প্রার্থী দেয়নি বিরোধীরা-কুয়েতে আবারও পার্লামেন্ট নির্বাচন
কুয়েতে গতকাল শনিবার আবারও পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়েছে। গত ১০ মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ভোট হলো। সম্প্রতি নির্বাচনী আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গত শুক্রবারও বিরোধীরা এ সংশোধনীর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।
নির্বাচনেও কোনো প্রার্থী দেয়নি তারা। ভোটারদেরও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
তেলসমৃদ্ধ কুয়েতের মোট জনসংখ্যা ৩৮ লাখ হলেও এদের ৬৯ শতাংশই বিদেশি। কুয়েতিদের সংখ্যা মাত্র ১২ লাখ। এদের মধ্যে ভোটার চার লাখ ২২ হাজার। যার ৫৪ শতাংশই নারী। পাঁচটি নির্বাচনী এলাকায় ১০টি করে মোট ৫০ আসনে ভোট হয়েছে গতকাল। প্রার্থী সংখ্যা ১৩ নারীসহ ৩০৬ জন। গতকাল মাঝরাতের পর চূড়ান্ত ফল ঘোষণার কথা ছিল।
কুয়েতে নির্বাচনে গড়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। ভোটকেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতি ছিল স্বল্প। ভোট শুরুর আগমুহূর্তেও পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তা ছাড়া কেন্দ্রে দেখা যায়নি আর কাউকে।
২০০৬ সালের পর থেকে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে বিরোধী দলের কোনো প্রার্থী নেই। ফলে পার্লামেন্ট যে পুরোপুরি সরকারপন্থী হবে তা ভোটের আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। কুয়েতে এর আগের নির্বাচন হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। সে বার ইসলামপন্থীদের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল জয়লাভ করে। গত জুনে সাংবিধানিক আদালত ওই নির্বাচন বাতিল করে দেওয়ার পর মাস দুয়েক আগে আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবা পার্লামেন্টে ভেঙে দেন। গত মাসে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচনী আইনেও পরিবর্তন আনেন আমির। আগের আইনে প্রত্যেক ভোটার চারজন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারতেন। এখন একজন ভোটার একজন প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন বলে বিধান করা হয়েছে। সরকার মনে করে, এ নিয়ম পার্লামেন্টে নিরপেক্ষ গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে। তবে সমালোচকদের মতে এর মাধ্যমে ব্যালটের ওপর সরকারের প্রভাব আরো বাড়বে।
সম্প্রতি এ আইনের প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ হচ্ছে কুয়েছে। বিরোধীরা গত শুক্রবারও রাস্তায় নামেন। তারা একতরফাভাবে করা এ সংশোধনীকে সংবিধানের ওপর 'অভ্যুত্থান' হিসেবে দেখছেন। সাবেক এমপি ফালাহ আল সাওয়াগ বলেন, শুধু নির্বাচনী আইনের প্রতিবাদ নয়, কুয়েতের দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃত সংস্কার চাই আমরা। এ তো সবে শুরু।' আরেক বিক্ষোভকারী রানা আবদেল রাজাক বলেন, 'আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র চাই। নির্বাচন হচ্ছে, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' বিরোধীরা আশা করছেন ৭০ শতাংশ ভোটার এবার ভোট বর্জন করবেন। যদিও প্রার্থীদের বিশ্বাস, অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দেবে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের পর কুয়েতে স্থিতিশীলতা ফিরবে এমনটি আশা করতে পারছেন না বিশ্লেষকরাও। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
তেলসমৃদ্ধ কুয়েতের মোট জনসংখ্যা ৩৮ লাখ হলেও এদের ৬৯ শতাংশই বিদেশি। কুয়েতিদের সংখ্যা মাত্র ১২ লাখ। এদের মধ্যে ভোটার চার লাখ ২২ হাজার। যার ৫৪ শতাংশই নারী। পাঁচটি নির্বাচনী এলাকায় ১০টি করে মোট ৫০ আসনে ভোট হয়েছে গতকাল। প্রার্থী সংখ্যা ১৩ নারীসহ ৩০৬ জন। গতকাল মাঝরাতের পর চূড়ান্ত ফল ঘোষণার কথা ছিল।
কুয়েতে নির্বাচনে গড়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। ভোটকেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতি ছিল স্বল্প। ভোট শুরুর আগমুহূর্তেও পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তা ছাড়া কেন্দ্রে দেখা যায়নি আর কাউকে।
২০০৬ সালের পর থেকে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে বিরোধী দলের কোনো প্রার্থী নেই। ফলে পার্লামেন্ট যে পুরোপুরি সরকারপন্থী হবে তা ভোটের আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। কুয়েতে এর আগের নির্বাচন হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। সে বার ইসলামপন্থীদের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল জয়লাভ করে। গত জুনে সাংবিধানিক আদালত ওই নির্বাচন বাতিল করে দেওয়ার পর মাস দুয়েক আগে আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবা পার্লামেন্টে ভেঙে দেন। গত মাসে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচনী আইনেও পরিবর্তন আনেন আমির। আগের আইনে প্রত্যেক ভোটার চারজন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারতেন। এখন একজন ভোটার একজন প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন বলে বিধান করা হয়েছে। সরকার মনে করে, এ নিয়ম পার্লামেন্টে নিরপেক্ষ গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে। তবে সমালোচকদের মতে এর মাধ্যমে ব্যালটের ওপর সরকারের প্রভাব আরো বাড়বে।
সম্প্রতি এ আইনের প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ হচ্ছে কুয়েছে। বিরোধীরা গত শুক্রবারও রাস্তায় নামেন। তারা একতরফাভাবে করা এ সংশোধনীকে সংবিধানের ওপর 'অভ্যুত্থান' হিসেবে দেখছেন। সাবেক এমপি ফালাহ আল সাওয়াগ বলেন, শুধু নির্বাচনী আইনের প্রতিবাদ নয়, কুয়েতের দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃত সংস্কার চাই আমরা। এ তো সবে শুরু।' আরেক বিক্ষোভকারী রানা আবদেল রাজাক বলেন, 'আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র চাই। নির্বাচন হচ্ছে, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' বিরোধীরা আশা করছেন ৭০ শতাংশ ভোটার এবার ভোট বর্জন করবেন। যদিও প্রার্থীদের বিশ্বাস, অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দেবে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের পর কুয়েতে স্থিতিশীলতা ফিরবে এমনটি আশা করতে পারছেন না বিশ্লেষকরাও। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
No comments