এ কোন কার্বন!
মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠ থেকে সংগ্রহ করা মাটি-বালু পরীক্ষা করে কার্বনের অস্তিত্ব পেয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবটযান কিউরিওসিটি।
কার্বন প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহ গঠনের অন্যতম উপাদান।
কার্বন প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহ গঠনের অন্যতম উপাদান।
তবে ওই কার্বন মঙ্গলের প্রকৃত রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের নমুনা, নাকি পৃথিবীর রাসায়নিক মিশ্রণের ফল, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
কিউরিওসিটি মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করে গত আগস্টে। এই অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য মঙ্গলে প্রাণের উপযোগী পরিবেশের সন্ধান। এ উদ্দেশ্যে চলছে কিউরিওসিটির নিজস্ব পরীক্ষাগারে বিভিন্ন নমুনার পরীক্ষা। এর মধ্যে অন্যতম ছিল মঙ্গলের মাটি ও বালুর নমুনা পরীক্ষা।
এ পরীক্ষার ফলাফলের খবর উঠে আসে গত সোমবার সানফ্রান্সিসকোতে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের (এজিইউ) শরৎকালীন বৈঠকে।
মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে মাটি সংগ্রহ করে তা পুড়িয়ে ফেলে কিউরিওসিটি। এরপর তা কিউরিওসিটির ভেতরে থাকা ওভেনে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ক্লোরিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করছে কার্বন ও হাউড্রোজেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলে কার্বনের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু কিউরিওসিটি এই লাল গ্রহে প্রাণীসত্তার অস্তিত্বের সুনিশ্চিত প্রমাণ পেয়েছে বলে সম্প্রতি যে ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে, এটি তা থেকে অনেক দূরে। মাটি পরীক্ষায় পাওয়া ক্লোরিন যে মঙ্গলের, তা নিয়ে প্রায় কোনো সন্দেহ নেই। তবে যে কার্বনের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে, তা সত্যিই মঙ্গলের, নাকি কোনোভাবে কিউরিওসিটির সঙ্গে পৃথিবী থেকে গেছে, তা পরিষ্কার নয়। মঙ্গলের হলেও তা প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহজাত না হয়ে কার্বনসমৃদ্ধ শিলা থেকেও আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার মহাকাশযান উৎক্ষেপণ গবেষণাগারের বিজ্ঞানী জন গ্রটজিনগার বলেন, ‘যে কার্বন পাওয়া গেছে, তা মঙ্গলের নিজস্ব কি না, তা আমরা এখনো জানি না।’
মঙ্গলপৃষ্ঠে রকনেস্ট নামের একটি স্থান থেকে মাটি-পাথর সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করছে কিউরিওসিটি। সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার একটি ফলাফল কার্বনের অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া।
এজিইউয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে নাসার মঙ্গল অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়ার বলেন, মঙ্গলের রাসায়নিক বৈচিত্র্য জানার ক্ষেত্রে নতুন এই প্রাপ্তি সত্যিই অভাবিত।
কিউরিওসিটি থেকে যেসব ছবি পাঠানো হচ্ছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন এজেট। তিনি বলেন, রকনেস্ট নামের স্থানটি থেকে সূক্ষ্ম বালু সংগ্রহ করেছিল কিউরিওসিটি। ওই বালু চিনির দানার থেকেও ছোট, আবার ময়দার থেকেও বেশ মোটা। নিউ সায়েনটিস্ট।
কিউরিওসিটি মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করে গত আগস্টে। এই অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য মঙ্গলে প্রাণের উপযোগী পরিবেশের সন্ধান। এ উদ্দেশ্যে চলছে কিউরিওসিটির নিজস্ব পরীক্ষাগারে বিভিন্ন নমুনার পরীক্ষা। এর মধ্যে অন্যতম ছিল মঙ্গলের মাটি ও বালুর নমুনা পরীক্ষা।
এ পরীক্ষার ফলাফলের খবর উঠে আসে গত সোমবার সানফ্রান্সিসকোতে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের (এজিইউ) শরৎকালীন বৈঠকে।
মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে মাটি সংগ্রহ করে তা পুড়িয়ে ফেলে কিউরিওসিটি। এরপর তা কিউরিওসিটির ভেতরে থাকা ওভেনে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ক্লোরিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করছে কার্বন ও হাউড্রোজেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলে কার্বনের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু কিউরিওসিটি এই লাল গ্রহে প্রাণীসত্তার অস্তিত্বের সুনিশ্চিত প্রমাণ পেয়েছে বলে সম্প্রতি যে ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে, এটি তা থেকে অনেক দূরে। মাটি পরীক্ষায় পাওয়া ক্লোরিন যে মঙ্গলের, তা নিয়ে প্রায় কোনো সন্দেহ নেই। তবে যে কার্বনের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে, তা সত্যিই মঙ্গলের, নাকি কোনোভাবে কিউরিওসিটির সঙ্গে পৃথিবী থেকে গেছে, তা পরিষ্কার নয়। মঙ্গলের হলেও তা প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহজাত না হয়ে কার্বনসমৃদ্ধ শিলা থেকেও আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার মহাকাশযান উৎক্ষেপণ গবেষণাগারের বিজ্ঞানী জন গ্রটজিনগার বলেন, ‘যে কার্বন পাওয়া গেছে, তা মঙ্গলের নিজস্ব কি না, তা আমরা এখনো জানি না।’
মঙ্গলপৃষ্ঠে রকনেস্ট নামের একটি স্থান থেকে মাটি-পাথর সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করছে কিউরিওসিটি। সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার একটি ফলাফল কার্বনের অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া।
এজিইউয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে নাসার মঙ্গল অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়ার বলেন, মঙ্গলের রাসায়নিক বৈচিত্র্য জানার ক্ষেত্রে নতুন এই প্রাপ্তি সত্যিই অভাবিত।
কিউরিওসিটি থেকে যেসব ছবি পাঠানো হচ্ছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন এজেট। তিনি বলেন, রকনেস্ট নামের স্থানটি থেকে সূক্ষ্ম বালু সংগ্রহ করেছিল কিউরিওসিটি। ওই বালু চিনির দানার থেকেও ছোট, আবার ময়দার থেকেও বেশ মোটা। নিউ সায়েনটিস্ট।
No comments