হরতালকারীদের গণধোলাই
বিকেল ৩টা। মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের পূরবী সিনেমা হলের আশপাশের বেশির ভাগ দোকানপাট খোলা। লোকজনের স্বাভাবিক চলাচল। হঠাৎ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এসে গাড়ি ভাঙচুর ও ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। বাধা দিতে এলে পুলিশ সদস্যদের মারধর করে তারা।
তখনই এগিয়ে আসে স্থানীয় লোকজন, দাঁড়ায় পুলিশের পাশে। ধোলাই দেয় পুলিশের ওপর হামলাকারীদের।
শুধু মিরপুর নয়, গতকাল মঙ্গলবার হরতালের সময় রাজধানীর খিলগাঁও, মুগদা ও তেজগাঁও থানা এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ধোলাই দিয়েছে সাধারণ লোকজন। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের সহযোগিতা করেছে। সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজনই জানিয়েছে এসব কথা।
পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবির ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। সংঘবদ্ধ হয়ে তারা স্থানীয় লোকজনের ওপর হামলা চালালে সাধারণ লোকজন তাদের পিটুনি দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৩টার দিকে পূরবী সিনেমা হলের সামনে ও মিরপুর ১০ নম্বরসংলগ্ন সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি বাসে আগুন দেয়। তখন স্থানীয় লোকজন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের পিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের ১১ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের একজন মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে কেউ মারা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল নামের এক দোকানি বলেন, বিকেল ৩টার দিকে কালসী রোড থেকে লাঠিসোঁটা হাতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পূরবী সিনেমা হলের সামনে অতর্কিতে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর তারা দুটি বাস ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ধাওয়া খেয়ে এক পর্যায়ে তারা পাশের নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নেয়। সেখানে গণপিটুনিতে আহত হয় ১১ জন।
পল্লবী থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, বাসে আগুন দেওয়ার পর আশপাশের লোকজন আট-দশজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বরসংলগ্ন সেনপাড়া পর্বতায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একটি বাসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পাঁচ-ছয়জনকে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
এদিকে খিলগাঁও এলাকায় খিদমাহ হাসপাতালের সামনের বিভিন্ন গলি থেকে সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পরে পুলিশের গাড়ি থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে বাঁচাতে ওই পিকেটারদের ধাওয়া করে। সে সময় পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই হামলায় পুলিশের চার সদস্য আহত হন বলে জানায় পুলিশ। সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের গাড়ি ও পাবলিক বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় সেখানকার লোকজন ছুটে আসে। গাড়ির আগুন নেভায় তারা এবং পিকেটারদের ধাওয়া করে। পরে পুলিশের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে স্থানীয় লোকজন পিকেটারদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। সেখান থেকে পুলিশ সাতজনকে আটক করে। সেখানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে এক হয়ে তাদের মারধর করে বলে জামায়াত-শিবির অভিযোগ করে।
এ ছাড়া দুপুর ১টার দিকে মুগদা ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ি ভাঙচুরের সময় মোস্তাফিজুর রহমান ও শোয়েব নামে শিবিরের দুই কর্মীকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ জানায়, হরতালের সময় ভাঙচুর ও মিছিল প্রতিরোধ করেছে স্থানীয় লোকজন। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে।
শুধু মিরপুর নয়, গতকাল মঙ্গলবার হরতালের সময় রাজধানীর খিলগাঁও, মুগদা ও তেজগাঁও থানা এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ধোলাই দিয়েছে সাধারণ লোকজন। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের সহযোগিতা করেছে। সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজনই জানিয়েছে এসব কথা।
পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবির ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। সংঘবদ্ধ হয়ে তারা স্থানীয় লোকজনের ওপর হামলা চালালে সাধারণ লোকজন তাদের পিটুনি দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৩টার দিকে পূরবী সিনেমা হলের সামনে ও মিরপুর ১০ নম্বরসংলগ্ন সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি বাসে আগুন দেয়। তখন স্থানীয় লোকজন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের পিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের ১১ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের একজন মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে কেউ মারা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল নামের এক দোকানি বলেন, বিকেল ৩টার দিকে কালসী রোড থেকে লাঠিসোঁটা হাতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পূরবী সিনেমা হলের সামনে অতর্কিতে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর তারা দুটি বাস ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ধাওয়া খেয়ে এক পর্যায়ে তারা পাশের নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নেয়। সেখানে গণপিটুনিতে আহত হয় ১১ জন।
পল্লবী থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, বাসে আগুন দেওয়ার পর আশপাশের লোকজন আট-দশজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বরসংলগ্ন সেনপাড়া পর্বতায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একটি বাসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পাঁচ-ছয়জনকে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
এদিকে খিলগাঁও এলাকায় খিদমাহ হাসপাতালের সামনের বিভিন্ন গলি থেকে সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পরে পুলিশের গাড়ি থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে বাঁচাতে ওই পিকেটারদের ধাওয়া করে। সে সময় পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই হামলায় পুলিশের চার সদস্য আহত হন বলে জানায় পুলিশ। সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের গাড়ি ও পাবলিক বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় সেখানকার লোকজন ছুটে আসে। গাড়ির আগুন নেভায় তারা এবং পিকেটারদের ধাওয়া করে। পরে পুলিশের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে স্থানীয় লোকজন পিকেটারদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। সেখান থেকে পুলিশ সাতজনকে আটক করে। সেখানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে এক হয়ে তাদের মারধর করে বলে জামায়াত-শিবির অভিযোগ করে।
এ ছাড়া দুপুর ১টার দিকে মুগদা ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ি ভাঙচুরের সময় মোস্তাফিজুর রহমান ও শোয়েব নামে শিবিরের দুই কর্মীকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ জানায়, হরতালের সময় ভাঙচুর ও মিছিল প্রতিরোধ করেছে স্থানীয় লোকজন। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে।
No comments