বিশ্বজুড়ে বাংলা বিশ্বজুড়ে প্রথম আলো- বিদেশের সাংবাদিকতায়ও প্রথম আলো প্রথম by মনজুরুল হক
প্রথম আলোর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এর সূচনালগ্ন থেকে। মনে পড়ে, নতুন একটি পত্রিকার প্রথম সংখ্যা থেকে লেখা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে পত্রিকার সম্পাদক, আমাদের খুবই কাছের মানুষ, মতি ভাইয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি আমি পেয়েছিলাম।
এর আগে পর্যন্ত আমি ছিলাম মতি ভাইয়েরই সেই সময়ের পত্রিকা ভোরের কাগজ-এর নিয়মিত কলাম লেখক। ফলে নতুন পত্রিকার ডাকে সাড়া দিতে বিলম্ব আমার হয়নি। সেই প্রথম সংখ্যা থেকেই প্রথম আলোতে লিখছি।
জাপানে আমি প্রথম আলোর নিবন্ধিত প্রতিনিধি। সেই সুবাদে সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত নানা রকম সুযোগ এখানে আমি পাচ্ছি, যার একটি হচ্ছে সারা বিশ্বে পরিচিত এবং সমগ্র এশিয়ায় সবচেয়ে সম্মানিত একটি প্রেসক্লাব হিসেবে গণ্য ‘ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব জাপান’-এর সদস্য হতে পারা। ২০০০ সাল থেকে এই ক্লাবের সদস্য আমি। ক্লাবের সদস্য হওয়ায় যিনি আমাকে সেই শুরুর দিনগুলোতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তিনি হলেন বিলেতের দৈনিক গার্ডিয়ান-এর সেই সময়ের টোকিও প্রতিনিধি জনাথন ওয়াটস। জনাথন এখন বেইজিং হয়ে রিও ডি জেনিরোতে গার্ডিয়ান-এর দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে সামুদ্রিক ঝড় সিডরের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ সংগ্রহে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় প্রথম আলো যে সহযোগিতা সেই সময় তাঁকে করেছিল, সে কথা জনাথন আজও মনে রেখেছেন।
বিশ্বের অগ্রসর দেশগুলোতে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব সাধারণত অগ্রসর দেশের সাংবাদিকদের ওপরই ন্যস্ত থাকে এবং বাংলাদেশ কিংবা তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের সাধারণত সেসব ক্লাবের সদস্য হতে দেখা যায় না। জাপানও সেই ধারার ব্যতিক্রমী কোনো দৃষ্টান্ত ছিল না। ফলে ক্লাবের সদস্য হওয়ার শুরুর সেই দিনগুলোতে ক্লাবের নেতৃত্ব গ্রহণের কোনো রকম চিন্তাভাবনা আমার মধ্যে একেবারেই ছিল না। তবে এক বছর পর বার্তা সংস্থা এপির সেই সময়ের ব্যুরো প্রধান মাইরন বেলকাইন্ড আমাকে পরিচালক পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানান। মাইরন সেবার ছিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। অনুরোধে সাড়া দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আমি ভুগছিলাম। এর কারণ অবশ্যই হচ্ছে আমার দেশের অবস্থান। বাংলাদেশি কোনো সাংবাদিককে প্রধানত ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা থেকে আসা সাংবাদিকেরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন কি না, তা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ ছিল। এর আরেকটি কারণ হলো, প্রার্থী কোন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করছেন, ক্লাবের শ চারেক সাংবাদিক ভোটারকে সে বিষয়টিও খুবই প্রভাবিত করে। তবে মাইরন আমাকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে বিশ্বের জনবহুল একটি দেশ বাংলাদেশের প্রধান একটি দৈনিককে হেয় করে দেখার কোনো উপায় নেই। সেবারের ভোটে বেশ ভালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাবের পরিচালক পদে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। নির্বাচিত ক্লাব কর্মকর্তাদের ছবির সঙ্গে প্রথম আলোর পরিচয়টিও তখন প্রথমবারের মতো ক্লাবের প্রবেশপথের সামনে সংযুক্ত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত, সেটাই হয়তো দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে অন্য কোনো দেশের স্বীকৃত একটি প্রেসক্লাবে বাংলাদেশি কোনো সাংবাদিকের পরিচালক বোর্ডে নির্বাচিত হওয়া।
সেবারের পর আরও একবার সচিব পদে প্রার্থী হলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ব্রিটিশ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ফ্রেড ভার্কো। সদস্যদের বিপুল ভোট সেবার আমার পক্ষে পড়ায় ফ্রেড আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশও যে সাংবাদিকতায় এগিয়ে আসছে, নির্বাচনে পরাজিত হলেও সেটা বুঝতে পেরে তিনি আনন্দিত। এর পরের কয়েক বছর ক্লাবের নির্বাচনে আমি অংশ নিইনি। তবে প্রতিবছরই কোনো না কোনো কমিটির দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে, যে সূত্রে আবারও প্রথম আলোর নাম যুক্ত হয়েছে ক্লাবের মাসিক সাময়িকীর প্রতিটি সংখ্যায়।
২০০৯ সালের নির্বাচনের আগে এপির উত্তর এশিয়া প্রধান কাজ আবিকোসহ বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় সাংবাদিক আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানালে আমি তাতে সম্মত হয়েছিলাম। তবে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আমার মনে এ কারণে ছিল যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তখন ছিলেন পশ্চিমা বিশ্বের খুবই পরিচিত সাময়িকী ফোর্বস-এর টোকিও ব্যুরো প্রধান টিম কেলি। ফোর্বস সাময়িকীর সঙ্গে প্রথম আলোর সেই সরাসরি প্রতিযোগিতায় টিম কেলির চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট লাভ করা আমাকে অবাক করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম একজন সাংবাদিক হিসেবে বিদেশের নেতৃস্থানীয় একটি প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আমার নিজের একটি পছন্দের বিষয় আমাকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। সেটা হচ্ছে, ক্লাবে স্থায়ীভাবে প্রদর্শনের জন্য কোন ছবি আমি রাখতে চাই।
ক্লাবের প্রচলিত একটি নিয়ম হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্টের পছন্দের একটি ছবি দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা। ক্লাব যত দিন এর অস্তিত্ব বজায় রাখবে, সেই ছবিও তত দিন ধরে দেয়ালে শোভা পাবে। বিদায়ী প্রেসিডেন্টরা সাধারণত তাঁদের দায়িত্ব পালনের সময় ক্লাবে বক্তব্য দিতে আসা বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে তোলা একটি ছবি স্থায়ী সেই প্রদর্শনীর জন্য বেছে নেন। আমার বাছাইয়ের তালিকায় অবশ্য দালাই লামাসহ আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজনের ছবি ছিল। তবে আমি বেছে নিয়েছি অধ্যাপক ইউনূসের প্রেস কনফারেন্স পরিচালনার ছবি। প্রথম আলোর সঙ্গে বাংলাদেশকেও আমি রাখতে চেয়েছিলাম বলেই সেই সিদ্ধান্ত আমার নেওয়া। সেই ছবির নিচে লেখা পরিচিতিতেও প্রথম আলোর নাম সংযুক্ত আছে।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাপানের সম্রাটের সাক্ষাৎ লাভ করার মতো দুর্লভ যেসব সম্মান আমি পেয়েছি, তার সবটাই এসেছে প্রথম আলোর কল্যাণে। সেই সঙ্গে প্রথম আলোর নাম বিদেশের সাংবাদিক মহলে এভাবে নিয়ে যেতে পারাটাও আমার জন্য হচ্ছে খুবই তৃপ্তির এক অনুভূতি। বিদেশের সাংবাদিকতাতেও তাই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের মধ্যে প্রথম আলো অনন্য এক স্থান করে নিতে পেরেছে।
টোকিও, ২৫ নভেম্বর ২০১২
জাপানে আমি প্রথম আলোর নিবন্ধিত প্রতিনিধি। সেই সুবাদে সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত নানা রকম সুযোগ এখানে আমি পাচ্ছি, যার একটি হচ্ছে সারা বিশ্বে পরিচিত এবং সমগ্র এশিয়ায় সবচেয়ে সম্মানিত একটি প্রেসক্লাব হিসেবে গণ্য ‘ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব জাপান’-এর সদস্য হতে পারা। ২০০০ সাল থেকে এই ক্লাবের সদস্য আমি। ক্লাবের সদস্য হওয়ায় যিনি আমাকে সেই শুরুর দিনগুলোতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তিনি হলেন বিলেতের দৈনিক গার্ডিয়ান-এর সেই সময়ের টোকিও প্রতিনিধি জনাথন ওয়াটস। জনাথন এখন বেইজিং হয়ে রিও ডি জেনিরোতে গার্ডিয়ান-এর দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে সামুদ্রিক ঝড় সিডরের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ সংগ্রহে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় প্রথম আলো যে সহযোগিতা সেই সময় তাঁকে করেছিল, সে কথা জনাথন আজও মনে রেখেছেন।
বিশ্বের অগ্রসর দেশগুলোতে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব সাধারণত অগ্রসর দেশের সাংবাদিকদের ওপরই ন্যস্ত থাকে এবং বাংলাদেশ কিংবা তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের সাধারণত সেসব ক্লাবের সদস্য হতে দেখা যায় না। জাপানও সেই ধারার ব্যতিক্রমী কোনো দৃষ্টান্ত ছিল না। ফলে ক্লাবের সদস্য হওয়ার শুরুর সেই দিনগুলোতে ক্লাবের নেতৃত্ব গ্রহণের কোনো রকম চিন্তাভাবনা আমার মধ্যে একেবারেই ছিল না। তবে এক বছর পর বার্তা সংস্থা এপির সেই সময়ের ব্যুরো প্রধান মাইরন বেলকাইন্ড আমাকে পরিচালক পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানান। মাইরন সেবার ছিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। অনুরোধে সাড়া দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আমি ভুগছিলাম। এর কারণ অবশ্যই হচ্ছে আমার দেশের অবস্থান। বাংলাদেশি কোনো সাংবাদিককে প্রধানত ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা থেকে আসা সাংবাদিকেরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন কি না, তা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ ছিল। এর আরেকটি কারণ হলো, প্রার্থী কোন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করছেন, ক্লাবের শ চারেক সাংবাদিক ভোটারকে সে বিষয়টিও খুবই প্রভাবিত করে। তবে মাইরন আমাকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে বিশ্বের জনবহুল একটি দেশ বাংলাদেশের প্রধান একটি দৈনিককে হেয় করে দেখার কোনো উপায় নেই। সেবারের ভোটে বেশ ভালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাবের পরিচালক পদে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। নির্বাচিত ক্লাব কর্মকর্তাদের ছবির সঙ্গে প্রথম আলোর পরিচয়টিও তখন প্রথমবারের মতো ক্লাবের প্রবেশপথের সামনে সংযুক্ত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত, সেটাই হয়তো দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে অন্য কোনো দেশের স্বীকৃত একটি প্রেসক্লাবে বাংলাদেশি কোনো সাংবাদিকের পরিচালক বোর্ডে নির্বাচিত হওয়া।
সেবারের পর আরও একবার সচিব পদে প্রার্থী হলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ব্রিটিশ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ফ্রেড ভার্কো। সদস্যদের বিপুল ভোট সেবার আমার পক্ষে পড়ায় ফ্রেড আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশও যে সাংবাদিকতায় এগিয়ে আসছে, নির্বাচনে পরাজিত হলেও সেটা বুঝতে পেরে তিনি আনন্দিত। এর পরের কয়েক বছর ক্লাবের নির্বাচনে আমি অংশ নিইনি। তবে প্রতিবছরই কোনো না কোনো কমিটির দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে, যে সূত্রে আবারও প্রথম আলোর নাম যুক্ত হয়েছে ক্লাবের মাসিক সাময়িকীর প্রতিটি সংখ্যায়।
২০০৯ সালের নির্বাচনের আগে এপির উত্তর এশিয়া প্রধান কাজ আবিকোসহ বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় সাংবাদিক আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানালে আমি তাতে সম্মত হয়েছিলাম। তবে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আমার মনে এ কারণে ছিল যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তখন ছিলেন পশ্চিমা বিশ্বের খুবই পরিচিত সাময়িকী ফোর্বস-এর টোকিও ব্যুরো প্রধান টিম কেলি। ফোর্বস সাময়িকীর সঙ্গে প্রথম আলোর সেই সরাসরি প্রতিযোগিতায় টিম কেলির চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট লাভ করা আমাকে অবাক করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম একজন সাংবাদিক হিসেবে বিদেশের নেতৃস্থানীয় একটি প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আমার নিজের একটি পছন্দের বিষয় আমাকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। সেটা হচ্ছে, ক্লাবে স্থায়ীভাবে প্রদর্শনের জন্য কোন ছবি আমি রাখতে চাই।
ক্লাবের প্রচলিত একটি নিয়ম হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্টের পছন্দের একটি ছবি দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা। ক্লাব যত দিন এর অস্তিত্ব বজায় রাখবে, সেই ছবিও তত দিন ধরে দেয়ালে শোভা পাবে। বিদায়ী প্রেসিডেন্টরা সাধারণত তাঁদের দায়িত্ব পালনের সময় ক্লাবে বক্তব্য দিতে আসা বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে তোলা একটি ছবি স্থায়ী সেই প্রদর্শনীর জন্য বেছে নেন। আমার বাছাইয়ের তালিকায় অবশ্য দালাই লামাসহ আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজনের ছবি ছিল। তবে আমি বেছে নিয়েছি অধ্যাপক ইউনূসের প্রেস কনফারেন্স পরিচালনার ছবি। প্রথম আলোর সঙ্গে বাংলাদেশকেও আমি রাখতে চেয়েছিলাম বলেই সেই সিদ্ধান্ত আমার নেওয়া। সেই ছবির নিচে লেখা পরিচিতিতেও প্রথম আলোর নাম সংযুক্ত আছে।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাপানের সম্রাটের সাক্ষাৎ লাভ করার মতো দুর্লভ যেসব সম্মান আমি পেয়েছি, তার সবটাই এসেছে প্রথম আলোর কল্যাণে। সেই সঙ্গে প্রথম আলোর নাম বিদেশের সাংবাদিক মহলে এভাবে নিয়ে যেতে পারাটাও আমার জন্য হচ্ছে খুবই তৃপ্তির এক অনুভূতি। বিদেশের সাংবাদিকতাতেও তাই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের মধ্যে প্রথম আলো অনন্য এক স্থান করে নিতে পেরেছে।
টোকিও, ২৫ নভেম্বর ২০১২
No comments