নিতে শ্রমিকেরা সকাল আটটা থেকে নিশ্চিন্তপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন। সকাল নয়টার দিকে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নিশ্চিন্তপুরে ১০টি বাস পাঠানো হয়। ওই বাসে করে শ্রমিকদের টঙ্গীতে তুবা গ্রুপের একটি কারখানায় নিয়ে গিয়ে বেতন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু শ্রমিকেরা টঙ্গী যেতে চাননি, নিশ্চিন্তপুরেই বেতন দিতে বলেন। পাশাপাশি তাঁরা একসঙ্গে চার মাসের বেতন-ভাতাও দাবি করেন। বিজিএমইএর কেউ সেখানে উপস্থিত না থাকায় শ্রমিকেরা তাঁদের দাবির বিষয়ে কোনো জবাব পাচ্ছিলেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকেরা তাজরীন ফ্যাশনসের মালিকের ফাঁসি, চার মাসের বেতন-ভাতা, নিহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ এবং আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা নিশ্চিন্তপুর এলাকার ফ্যাসকো লিমিটেড ও নিউ এইজ অ্যাপারেলসে হামলা চালান। এ সময় নিউ এইজ কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে ওই কারখানার শ্রমিকেরাও তাজরীনের শ্রমিকদের বিক্ষোভে যোগ দেন। বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে আবদুল্লাপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধ করলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
বেলা দেড়টার দিকে নিশ্চিন্তপুর বিদ্যালয় মাঠে আসেন বিজিএমইএর পরিচালক আহাদ আলী আনসারী। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের কাছে নিহতের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কতজন শ্রমিক কারখানাটিতে কাজ করতেন তার তালিকাও নেই। এ জন্য শুধু নভেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এক মাসের বেতন দিলে আনুমানিক একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যেত। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হতো।’ তিনি আরও বলেন, আপনাদের আপত্তির কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে হতাহতসহ শ্রমিকদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এরপর শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন পরিশোধ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আহাদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বিজিএমইএ ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন সহায়তা শিগগিরই পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, শ্রমিকেরা চার মাসের বেতন দাবি করছেন। এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত তালিকা প্রস্তুত করার পর অন্তত দুই মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল বেলা তিনটার দিকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় আবদুল্লাপুর-বাইপাইল সড়কে অবস্থান নিয়ে তাজরীন ফ্যাশনসের শ্রমিকদের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা আশপাশের কয়েকটি কারখানায় হামলা চালালে ওই এলাকার অন্তত অর্ধশত কারখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তখন ওই কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভে নামেন। শ্রমিকেরা মিছিল করে আশুলিয়ার পুকুরপাড় এলাকার পিক্যাট কারখানায় গিয়ে ওই কারখানার শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার দাবি জানান। ছুটি দেওয়া না হলে শ্রমিকেরা সেখানেও হামলা চালান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম শ্রমিক বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তাজরীন ফ্যাশনসের আহত শ্রমিক সাথী বেগম বলেন, ‘আমরা বেতন চাইলে পাব না, রাস্তায় নামলে পুলিশ মারবে, মালিক ও বিজিএমইএ আমাদের খোঁজ নেবে না, তাহলে আমরা কোথায় যাব?’
পোশাকশ্রমিক আঁখি বেগম আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তাঁর ঘাড়ের একটি হাড় ভেঙে যায়। আঘাত পান পা ও পেটে। সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে বাসায় চলে আসেন। গতকাল বেতন নিতে এসে ফিরে গেছেন খালি হাতে।
বেতন না পাওয়ার জন্য বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে আহত শ্রমিক আলীনুর বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনারা লেইখা লেইখা কলমের কালি আর পত্রিকার পাতা ফুরাইয়া ফালাইলেন। কিন্তু আমাগো মালিক আর বিজিএমইএর ঘুম ভাঙলো না। কার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বেতন আর ক্ষতিপূরণের টাকা পামু তাও আমরা বুজবার পারতাছি না।’
মুন্নি আক্তার বলেন, ‘নভেম্বর মাসের বেতনসহ চার মাসের বেতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে আশুলিয়া অচল করে দেওয়া হবে।’
আগুন আতঙ্ক: আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় মাসকট গ্রুপের একটি কারখানায় গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিচতলার এক শ্রমিক আগুন আগুন করে চিৎকার দিলে কারখানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শ্রমিকেরা হুড়োহুড়ি করে কারখানা থেকে বের হয়ে আসেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে আগুন নেই বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন।
এদিকে বেলা দুইটার দিকে তাজরীন ফ্যাশনসের পাশে নিট এশিয়া লিমিটেডে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত শ্রমিকেরা মুহূর্তের মধ্যে কারখানা থেকে বের হয়ে যান।
শ্রমিক মো. হাসান জানান, কারখানাটির নয় তলা ভবনের ছয়তলায় একটি টিউবলাইট ফেটে ধোঁয়া বের হয়। তা দেখে শ্রমিকরো আগুন লাগার সংকেত বাজালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম মোল্লা জানান, টিউবলাইটের ধোঁয়া দেখে শ্রমিকেরা আগুন-আতঙ্কে কারখানা থেকে বের হয়ে যান।
No comments