অবশেষে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিচ্ছে চউক- ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে by একরামুল হক
নগরের বহদ্দারহাট জংশনে নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের দুই পাশে অবশেষে বেষ্টনী দিচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। তবে এই বেষ্টনী জানমালের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। গার্ডার ধসে পড়লে এখনো প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উড়ালসড়কের প্রতি দুটি স্প্যানের (পিলার) মাঝামাঝি সাতটি করে গার্ডার বসানো হচ্ছে। প্রথম ও সপ্তম গার্ডারের উভয় দিকে ১২ ফুট করে জায়গা ফাঁকা রেখে বেষ্টনী দিলে জানমালের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে না। কিন্তু বহদ্দারহাট চত্বর থেকে শাহ আমানত সেতুর দিকে সড়কটি যথেষ্ট চওড়া নয়। এ কারণে বেষ্টনী দিলেও দুই পাশের স্থাপনা নিরাপদ নয়।
জানতে চাইলে চউকের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম প্রথম আলোকে বলেন, উড়ালসড়কের দুই প্রান্তের কোনো একটি গার্ডার যদি ধসে পড়ে তা নির্দিষ্ট সীমানা থেকে ১২ ফুট দূর পর্যন্ত ছিটকে যেতে পারে। গত ২৪ নভেম্বরের দুর্ঘটনায় সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তাই নির্মাণস্থলের উভয় দিকের ১২ ফুট করে দূরে বেষ্টনী দেওয়া হলে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
চউকের প্রকৌশলীরা জানান, বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সড়কটির ছয় লেনের কাজ থমকে আছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ছয় লেনের কাজ শুরু করার অংশ হিসেবে অন্তত রাস্তার দুই পাশের জায়গা দখলমুক্ত করলে উড়ালসড়কের দুই পাশে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা পাওয়া যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় ১২ ফুট করে ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি। সরকার এই অর্থবছরে বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র সাত কোটি টাকা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা সেতু ও কালভার্টের কাজ শুরু করেছি। টাকা পাওয়া সাপেক্ষে রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হবে।’
জানা যায়, বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সড়কটির জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না, যে কারণে সড়ক চওড়া করার মূল কাজ থমকে আছে। ফলে বহদ্দারহাট অংশে সড়কের দুই পাশের জায়গা দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনেও উড়ালসড়কের নির্মাণস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সমম্বয়হীনতাকে দায়ী করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরের বহদ্দারহাট জংশনে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের (স্প্যান) তিনটি গার্ডার আছড়ে নিচে পড়ে। এতে ১২ জন পথচারী ও ভাসমান তরকারিবিক্রেতা নিহত ও আরও অন্তত ২০ জন আহত হন। দুর্ঘটনার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ১ দশমিক ৩৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালসড়কে ১৬৮টির মধ্যে ১৩২টি গার্ডার লাগানো হয়, যার একটি গত ২৯ জুন ধসে পড়ে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত বরাদ্দ ছিল ১০৬ কোটি টাকা। পরে আরও নয় কোটি টাকা বাড়ানো হয় বলে চউক সূত্র জানায়।
জানতে চাইলে চউকের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম প্রথম আলোকে বলেন, উড়ালসড়কের দুই প্রান্তের কোনো একটি গার্ডার যদি ধসে পড়ে তা নির্দিষ্ট সীমানা থেকে ১২ ফুট দূর পর্যন্ত ছিটকে যেতে পারে। গত ২৪ নভেম্বরের দুর্ঘটনায় সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তাই নির্মাণস্থলের উভয় দিকের ১২ ফুট করে দূরে বেষ্টনী দেওয়া হলে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
চউকের প্রকৌশলীরা জানান, বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সড়কটির ছয় লেনের কাজ থমকে আছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ছয় লেনের কাজ শুরু করার অংশ হিসেবে অন্তত রাস্তার দুই পাশের জায়গা দখলমুক্ত করলে উড়ালসড়কের দুই পাশে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা পাওয়া যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় ১২ ফুট করে ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি। সরকার এই অর্থবছরে বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র সাত কোটি টাকা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা সেতু ও কালভার্টের কাজ শুরু করেছি। টাকা পাওয়া সাপেক্ষে রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হবে।’
জানা যায়, বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সড়কটির জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না, যে কারণে সড়ক চওড়া করার মূল কাজ থমকে আছে। ফলে বহদ্দারহাট অংশে সড়কের দুই পাশের জায়গা দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনেও উড়ালসড়কের নির্মাণস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সমম্বয়হীনতাকে দায়ী করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরের বহদ্দারহাট জংশনে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের (স্প্যান) তিনটি গার্ডার আছড়ে নিচে পড়ে। এতে ১২ জন পথচারী ও ভাসমান তরকারিবিক্রেতা নিহত ও আরও অন্তত ২০ জন আহত হন। দুর্ঘটনার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ১ দশমিক ৩৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালসড়কে ১৬৮টির মধ্যে ১৩২টি গার্ডার লাগানো হয়, যার একটি গত ২৯ জুন ধসে পড়ে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত বরাদ্দ ছিল ১০৬ কোটি টাকা। পরে আরও নয় কোটি টাকা বাড়ানো হয় বলে চউক সূত্র জানায়।
No comments