কসমেটিক ডেন্টাল চিকিৎসা by মো. আসাফুজ্জোহা
নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য সবাই এখন সচেষ্ট। আর তাই বিউটি পারলারে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও ভিড় জমায়। সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশে সুন্দর ঝকঝকে দাঁতের গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। সুন্দর হাসির মাধ্যমে মানুষ ঈর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
কিন্তু আমাদের মধ্যেই অনেকে নিজের হাসি লুকিয়ে রাখতে চাই, কারণ হিসেবে কাজ করে চারটি যুক্তিসংগত অবস্থা—বিবর্ণ দাঁত, এলোমেলো দাঁত, মুখে দুর্গন্ধ ও এক বা একাধিক দাঁতবিহীন মুখ। প্রত্যেক মানুষকে স্পষ্টভাবে মনে রাখতে হবে, এসব অবাঞ্ছিত অবস্থার সুচিকিৎসা রয়েছে।
দাঁত বিবর্ণ হওয়ার কারণ দুটি, প্রথমটি বাহ্যিক; যেমন—নিয়মবহির্ভূত দাঁত পরিষ্কারের জন্য দাঁতের পৃষ্ঠে প্ল্যাক ও পাথর জমা, খাদ্যকণা, চা, কফি, ধূমপান, পান-সুপারি, ব্যবহূত পানিতে অধিক লৌহ ইত্যাদি আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ; যেমন—জন্মগত ত্রুটি, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিছু রোগ, দাঁতে আঘাত প্রভৃতি।
কারণ যা-ই হোক, দাঁতকে উজ্জ্বল সাদা রাখার ইচ্ছা সবার। বাহ্যিক কারণে দাঁত বিবর্ণ হলে বিজ্ঞানসম্মত স্কেলিং ও পলিশিংয়ের মাধ্যমে তা দূর হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ব্রিচিংয়ের। এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট মাত্রায় হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে দাঁতকে উজ্জ্বল করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও এই পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত ও অধিক কার্যকর করতে লেজার বা বিশেষ ধরনের রশ্মি ব্যবহূত হচ্ছে।
লেজার টুথ হোয়াইটেনিং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দাঁতকে সাদা ও উজ্জ্বল করে।
এলোমেলো, উঁচু-নিচু বা ফাঁকা দাঁত নিয়েও অনেকের মনঃকষ্টের শেষ নেই। বংশগত কারণে চোয়ালের হাড় ও দাঁতের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা, সঠিক সময়ে দুধদাঁত না পড়া, আঙুল চোষার মতো আপত্তিকর অভ্যাস, জন্মগত কারণে দাঁতের নিজস্ব সম্পর্কের অস্বাভাবিকতা, দাঁত ফেলে দিলে অন্যান্য দাঁতের অবস্থান পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে দাঁত এলোমেলো হতে পারে। শুরুতে অর্থোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতকে সুন্দর ও সুসজ্জিত করা যায় সহজেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসায় যেকোনো বয়সেই অর্থোডন্টিক চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রথম এর কারণ খুঁজতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত মুখ পরিষ্কারের অভাবে দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে মুখে দুর্গন্ধ হয়। অন্যান্য কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধূমপান, ঘন লালা, শুষ্ক মুখ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। অনেক সময় সাইনাস বা ফুসফুস সংক্রমণ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনির রোগ প্রভৃতি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
এ অবস্থায় ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ ও পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো মুখ পরিষ্কার রাখলে বিব্রতকর এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
দাঁত হারিয়ে ফোকলা মুখ নিয়েও মানুষের লজ্জার শেষ নেই। বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ করেছেন, দাঁত হারালে শুধু সৌন্দর্যহানি হয় না; পাশাপাশি অপুষ্টি, উচ্চারণে অসুবিধা, খাদ্যের স্বাদ পরিবর্তন, এমনকি স্মৃতিশক্তি কমে যায় ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ে।
কৃত্রিম দাঁত সংযোজনের তিনটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির মধ্যে সর্বশেষ পদ্ধতিটি হচ্ছে ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি। সর্বাধিক আরামদায়ক এই পদ্ধতিতে ধাতব দণ্ড বা স্ক্রু হাড়ের মধ্যে প্রতিস্থাপন করে তার ওপর কৃত্রিম দাঁত সংযোজন করা হয়। এর ফলে মানুষ কৃত্রিম দাঁতের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে না।
দাঁত ভেঙে গেলে বা গর্ত হলে বন্ডিং কম্পোজিট ফিলিং দাঁতের সঙ্গে কৃত্রিম পদার্থের উপস্থিতি বুঝতে দেয় না। হুবহু দাঁতের রঙের সঙ্গে মিলে যায়।
দাঁত বিবর্ণ হওয়ার কারণ দুটি, প্রথমটি বাহ্যিক; যেমন—নিয়মবহির্ভূত দাঁত পরিষ্কারের জন্য দাঁতের পৃষ্ঠে প্ল্যাক ও পাথর জমা, খাদ্যকণা, চা, কফি, ধূমপান, পান-সুপারি, ব্যবহূত পানিতে অধিক লৌহ ইত্যাদি আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ; যেমন—জন্মগত ত্রুটি, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিছু রোগ, দাঁতে আঘাত প্রভৃতি।
কারণ যা-ই হোক, দাঁতকে উজ্জ্বল সাদা রাখার ইচ্ছা সবার। বাহ্যিক কারণে দাঁত বিবর্ণ হলে বিজ্ঞানসম্মত স্কেলিং ও পলিশিংয়ের মাধ্যমে তা দূর হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ব্রিচিংয়ের। এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট মাত্রায় হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে দাঁতকে উজ্জ্বল করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও এই পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত ও অধিক কার্যকর করতে লেজার বা বিশেষ ধরনের রশ্মি ব্যবহূত হচ্ছে।
লেজার টুথ হোয়াইটেনিং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দাঁতকে সাদা ও উজ্জ্বল করে।
এলোমেলো, উঁচু-নিচু বা ফাঁকা দাঁত নিয়েও অনেকের মনঃকষ্টের শেষ নেই। বংশগত কারণে চোয়ালের হাড় ও দাঁতের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা, সঠিক সময়ে দুধদাঁত না পড়া, আঙুল চোষার মতো আপত্তিকর অভ্যাস, জন্মগত কারণে দাঁতের নিজস্ব সম্পর্কের অস্বাভাবিকতা, দাঁত ফেলে দিলে অন্যান্য দাঁতের অবস্থান পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে দাঁত এলোমেলো হতে পারে। শুরুতে অর্থোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতকে সুন্দর ও সুসজ্জিত করা যায় সহজেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসায় যেকোনো বয়সেই অর্থোডন্টিক চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রথম এর কারণ খুঁজতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত মুখ পরিষ্কারের অভাবে দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে মুখে দুর্গন্ধ হয়। অন্যান্য কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধূমপান, ঘন লালা, শুষ্ক মুখ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। অনেক সময় সাইনাস বা ফুসফুস সংক্রমণ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনির রোগ প্রভৃতি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
এ অবস্থায় ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ ও পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো মুখ পরিষ্কার রাখলে বিব্রতকর এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
দাঁত হারিয়ে ফোকলা মুখ নিয়েও মানুষের লজ্জার শেষ নেই। বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ করেছেন, দাঁত হারালে শুধু সৌন্দর্যহানি হয় না; পাশাপাশি অপুষ্টি, উচ্চারণে অসুবিধা, খাদ্যের স্বাদ পরিবর্তন, এমনকি স্মৃতিশক্তি কমে যায় ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ে।
কৃত্রিম দাঁত সংযোজনের তিনটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির মধ্যে সর্বশেষ পদ্ধতিটি হচ্ছে ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি। সর্বাধিক আরামদায়ক এই পদ্ধতিতে ধাতব দণ্ড বা স্ক্রু হাড়ের মধ্যে প্রতিস্থাপন করে তার ওপর কৃত্রিম দাঁত সংযোজন করা হয়। এর ফলে মানুষ কৃত্রিম দাঁতের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে না।
দাঁত ভেঙে গেলে বা গর্ত হলে বন্ডিং কম্পোজিট ফিলিং দাঁতের সঙ্গে কৃত্রিম পদার্থের উপস্থিতি বুঝতে দেয় না। হুবহু দাঁতের রঙের সঙ্গে মিলে যায়।
No comments