পদ্মা সেতু প্রকল্প- এসএনসি-লাভালিনকে কাজ দিতে বারবার কমিটি পরিবর্তন
এসএনসি-লাভালিনকে কাজ পাইয়ে দিতেই বারবার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। আর এই কাজ পেতে ১০ শতাংশ ঘুষ লেনদেনেরও আলোচনা হয়েছিল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য পরামর্শক সংস্থা এসএনসি-লাভালিনকে প্রথম হিসেবে নির্বাচনের পর কার্যাদেশ দিতে কাজের ১০ শতাংশ ঘুষ লেনদেনের আলোচনা, সে অনুযায়ী ষড়যন্ত্র করে দরপত্র অংশগ্রহণকারী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেছনে রাখতে বারবার দরপত্র কমিটি পরিবর্তন এবং পরামর্শক সংস্থা নিয়োগের কাজটি চূড়ান্ত করতে এক বছর ১০ মাস সময়ক্ষেপণের বিষয়টিই সন্দেহজনক ও দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে দুদক।
গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের কাছে জমা দেওয়া খসড়া প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশের পেছনে এসব তথ্যকে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছে অনুসন্ধান দল। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সেতু বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে সেতুর জন্য পরামর্শক সংস্থা নির্বাচন-প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করে সেতু বিভাগ। ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের পরিচালক রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এটি ছিল দরপত্র মূল্যায়ন করার জন্য প্রথম কমিটি। কমিটির কাজ ছিল দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন করে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা।
সেতু বিভাগ ও দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রথম দরপত্র কমিটি গঠনের পর রহস্যজনক কারণে তা ভেঙে দিয়ে ২০১০ সালের ৭ জুন আবার দ্বিতীয় কমিটি গঠন করা হয়। এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. সেকান্দার আলীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি তৈরি হয়। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে দুদককে জানিয়েছেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও সচিবের নির্দেশেই এই দ্বিতীয় কমিটি তৈরি করা হয়। দ্বিতীয় কমিটি তৈরির ১৬ দিনের মাথায় ২০১০ সালের ২৩ জুন নতুন করে তৃতীয় কমিটি তৈরি করা হয়। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া হন এই কমিটির প্রধান।
জানা গেছে, এই কমিটি প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম তদন্ত দলকে বলেন, কমিটি ঠিকমতো কাজ না করায় এবং মন্ত্রী-সচিবের সরাসরি নির্দেশে চতুর্থবারের মতো একটি কমিটি তৈরি করা হয়। একই বছরের ৪ নভেম্বর চতুর্থ কমিটি গঠন করা হয়।
এভাবে বারবার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির ভাঙাগড়ার পেছনে দুদক বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে সময় নষ্ট করা হয়েছে। আর এর মূল লক্ষ্য ছিল এসএনসি-লাভালিনকে কাজ পাইয়ে দেওয়া। এভাবে কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ও কয়েকজন বেসরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরও জানা গেছে, কানাডিয়ান কারিগরি প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিন পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজ পাওয়ার জন্য উপযুক্ত ছিল না। অথচ এই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিতেই চারবার গঠন করা হয় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। এমনকি অভিযুক্তরা সবশেষে গঠিত অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিটির কাছেও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের কারিগরি ও আর্থিক বিষয়াদি-সংক্রান্ত অনেক তথ্য গোপন করা হয়েছে বলে যানা গেছে।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে কমিটির তিনজন সদস্য বলেছেন, ‘আমরা ঠিকমতোই কাজ করছিলাম। হঠাৎ একদিন শুনি, আমাদের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেটাও লোকমুখে। আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি দিয়েও আমাদের বিষয়টি জানানো প্রয়োজন মনে করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুধু জেনেছি, মন্ত্রীর নির্দেশে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এসব আচরণ দেখে আমাদের মনে হয়েছে, এসএনসি-লাভালিনকে কাজ দিতে সব রকমের চেষ্টাই করা হয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের কাছে জমা দেওয়া খসড়া প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশের পেছনে এসব তথ্যকে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছে অনুসন্ধান দল। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সেতু বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে সেতুর জন্য পরামর্শক সংস্থা নির্বাচন-প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করে সেতু বিভাগ। ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের পরিচালক রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এটি ছিল দরপত্র মূল্যায়ন করার জন্য প্রথম কমিটি। কমিটির কাজ ছিল দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন করে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা।
সেতু বিভাগ ও দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রথম দরপত্র কমিটি গঠনের পর রহস্যজনক কারণে তা ভেঙে দিয়ে ২০১০ সালের ৭ জুন আবার দ্বিতীয় কমিটি গঠন করা হয়। এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. সেকান্দার আলীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি তৈরি হয়। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে দুদককে জানিয়েছেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও সচিবের নির্দেশেই এই দ্বিতীয় কমিটি তৈরি করা হয়। দ্বিতীয় কমিটি তৈরির ১৬ দিনের মাথায় ২০১০ সালের ২৩ জুন নতুন করে তৃতীয় কমিটি তৈরি করা হয়। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া হন এই কমিটির প্রধান।
জানা গেছে, এই কমিটি প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম তদন্ত দলকে বলেন, কমিটি ঠিকমতো কাজ না করায় এবং মন্ত্রী-সচিবের সরাসরি নির্দেশে চতুর্থবারের মতো একটি কমিটি তৈরি করা হয়। একই বছরের ৪ নভেম্বর চতুর্থ কমিটি গঠন করা হয়।
এভাবে বারবার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির ভাঙাগড়ার পেছনে দুদক বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে সময় নষ্ট করা হয়েছে। আর এর মূল লক্ষ্য ছিল এসএনসি-লাভালিনকে কাজ পাইয়ে দেওয়া। এভাবে কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ও কয়েকজন বেসরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরও জানা গেছে, কানাডিয়ান কারিগরি প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিন পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজ পাওয়ার জন্য উপযুক্ত ছিল না। অথচ এই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিতেই চারবার গঠন করা হয় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। এমনকি অভিযুক্তরা সবশেষে গঠিত অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিটির কাছেও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের কারিগরি ও আর্থিক বিষয়াদি-সংক্রান্ত অনেক তথ্য গোপন করা হয়েছে বলে যানা গেছে।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে কমিটির তিনজন সদস্য বলেছেন, ‘আমরা ঠিকমতোই কাজ করছিলাম। হঠাৎ একদিন শুনি, আমাদের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেটাও লোকমুখে। আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি দিয়েও আমাদের বিষয়টি জানানো প্রয়োজন মনে করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুধু জেনেছি, মন্ত্রীর নির্দেশে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এসব আচরণ দেখে আমাদের মনে হয়েছে, এসএনসি-লাভালিনকে কাজ দিতে সব রকমের চেষ্টাই করা হয়েছে।’
No comments