মৎস্য খাতে কর্মজীবন by জিয়াউর রহমান চৌধুরী
একসময় মানুষের খাদ্যের জোগান আসত প্রকৃতি থেকে। মাছ, মাংস আর শাকসবজি সবই মিলত প্রকৃতিতেই। দৃশ্যটা এখন বদলে গেছে। নানা কারণে কৃষিজমি, নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-জলাশয় কমে যাওয়ায় আর জনসংখ্যা বাড়ায় চাষাবাদের মাধ্যমেই জোগাতে হচ্ছে অতিরিক্ত চাহিদার খাদ্য।
সে আলোকেই মৎস্য ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিপুল মানুষের বিশাল চাহিদা পূরণে বাণিজ্যিকভাবে মাছের চাষাবাদ বাড়ছে। এতে প্রচুর ব্যাপক কর্মসংস্থানও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মৎস্য খাতের জন্য দক্ষ ও যোগ্য লোক তৈরি করতে পড়াশোনারও সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে মৎস্য খাতে কাজ করার সুযোগ নিতে পারেন যে কেউ। পড়াশোনা করে মৎস্য খাতে ক্যারিয়ার বা কর্মজীবন গড়ার নানা কথা থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বাড়ছে সম্ভাবনা: দেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিপণ্য এখন মাছ। এ ছাড়া দেশের ভেতরেও প্রাণিজ খাদ্য হিসেবে মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।তাই এ খাতে কাজের সুযোগ ও সম্ভাবনা বাড়ছে বলে জানান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল ইসলাম। এ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে এ খাতে কাজ করে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া খুব কঠিন বিষয় নয়। অনেক মানুষই বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। এতে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও অবদান রাখতে পারছেন এ খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা।’
কাজটা যেমন: মৎস্যবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষে কর্মক্ষেত্রে কী কাজ করতে হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রামের সি রিসোর্স লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সাখাওয়াত আলী চৌধুরী বলেন, ‘সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ অথবা মিঠা পানিতে চাষাবাদের সব বিষয়েই জেলে বা শ্রমিকেরা মূল কাজটুকু করে থাকেন। কিন্তু শ্রমিকদের দিয়ে চাষাবাদ ও আহরণের কাজে সমন্বয়সহ অন্যান্য কাজেও পরামর্শ ও সমাধান দিতে একধরনের লোকবলের প্রয়োজন হয়। এঁরা সাধারণত মাছ চাষের বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক সব ধারণা রাখেন, যাঁরা মূলত মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।’ তিনি আরও জানান, বিভিন্ন মৎস্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোন পানিতে কোন মাছের বৃদ্ধি কেমন, মাছের প্রজাতিগত উন্নয়ন গবেষণা, মান উন্নয়ন, উৎপাদন বাড়ানো, প্রযুক্তিগত সমন্বয়, মাছ ধরা শেষে সুষ্ঠুভাবে প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করতে হয়। আর কাজগুলো করেন মৎস্যবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী বা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিতরা।
কাজের ক্ষেত্র: কাজের সুযোগ প্রসঙ্গে মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, গবেষণা, শিক্ষকতা আর মাঠপর্যায়ে কাজ—এই তিন জায়গায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা যায়। প্রতিবছর বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০-৭০ জনকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষক পদে, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন সংস্থায় অ্যাকুয়াকালচারিস্ট, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মৎস্য গবেষণা কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থাগুলোতে গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষক ও কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে।পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি মৎস্য খামার ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী বা মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক, মান নিয়ন্ত্রক ও মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা যায়।
শুধুই পেশা নয়: মৎস্যসম্পদ খাতের কাজকে শুধু পেশা হিসেবে নিতে নারাজ নোবিপ্রবির মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল নাহিদ হোসেন। তাঁর মতে, ‘খাদ্যচাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের প্রাণ-প্রকৃতি আর পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে মৎস্য কর্মকর্তারা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই এটাকে শুধুই কাজ হিসেবে দেখলে চলবে না। কাজের সঙ্গে সঙ্গে এখানে দেশের জন্যও কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’ পরিবেশ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্ট ক্লাইমেট সেলের সমন্বয়কারী এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সজল চৌধুরী বলেন, ‘একসময় কৃষি খাত ও কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে শিক্ষিত তরুণদের অংশগ্রহণ ছিল না। এখন দেশের মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে কাজ করছেন অনেক শিক্ষিত তরুণ।’ তাই মৎস্যসম্পদ খাতে কাজ করাটা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগও বটে।
পড়বেন যেখানে: দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্বে পড়ার সুযোগ আছে। তবে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞানের সঙ্গে সামুদ্রিক বিজ্ঞানও পড়ানো হয়।
শিঘ্রই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে।
ভালো করার কৌশল: কক্সবাজারের চকোরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পে মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত অমিতাভ রায় এ খাতের কাজকে অন্য কাজের চেয়ে আলাদা মনে করেন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মৎস্যবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে তুলনামূলক প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে হয়। সব ধরনের পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন এমন মানুষ এ খাতে ভালো করতে পারবেন।’ এ প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করার মানসিকতা ও শিক্ষাজীবনের পুঁথিগত ও ব্যবহারিক জ্ঞান কাজে লাগানোর ইচ্ছে থাকতে হবে।সেই সঙ্গে ভালো করতে মাছের বিভিন্ন প্রজাতি, ধরন ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে দক্ষতা থাকাও বাঞ্ছনীয়।
বাড়ছে সম্ভাবনা: দেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিপণ্য এখন মাছ। এ ছাড়া দেশের ভেতরেও প্রাণিজ খাদ্য হিসেবে মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।তাই এ খাতে কাজের সুযোগ ও সম্ভাবনা বাড়ছে বলে জানান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল ইসলাম। এ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে এ খাতে কাজ করে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া খুব কঠিন বিষয় নয়। অনেক মানুষই বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। এতে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও অবদান রাখতে পারছেন এ খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা।’
কাজটা যেমন: মৎস্যবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষে কর্মক্ষেত্রে কী কাজ করতে হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রামের সি রিসোর্স লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সাখাওয়াত আলী চৌধুরী বলেন, ‘সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ অথবা মিঠা পানিতে চাষাবাদের সব বিষয়েই জেলে বা শ্রমিকেরা মূল কাজটুকু করে থাকেন। কিন্তু শ্রমিকদের দিয়ে চাষাবাদ ও আহরণের কাজে সমন্বয়সহ অন্যান্য কাজেও পরামর্শ ও সমাধান দিতে একধরনের লোকবলের প্রয়োজন হয়। এঁরা সাধারণত মাছ চাষের বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক সব ধারণা রাখেন, যাঁরা মূলত মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।’ তিনি আরও জানান, বিভিন্ন মৎস্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোন পানিতে কোন মাছের বৃদ্ধি কেমন, মাছের প্রজাতিগত উন্নয়ন গবেষণা, মান উন্নয়ন, উৎপাদন বাড়ানো, প্রযুক্তিগত সমন্বয়, মাছ ধরা শেষে সুষ্ঠুভাবে প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করতে হয়। আর কাজগুলো করেন মৎস্যবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী বা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিতরা।
কাজের ক্ষেত্র: কাজের সুযোগ প্রসঙ্গে মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, গবেষণা, শিক্ষকতা আর মাঠপর্যায়ে কাজ—এই তিন জায়গায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা যায়। প্রতিবছর বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০-৭০ জনকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষক পদে, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন সংস্থায় অ্যাকুয়াকালচারিস্ট, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মৎস্য গবেষণা কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থাগুলোতে গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষক ও কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে।পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি মৎস্য খামার ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী বা মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক, মান নিয়ন্ত্রক ও মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা যায়।
শুধুই পেশা নয়: মৎস্যসম্পদ খাতের কাজকে শুধু পেশা হিসেবে নিতে নারাজ নোবিপ্রবির মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল নাহিদ হোসেন। তাঁর মতে, ‘খাদ্যচাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের প্রাণ-প্রকৃতি আর পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে মৎস্য কর্মকর্তারা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই এটাকে শুধুই কাজ হিসেবে দেখলে চলবে না। কাজের সঙ্গে সঙ্গে এখানে দেশের জন্যও কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’ পরিবেশ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্ট ক্লাইমেট সেলের সমন্বয়কারী এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সজল চৌধুরী বলেন, ‘একসময় কৃষি খাত ও কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে শিক্ষিত তরুণদের অংশগ্রহণ ছিল না। এখন দেশের মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে কাজ করছেন অনেক শিক্ষিত তরুণ।’ তাই মৎস্যসম্পদ খাতে কাজ করাটা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগও বটে।
পড়বেন যেখানে: দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্বে পড়ার সুযোগ আছে। তবে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞানের সঙ্গে সামুদ্রিক বিজ্ঞানও পড়ানো হয়।
শিঘ্রই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে।
ভালো করার কৌশল: কক্সবাজারের চকোরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পে মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত অমিতাভ রায় এ খাতের কাজকে অন্য কাজের চেয়ে আলাদা মনে করেন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মৎস্যবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে তুলনামূলক প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে হয়। সব ধরনের পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন এমন মানুষ এ খাতে ভালো করতে পারবেন।’ এ প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করার মানসিকতা ও শিক্ষাজীবনের পুঁথিগত ও ব্যবহারিক জ্ঞান কাজে লাগানোর ইচ্ছে থাকতে হবে।সেই সঙ্গে ভালো করতে মাছের বিভিন্ন প্রজাতি, ধরন ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে দক্ষতা থাকাও বাঞ্ছনীয়।
No comments