মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক-জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রীদের সক্রিয় হতে হবে
একটি দেশের পরিচালনার দায়িত্বভার বহন করে সে দেশের মন্ত্রিপরিষদ। তাই মন্ত্রিপরিষদের চিন্তা-ভাবনা, দক্ষতা এবং সে অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপের ওপর একটি দেশের ঠিকভাবে চলা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে।
এ জন্য মন্ত্রীদের সদিচ্ছা ও দেশের জনগণ বা জাতির প্রতি অঙ্গীকার রক্ষা করা তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। চিন্তা-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের কাজ যাতে সঠিকভাবে চালিত ও ত্বরান্বিত হয়, সে জন্য সংসদের বাইরে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়ে থাকে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দৈনিক কালের কণ্ঠে গতকালের শীর্ষ খবর ছিল আমাদের মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক নিয়ে। তাতে জানা গেল, কেনাকাটা বিষয়েই মন্ত্রীরা বেশি সক্রিয় এবং এ বিষয়ে বৈঠকও হয়েছে শতাধিক। অথচ গত তিন বছরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চিত্র উদ্বেগজনক থাকা সত্ত্বেও বৈঠক হয়েছে মাত্র আটটি। মন্ত্রীরা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবহেলা করে অর্থ-সুবিধা সংক্রান্ত ব্যাপারেই অধিক তৎপর থাকলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।
মন্ত্রীরা যদি এমন মানসিকতা পোষণ করেন তাহলে তাঁদের পক্ষে একটি জাতির হাল ধরার ক্ষেত্রে অবস্থাটা কী দাঁড়াবে, তা না বললেও চলে। এ ছাড়া মন্ত্রীদের উৎসাহ-আগ্রহ ও কর্ম দেখেশুনে দেশের সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারাও সেই পথই অনুসরণ করেন_এটাই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ছাত্র ক্যাডার এসব প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোও একই পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কিন্তু মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের দেশ-জাতির কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে সমস্যা কোথায়? তিন বছরের মধ্যে এই সরকার সংসদ সদস্যদের কোনো বায়নাই অপূর্ণ রাখেনি। বাসাবাড়ি, বেতন-ভাতা সব বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা না করেই। বিশ্বের কোথাও এমন গরিব দেশের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা এত দামি গাড়িতে চড়েন না, এমনকি রাষ্ট্রীয় অন্য সুযোগ-সুবিধা পান না, অথবা তা চান-ই না। কিন্তু আমাদের দেশের সংসদ সদস্যরা শিক্ষাকেন্দ্রে ভর্তির কোটাও দাবি করেন। এসব কথা ওঠে যখন দেখা যায় মন্ত্রীরা ব্যস্ত থাকেন অর্থকড়ির পেছনে আর আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে, তাঁরা ভ্রূক্ষেপ করছেন না, এমনকি রামুর অনভিপ্রেত সাম্প্রদায়িক ধ্বংসযজ্ঞ, পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ বা সম্প্রতি পুলিশের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে জামায়াত-শিবির আইনশৃঙ্খলার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করল_এসব কোনো ইস্যু নিয়ে মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠক করেনি।
এ ছাড়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য খাত রয়েছে, যা নিয়ে রীতিমতো বৈঠক করা একান্ত জরুরি। মন্ত্রীদের এমন উদাসীনতার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপর্যয় ঘটেছে, যেমন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হলমার্ক, শেয়ারবাজার, ডেসটিনি প্রভৃতি। যোগাযোগ ক্ষেত্রে ঘটেছে সবচেয়ে লজ্জাকর ঘটনা, যদিও এখন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নতুন মন্ত্রী এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নতুন এসেছেন। কিন্তু নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা আসার পরও মন্ত্রিসভা কমিটির কাজে লক্ষণীয় পরিবর্তন নেই। আমরা আশা করব, মন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। আবশ্যকতা বিবেচনায় বৈঠকে বসে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন। কারণ দেশের গরিব মানুষের টাকাতেই আপনাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করছে রাষ্ট্র। সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রাখা হয়েছে দেশের মানুষের কথা ভাবার জন্যই। এ সত্যটি ভুলে গেলে দেশের সর্বনাশ ঠেকানো যাবে না।
মন্ত্রীরা যদি এমন মানসিকতা পোষণ করেন তাহলে তাঁদের পক্ষে একটি জাতির হাল ধরার ক্ষেত্রে অবস্থাটা কী দাঁড়াবে, তা না বললেও চলে। এ ছাড়া মন্ত্রীদের উৎসাহ-আগ্রহ ও কর্ম দেখেশুনে দেশের সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারাও সেই পথই অনুসরণ করেন_এটাই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ছাত্র ক্যাডার এসব প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোও একই পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কিন্তু মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের দেশ-জাতির কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে সমস্যা কোথায়? তিন বছরের মধ্যে এই সরকার সংসদ সদস্যদের কোনো বায়নাই অপূর্ণ রাখেনি। বাসাবাড়ি, বেতন-ভাতা সব বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা না করেই। বিশ্বের কোথাও এমন গরিব দেশের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা এত দামি গাড়িতে চড়েন না, এমনকি রাষ্ট্রীয় অন্য সুযোগ-সুবিধা পান না, অথবা তা চান-ই না। কিন্তু আমাদের দেশের সংসদ সদস্যরা শিক্ষাকেন্দ্রে ভর্তির কোটাও দাবি করেন। এসব কথা ওঠে যখন দেখা যায় মন্ত্রীরা ব্যস্ত থাকেন অর্থকড়ির পেছনে আর আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে, তাঁরা ভ্রূক্ষেপ করছেন না, এমনকি রামুর অনভিপ্রেত সাম্প্রদায়িক ধ্বংসযজ্ঞ, পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ বা সম্প্রতি পুলিশের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে জামায়াত-শিবির আইনশৃঙ্খলার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করল_এসব কোনো ইস্যু নিয়ে মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠক করেনি।
এ ছাড়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য খাত রয়েছে, যা নিয়ে রীতিমতো বৈঠক করা একান্ত জরুরি। মন্ত্রীদের এমন উদাসীনতার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপর্যয় ঘটেছে, যেমন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হলমার্ক, শেয়ারবাজার, ডেসটিনি প্রভৃতি। যোগাযোগ ক্ষেত্রে ঘটেছে সবচেয়ে লজ্জাকর ঘটনা, যদিও এখন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নতুন মন্ত্রী এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নতুন এসেছেন। কিন্তু নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা আসার পরও মন্ত্রিসভা কমিটির কাজে লক্ষণীয় পরিবর্তন নেই। আমরা আশা করব, মন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। আবশ্যকতা বিবেচনায় বৈঠকে বসে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন। কারণ দেশের গরিব মানুষের টাকাতেই আপনাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করছে রাষ্ট্র। সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রাখা হয়েছে দেশের মানুষের কথা ভাবার জন্যই। এ সত্যটি ভুলে গেলে দেশের সর্বনাশ ঠেকানো যাবে না।
No comments