সংলাপ অপরিহার্য-তৈরি করতে হবে উপযুক্ত পরিবেশ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন একটি সংকটাবস্থা বিরাজ করছে। লাগসই একটি সমীকরণ খুঁজে বের করতে না পারলে এই রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ পাওয়া যাবে না। সংকট যে সংঘাতে রূপ নিতে পারে, তার কিছু ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু সমাধানের পথে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সমাধানসূত্র যে সংলাপ, সে কথা সবাই স্বীকার করে নিলেও সংলাপ অনুষ্ঠানের প্রয়াস কোনো পক্ষ থেকেই দেখা যাচ্ছে না। লন্ডনে একটি সেমিনারে আগামী নির্বাচন নিয়ে মতভেদ দূর করতে সংলাপের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 'বেড়ালের গলায় ঘণ্টা' বাঁধার ঐতিহাসিক দায়িত্বটি কে পালন করবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যায় না।
গণতন্ত্র টিকে থাকে অনেক শর্ত পূরণের মধ্য দিয়ে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার হয়ে উঠতে হয়। সরকারকে কাজ করতে হয় জনগণের জন্য। নৈতিক রীতিনীতি মেনে চলা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। সমাজ যখন নৈতিকতা থেকে দূরে সরে যায়, বন্ধন শিথিল হয়, তখন সামাজিক রীতিনীতিকে দূরে সরিয়ে রাখার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। গণতন্ত্রের ভিত্তি রচিত হয় নৈতিকতাবোধ ও রীতি মেনে চলার ভেতর দিয়ে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হয়। আচরণে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে সমাজে মানুষের মধ্যে দায়িত্ববোধ জন্ম নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের শর্ত কতটা মেনে চলছে, এমন প্রশ্ন করা যেতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো বিবেচনাবোধ ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছে কি না, সে প্রশ্নটাও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আরেকটি সাধারণ নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, এসব প্রশ্ন ততই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে ধরা হয়। বিরোধী দল ছায়া-সরকারের ভূমিকা পালন করে। কিন্তু শুধু গত চার বছরই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখতে পাই, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। দেশ পরিচালনায় বিরোধী দল ও সরকারের যে যোজন ফারাক, তা থেকে দেশ ও দশের কোনো মঙ্গল নিশ্চিত করা যায় না।
সরকার ও বিরোধী দলের এই ব্যবধান এর আগে দেশের রাজনীতিকে সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান এখন পুরোপুরি বিপরীতমুখী। বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে সরকার ওই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে নয়। দুই পক্ষের এই বিপরীতমুখী অবস্থানের ফাঁক দিয়ে কেউ কেউ চার বছর আগের পরিস্থিতির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
এদিকে লন্ডনে এক সেমিনারে তাই সংঘাত এড়াতে সংলাপ অনুষ্ঠানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সেমিনারের আয়োজক ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অল পার্টি বাংলাদেশ পার্লামেন্টারিয়ান গ্রুপ। সেখানে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, হত্যা-গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে। ঘটনাগুলো তুলে ধরে দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রশ্ন করা হয় নির্যাতনবিরোধী আইন প্রণয়নের ব্যাপারে। উভয় পক্ষ এ ব্যাপারে একযোগে কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছে। ব্রিটিশ এমপিরা এই সম্মতিকে যুগান্তকারী ঘটনা বলেছেন।
আমরা চাই, সরকার ও বিরোধী দল নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় বসে আগামী নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থাসহ সব সমস্যার সমাধান করবে। এখন থেকেই তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। তৈরি করতে হবে উপযুক্ত পরিবেশ। রাজনৈতিক মতভেদ দূর করতে রাজনৈতিক পদক্ষেপই নিতে হবে।
গণতন্ত্র টিকে থাকে অনেক শর্ত পূরণের মধ্য দিয়ে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার হয়ে উঠতে হয়। সরকারকে কাজ করতে হয় জনগণের জন্য। নৈতিক রীতিনীতি মেনে চলা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। সমাজ যখন নৈতিকতা থেকে দূরে সরে যায়, বন্ধন শিথিল হয়, তখন সামাজিক রীতিনীতিকে দূরে সরিয়ে রাখার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। গণতন্ত্রের ভিত্তি রচিত হয় নৈতিকতাবোধ ও রীতি মেনে চলার ভেতর দিয়ে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হয়। আচরণে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে সমাজে মানুষের মধ্যে দায়িত্ববোধ জন্ম নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের শর্ত কতটা মেনে চলছে, এমন প্রশ্ন করা যেতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো বিবেচনাবোধ ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছে কি না, সে প্রশ্নটাও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আরেকটি সাধারণ নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, এসব প্রশ্ন ততই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে ধরা হয়। বিরোধী দল ছায়া-সরকারের ভূমিকা পালন করে। কিন্তু শুধু গত চার বছরই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখতে পাই, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। দেশ পরিচালনায় বিরোধী দল ও সরকারের যে যোজন ফারাক, তা থেকে দেশ ও দশের কোনো মঙ্গল নিশ্চিত করা যায় না।
সরকার ও বিরোধী দলের এই ব্যবধান এর আগে দেশের রাজনীতিকে সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান এখন পুরোপুরি বিপরীতমুখী। বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে সরকার ওই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে নয়। দুই পক্ষের এই বিপরীতমুখী অবস্থানের ফাঁক দিয়ে কেউ কেউ চার বছর আগের পরিস্থিতির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
এদিকে লন্ডনে এক সেমিনারে তাই সংঘাত এড়াতে সংলাপ অনুষ্ঠানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সেমিনারের আয়োজক ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অল পার্টি বাংলাদেশ পার্লামেন্টারিয়ান গ্রুপ। সেখানে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, হত্যা-গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে। ঘটনাগুলো তুলে ধরে দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রশ্ন করা হয় নির্যাতনবিরোধী আইন প্রণয়নের ব্যাপারে। উভয় পক্ষ এ ব্যাপারে একযোগে কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছে। ব্রিটিশ এমপিরা এই সম্মতিকে যুগান্তকারী ঘটনা বলেছেন।
আমরা চাই, সরকার ও বিরোধী দল নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় বসে আগামী নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থাসহ সব সমস্যার সমাধান করবে। এখন থেকেই তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। তৈরি করতে হবে উপযুক্ত পরিবেশ। রাজনৈতিক মতভেদ দূর করতে রাজনৈতিক পদক্ষেপই নিতে হবে।
No comments