নতুন পেশা বিয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনা by আল-আমিন হক
নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় সবাই কাজ নিয়ে একটু চিন্তামুক্ত থাকতে চায়। কারণ, কাজের দায়িত্ব নেওয়া মানেই তো আরেক প্রস্থ চিন্তার জন্ম। আর সেটা যদি হয় বিয়ের অনুষ্ঠান সামলানো, তবে তো কথাই নেই, একবারে হাজার দায়িত্ব আর হাজার চিন্তার আনাগোনা।
এ সময়ে বর-কনে বা তাঁদের অভিভাবকদের কাজের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায় বলে সবকিছু ঠিকভাবে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় বিয়ের সার্বিক আয়োজন সুচারুভাবে সম্পন্ন করে দিতে পারে ওয়েডিং প্ল্যানার বা বিয়ে ব্যবস্থাপক। এ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বর-কনেদেখাদেখি বা ঠিক করা ছাড়া চাহিদার ভিত্তিতে বিয়ের বাকি সব কাজ করে দেয়। পেশা হিসেবে ওয়েডিং প্ল্যানার আমাদের দেশে নতুন, যা বহির্বিশ্বে পুরোনো ও অনেক জনপ্রিয়। তবে আমাদের দেশে দিন দিন এই পেশার বিকাশ ঘটছে।তাই একটু খোঁজখবর আর প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও যুক্ত হতে পারেন সৃজনশীল এই পেশায়।
কী করতে হয় ওয়েডিং প্ল্যানারকে: বিয়ে মানেই অনেক কাজের সমাহার। সে অনুযায়ীই ওয়েডিং প্ল্যানারকে বিয়ের ডালা-কুলা, মঞ্চ, গেট ও গাড়ি সাজানো, আলোকসজ্জা, ক্যাটারিং বা খাবারের ব্যবস্থা, কাজী নিয়ে আসা, ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি, ডিজে পার্টি, কমিউনিটি সেন্টার বা হোটেল ভাড়া ইত্যাদি কাজ করতে হয়। এমনকি কাজি আনা ও বিয়ের কেনাকাটার দায়িত্বও নিতে হতে পারে ওয়েডিং প্ল্যানারকে।
বিডি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ওয়েডিং প্ল্যানারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুর হোসেন নিহাদ জানান, এককথায় একজন ওয়েডিং প্ল্যানারের দায়িত্ব অনেক। কখনো কখনো পাত্রপক্ষ অথবা পাত্রীপক্ষের পছন্দের বাবুর্চির খাবারও সার্ভ করতে হয়। বিয়েতে কোনো নির্দিষ্ট জায়গার বা কোনো জেলার বিশেষ খাবার চাইলে তাও জোগাড় করার দায়িত্ব ওয়েডিং প্ল্যানারের। দক্ষ জনবল সঙ্গে নিয়ে সবকিছুই সামলাতে হয় ওয়েডিং প্ল্যানারকে।
শুরু হবে যেভাবে: শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রামেই নয়, দেশের প্রতিটি জেলা শহরেও এখন কদর বাড়ছে ওয়েডিং প্ল্যানার বা বিয়ে ব্যবস্থাপকের। তাই আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে কোন জায়গায় ব্যবসাটা করবেন।এরপরে একটি অফিস খুলতে হবে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানের সবকিছু ঠিকঠাকমতো সম্পন্ন করতে হলে একটি দক্ষ কর্মী বাহিনী থাকতে হবে, যাঁদের একেকজন একেক কাজে দক্ষ হবেন। আপনার টিম গঠন হয়ে গেলে প্রচার চালানো জরুরি। শুরুতে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোকেও প্রচার চালানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েব ঠিকানা থাকলে মন্দ হয় না। মনে রাখা দরকার, এ কাজের জন্য যোগাযোগ দক্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, পাত্র বা পাত্রীপক্ষ ছাড়াও ক্যাটারিং সার্ভিস, কমিউনিটি সেন্টার বা হোটেল, ফুল ব্যবসায়ী, ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ এগিয়ে নিতে হয়।
সৃজনশীল হওয়া জরুরি: একজন ওয়েডিং প্ল্যানার যত বেশি সৃজনশীল হবেন, তাঁর কাজ ততই ভালো হবে। মঞ্চ সাজানো থেকে শুরু করে বিয়ের প্রায় সব কাজেই সৃজনশীলতা জরুরি।আর ফটোগ্রাফিতে তো অবশ্যই। ওয়েডিং প্ল্যানারকে এই দায়িত্বটা একজন দক্ষ ফটোগ্রাফারকে দিতে হবে। ওয়েডিং ডায়েরির প্রধান নির্বাহী ও প্রধান ফটোগ্রাফার প্রিত রেজা বলেন, মোহে নয় বরং ভালোবেসে কাজ করা উচিত। মাথায় রাখা দরকার যে, বিয়ের অনুষ্ঠানটি একবারই হবে, চাইলেই অনুষ্ঠানটি আরেকবার করে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সর্বোচ্চ ভালোটি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
মূলধন ও আয়: ওয়েডিং প্ল্যানার হিসেবে একটি ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। এলাকাভেদে মূলধনের পার্থক্য থাকতে পারে। যেমন জেলা শহরে আপনি যে মূলধন নিয়ে শুরু করবেন ঢাকায় তার কয়েক গুণ বেশি লাগবে।তবে সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়েও যাত্রা শুরু করা যেতে পারে। নিজস্ব ভবনে অফিস হলে এই পরিমাণটা আরও কম হবে।
হ্যাপি ওয়েডিংয়ের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া তানজির বলেন, ‘কাজ শুরুর প্রথম দিকটায় ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব না নেওয়াই ভালো। কারণ, খাবার-দাবারের বিষয়ে অনেক যত্নশীলতার পরিচয় না দিতে পারলে প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুণ্ন হতে পারে।’ কাজের চুক্তির সময় গ্রাহক সব টাকা দেন না। তাই মূলধনের একটা বড় অংশ এখানেই লাগে। আর আয়ের ক্ষেত্রেও মূলধনের মতো এলাকাভেদে তা ভিন্ন হয়। প্রতিষ্ঠিত ওয়েডিং প্ল্যানাররা প্রতি মাসে গড়ে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। তবে আয় পুরোটাই নির্ভর করে কাজ পাওয়া না পাওয়ার ওপর। কাজের বাজেট যত বেশি হবে আয় তত বেশি হবে। প্রিত রেজা আরও জানান, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত বাজেট থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণটাও স্বাভাবিকভাবে বেশিই হবে।
প্রশিক্ষণ: আমাদের দেশে ওয়েডিং প্ল্যান বা বিয়ের সার্বিক আয়োজনের বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দেয় না। তবে আলাদা আলাদাভাবে ওয়েডিং প্ল্যানিংয়ের কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ আছে।যেমন ফ্লাওয়ার ডেকোরেশন বা ফুল সাজানো, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, সেট ডিজাইনিং, স্ক্রিপটিং বা কাজের ক্রমবিন্যাস ইত্যাদি। এ ব্যাপারে রাজধানীতে পাঠশালাসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থা জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট বা নিমকোতে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
কী করতে হয় ওয়েডিং প্ল্যানারকে: বিয়ে মানেই অনেক কাজের সমাহার। সে অনুযায়ীই ওয়েডিং প্ল্যানারকে বিয়ের ডালা-কুলা, মঞ্চ, গেট ও গাড়ি সাজানো, আলোকসজ্জা, ক্যাটারিং বা খাবারের ব্যবস্থা, কাজী নিয়ে আসা, ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি, ডিজে পার্টি, কমিউনিটি সেন্টার বা হোটেল ভাড়া ইত্যাদি কাজ করতে হয়। এমনকি কাজি আনা ও বিয়ের কেনাকাটার দায়িত্বও নিতে হতে পারে ওয়েডিং প্ল্যানারকে।
বিডি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ওয়েডিং প্ল্যানারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুর হোসেন নিহাদ জানান, এককথায় একজন ওয়েডিং প্ল্যানারের দায়িত্ব অনেক। কখনো কখনো পাত্রপক্ষ অথবা পাত্রীপক্ষের পছন্দের বাবুর্চির খাবারও সার্ভ করতে হয়। বিয়েতে কোনো নির্দিষ্ট জায়গার বা কোনো জেলার বিশেষ খাবার চাইলে তাও জোগাড় করার দায়িত্ব ওয়েডিং প্ল্যানারের। দক্ষ জনবল সঙ্গে নিয়ে সবকিছুই সামলাতে হয় ওয়েডিং প্ল্যানারকে।
শুরু হবে যেভাবে: শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রামেই নয়, দেশের প্রতিটি জেলা শহরেও এখন কদর বাড়ছে ওয়েডিং প্ল্যানার বা বিয়ে ব্যবস্থাপকের। তাই আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে কোন জায়গায় ব্যবসাটা করবেন।এরপরে একটি অফিস খুলতে হবে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানের সবকিছু ঠিকঠাকমতো সম্পন্ন করতে হলে একটি দক্ষ কর্মী বাহিনী থাকতে হবে, যাঁদের একেকজন একেক কাজে দক্ষ হবেন। আপনার টিম গঠন হয়ে গেলে প্রচার চালানো জরুরি। শুরুতে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোকেও প্রচার চালানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েব ঠিকানা থাকলে মন্দ হয় না। মনে রাখা দরকার, এ কাজের জন্য যোগাযোগ দক্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, পাত্র বা পাত্রীপক্ষ ছাড়াও ক্যাটারিং সার্ভিস, কমিউনিটি সেন্টার বা হোটেল, ফুল ব্যবসায়ী, ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ এগিয়ে নিতে হয়।
সৃজনশীল হওয়া জরুরি: একজন ওয়েডিং প্ল্যানার যত বেশি সৃজনশীল হবেন, তাঁর কাজ ততই ভালো হবে। মঞ্চ সাজানো থেকে শুরু করে বিয়ের প্রায় সব কাজেই সৃজনশীলতা জরুরি।আর ফটোগ্রাফিতে তো অবশ্যই। ওয়েডিং প্ল্যানারকে এই দায়িত্বটা একজন দক্ষ ফটোগ্রাফারকে দিতে হবে। ওয়েডিং ডায়েরির প্রধান নির্বাহী ও প্রধান ফটোগ্রাফার প্রিত রেজা বলেন, মোহে নয় বরং ভালোবেসে কাজ করা উচিত। মাথায় রাখা দরকার যে, বিয়ের অনুষ্ঠানটি একবারই হবে, চাইলেই অনুষ্ঠানটি আরেকবার করে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সর্বোচ্চ ভালোটি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
মূলধন ও আয়: ওয়েডিং প্ল্যানার হিসেবে একটি ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। এলাকাভেদে মূলধনের পার্থক্য থাকতে পারে। যেমন জেলা শহরে আপনি যে মূলধন নিয়ে শুরু করবেন ঢাকায় তার কয়েক গুণ বেশি লাগবে।তবে সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়েও যাত্রা শুরু করা যেতে পারে। নিজস্ব ভবনে অফিস হলে এই পরিমাণটা আরও কম হবে।
হ্যাপি ওয়েডিংয়ের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া তানজির বলেন, ‘কাজ শুরুর প্রথম দিকটায় ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব না নেওয়াই ভালো। কারণ, খাবার-দাবারের বিষয়ে অনেক যত্নশীলতার পরিচয় না দিতে পারলে প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুণ্ন হতে পারে।’ কাজের চুক্তির সময় গ্রাহক সব টাকা দেন না। তাই মূলধনের একটা বড় অংশ এখানেই লাগে। আর আয়ের ক্ষেত্রেও মূলধনের মতো এলাকাভেদে তা ভিন্ন হয়। প্রতিষ্ঠিত ওয়েডিং প্ল্যানাররা প্রতি মাসে গড়ে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। তবে আয় পুরোটাই নির্ভর করে কাজ পাওয়া না পাওয়ার ওপর। কাজের বাজেট যত বেশি হবে আয় তত বেশি হবে। প্রিত রেজা আরও জানান, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত বাজেট থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণটাও স্বাভাবিকভাবে বেশিই হবে।
প্রশিক্ষণ: আমাদের দেশে ওয়েডিং প্ল্যান বা বিয়ের সার্বিক আয়োজনের বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দেয় না। তবে আলাদা আলাদাভাবে ওয়েডিং প্ল্যানিংয়ের কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ আছে।যেমন ফ্লাওয়ার ডেকোরেশন বা ফুল সাজানো, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, সেট ডিজাইনিং, স্ক্রিপটিং বা কাজের ক্রমবিন্যাস ইত্যাদি। এ ব্যাপারে রাজধানীতে পাঠশালাসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থা জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট বা নিমকোতে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
No comments