নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণের ঘোষণা ইসরায়েলের
জাতিসংঘে ফিলিস্তিন 'নন মেম্বার অবজারভার স্টেট'-এর মর্যাদা পাওয়ার পর পরই পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের অধিকৃত এলাকায় তিন হাজার নতুন বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার তারা এ ঘোষণা দেয়।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ একে তাৎক্ষণিক উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রও বাড়ি নির্মাণের নতুন ঘোষণার সমালোচনা করেছে। নতুন বসতি নির্মাণ শান্তি আলোচনায় বাধা তৈরি করবে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। হোয়াইট হাউস বলেছে, ইসরায়েলের এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৩৮টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে গত বৃহস্পতিবার 'পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র' বা কার্যত 'সার্বভৌম রাষ্ট্রের' স্বীকৃতি পায় ফিলিস্তিন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা নিয়ে রাষ্ট্র গঠনের যে প্রস্তাব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘে উত্থাপন করেন, এর উচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইসরায়েলি নেতারা। তাঁদের হুমকি সত্ত্বেও ওই প্রস্তাব পাস হলে ইসরায়েল নতুন তিন হাজার বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দেয়। 'ই-ওয়ান' নামের এ পরিকল্পনার আওতায় জেরুজালেম ও মালেহ আদুমিম বসতির মধ্যবর্তী এলাকায় নতুন এসব বাড়ি নির্মিত হবে। ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করেছে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের ১০০টিরও বেশি বসতি রয়েছে এবং সেগুলোতে পাঁচ লাখেরও বেশি ইহুদি বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ বসতিগুলো অবৈধ।
ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের প্লাটফর্ম পিএলও নতুন বসতি নির্মাণের ঘোষণাকে 'একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন' বলে অভিহিত করেছে। মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, 'জাতিসংঘে যারা ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে তাদের সবার মুখেই নতুন ঘোষণার মাধ্যমে থাপ্পড় মেরেছে ইসরায়েল।' ফিলিস্তিনি পক্ষের শান্তি আলোচক সায়েব এরাকাত বলেন, 'ইসরায়েলের পদক্ষেপ দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।' নতুন বাড়ি নির্মাণের ঘোষণাকে 'তাৎক্ষণিক উসকানিমূলক তৎপরতা' বলেও উল্লেখ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও যুক্তরাষ্ট্র নতুন বাড়ি নির্মাণের ঘোষণার সমালোচনা করেছে। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সভায় হিলারি ক্লিনটন বলেন, 'ইসরায়েলের এ ঘোষণা শান্তি আলোচনায় বাধা তৈরি করবে। গাজা নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি স্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু এ সপ্তাহে জাতিসংঘের ভোট আমাদের সবাইকে থামিয়ে দিয়েছে। এখন দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের সবারই একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যখনই শান্তি আলোচনা শুরু করতে চাইবে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাতে সমর্থন দেবেন।' ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েলকে শান্তি আলোচনায় অগ্রবর্তী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে হিলারি বলেন, 'এমন উদ্যোগ ইসরায়েলকে নৈতিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রও বাড়ি নির্মাণের নতুন ঘোষণার সমালোচনা করেছে। নতুন বসতি নির্মাণ শান্তি আলোচনায় বাধা তৈরি করবে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। হোয়াইট হাউস বলেছে, ইসরায়েলের এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৩৮টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে গত বৃহস্পতিবার 'পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র' বা কার্যত 'সার্বভৌম রাষ্ট্রের' স্বীকৃতি পায় ফিলিস্তিন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা নিয়ে রাষ্ট্র গঠনের যে প্রস্তাব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘে উত্থাপন করেন, এর উচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইসরায়েলি নেতারা। তাঁদের হুমকি সত্ত্বেও ওই প্রস্তাব পাস হলে ইসরায়েল নতুন তিন হাজার বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দেয়। 'ই-ওয়ান' নামের এ পরিকল্পনার আওতায় জেরুজালেম ও মালেহ আদুমিম বসতির মধ্যবর্তী এলাকায় নতুন এসব বাড়ি নির্মিত হবে। ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করেছে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের ১০০টিরও বেশি বসতি রয়েছে এবং সেগুলোতে পাঁচ লাখেরও বেশি ইহুদি বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ বসতিগুলো অবৈধ।
ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের প্লাটফর্ম পিএলও নতুন বসতি নির্মাণের ঘোষণাকে 'একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন' বলে অভিহিত করেছে। মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, 'জাতিসংঘে যারা ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে তাদের সবার মুখেই নতুন ঘোষণার মাধ্যমে থাপ্পড় মেরেছে ইসরায়েল।' ফিলিস্তিনি পক্ষের শান্তি আলোচক সায়েব এরাকাত বলেন, 'ইসরায়েলের পদক্ষেপ দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।' নতুন বাড়ি নির্মাণের ঘোষণাকে 'তাৎক্ষণিক উসকানিমূলক তৎপরতা' বলেও উল্লেখ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও যুক্তরাষ্ট্র নতুন বাড়ি নির্মাণের ঘোষণার সমালোচনা করেছে। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সভায় হিলারি ক্লিনটন বলেন, 'ইসরায়েলের এ ঘোষণা শান্তি আলোচনায় বাধা তৈরি করবে। গাজা নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি স্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু এ সপ্তাহে জাতিসংঘের ভোট আমাদের সবাইকে থামিয়ে দিয়েছে। এখন দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের সবারই একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যখনই শান্তি আলোচনা শুরু করতে চাইবে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাতে সমর্থন দেবেন।' ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েলকে শান্তি আলোচনায় অগ্রবর্তী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে হিলারি বলেন, 'এমন উদ্যোগ ইসরায়েলকে নৈতিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments