এই খাতের স্বার্থেই কিছু পদক্ষেপ জরুরি তৈরি পোশাকশিল্প
তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন লাগা এবং এতগুলো প্রাণহানির ঘটনা দেশের পোশাকশিল্প খাত নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনার পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এভাবে শ্রমিকদের পুড়ে মরার ঘটনা দেশের মানুষকে যেমন ক্ষুব্ধ ও শোকাহত করেছে, তেমনি এভাবে যে আর চলতে পারে না, সে বিষয়টিও এখন জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে, সামনে চলে এসেছে।
এ খাতের যাঁরা বিদেশি ক্রেতা, তাঁদের মধ্যেও এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। যে কারখানায় আগুনে পুড়ে ১১১ জন শ্রমিক মারা গেলেন, সেই কারখানার শ্রমিকদের এখনো বকেয়া বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। গতকাল এ নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভ ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই শিল্পকে রক্ষার স্বার্থে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর হিসাব অনুযায়ী, তাজরীন ফ্যাশনসের শ্রমিকেরা বাদেই ১৯৯০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় এ সংখ্যা আরও বেশি। এটা খুবই বিস্ময়কর ও ক্ষোভ-জাগানিয়া তথ্য যে, এখন পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা এবং এত মৃত্যুর পরও কেউ কোনো শাস্তি পায়নি, কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। সব ক্ষেত্রেই এ ধরনের দুর্ঘটনার পর অভিযোগ পাওয়া গেছে, কারখানাগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে চলছিল না, প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছিল না বা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আমরা এ ধরনের আর একটি মৃত্যুও দেখতে চাই না।
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর একমাত্র পথ হচ্ছে দুর্ঘটনা রোধের সব নিয়মকানুন মেনে চলা এবং যদি কেউ তা মেনে না চলে, সে জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা। এই দুটি ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এখানে নমনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। আমরা দেখছি, এ-সংক্রান্ত আইনটিতেই সমস্যা রয়ে গেছে। মালিকের অবহেলায় আগুন লেগেছে, এটা প্রমাণিত হলে এবং সে ঘটনায় যত জীবনই যাক না কেন, শাস্তি মাত্র চার বছর। যদি সত্যিই অবহেলা প্রমাণিত হয়, তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, শ্রমিকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন তিনি, এর শাস্তি মাত্র চার বছরের জেল! দুর্ঘটনার ওপর অনেক সময় কারও হাত থাকে না, কিন্তু অবহেলা প্রমাণিত হলে কেন কঠোর শাস্তির বিধান থাকবে না?
তৈরি পোশাক কারখানার পরিবেশ ও দুর্ঘটনা রোধ-সংক্রান্ত বর্তমান যে বিধিবিধান আছে, তা বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে আরও সময়োপযোগী ও প্রায়োগিক করার উদ্যোগ নেওয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। তাজরীন ফ্যাশনসে এই মর্মান্তিক শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তা পোশাকশিল্প মালিকদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। বিজিএমইএর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেই বিদেশি ক্রেতারা কারখানাগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তার মান উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এ জন্য করণীয় ঠিক করতে টাস্কফোর্স গঠনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটি এখনই শুরু করে দিতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নিয়ম ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন। সেখানেই বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। টাস্কফোর্স করে বিধিবিধান তৈরি করার পাশাপাশি তা কার্যকর করার দায়িত্বও বিজিএমইএকে নিতে হবে।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর হিসাব অনুযায়ী, তাজরীন ফ্যাশনসের শ্রমিকেরা বাদেই ১৯৯০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় এ সংখ্যা আরও বেশি। এটা খুবই বিস্ময়কর ও ক্ষোভ-জাগানিয়া তথ্য যে, এখন পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা এবং এত মৃত্যুর পরও কেউ কোনো শাস্তি পায়নি, কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। সব ক্ষেত্রেই এ ধরনের দুর্ঘটনার পর অভিযোগ পাওয়া গেছে, কারখানাগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে চলছিল না, প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছিল না বা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আমরা এ ধরনের আর একটি মৃত্যুও দেখতে চাই না।
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর একমাত্র পথ হচ্ছে দুর্ঘটনা রোধের সব নিয়মকানুন মেনে চলা এবং যদি কেউ তা মেনে না চলে, সে জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা। এই দুটি ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এখানে নমনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। আমরা দেখছি, এ-সংক্রান্ত আইনটিতেই সমস্যা রয়ে গেছে। মালিকের অবহেলায় আগুন লেগেছে, এটা প্রমাণিত হলে এবং সে ঘটনায় যত জীবনই যাক না কেন, শাস্তি মাত্র চার বছর। যদি সত্যিই অবহেলা প্রমাণিত হয়, তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, শ্রমিকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন তিনি, এর শাস্তি মাত্র চার বছরের জেল! দুর্ঘটনার ওপর অনেক সময় কারও হাত থাকে না, কিন্তু অবহেলা প্রমাণিত হলে কেন কঠোর শাস্তির বিধান থাকবে না?
তৈরি পোশাক কারখানার পরিবেশ ও দুর্ঘটনা রোধ-সংক্রান্ত বর্তমান যে বিধিবিধান আছে, তা বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে আরও সময়োপযোগী ও প্রায়োগিক করার উদ্যোগ নেওয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। তাজরীন ফ্যাশনসে এই মর্মান্তিক শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তা পোশাকশিল্প মালিকদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। বিজিএমইএর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেই বিদেশি ক্রেতারা কারখানাগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তার মান উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এ জন্য করণীয় ঠিক করতে টাস্কফোর্স গঠনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটি এখনই শুরু করে দিতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নিয়ম ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন। সেখানেই বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। টাস্কফোর্স করে বিধিবিধান তৈরি করার পাশাপাশি তা কার্যকর করার দায়িত্বও বিজিএমইএকে নিতে হবে।
No comments