নকশাবহির্ভূত কোনো স্থাপনা নয়- সংসদ এলাকায় পদচারী-সেতু
বাংলাদেশ একটি খেয়ালখুশির দেশ, কোনো বিচার-বিবেচনা না করেই কাজ করার দেশ। তা না হলে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ একটি স্থাপনার সামনে কিছু করতে হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বা পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিত।
জাতীয় সংসদ শুধু আমাদের গণতন্ত্রের প্রতীকই নয়, বিশ্বের অনন্য স্থাপনার একটি। বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুই কানের মহান এক সৃষ্টি। খবর হচ্ছে, এই স্থাপনার সামনে পদচারীদের জন্য একটি সেতু হবে! সংসদ সচিবালয়ের অনুরোধে এই কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিচার-বিবেচনা বোধের কতটুকু অভাব থাকলে এমন হতে পারে!
আজকের দুনিয়ায় শহর-নগর এমনকি গ্রামেও কিছু করতে গেলে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায়ই করা হয়। কোথায় কী হবে বা হবে না, সে ব্যাপারে নগর-পরিকল্পনাবিদ বা বিশেষজ্ঞরাই সিদ্ধান্ত নেন। অথচ একটি শহর যে কতটা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠতে পারে, তার এক বড় উদাহরণ বিপুল জনসংখ্যা ও জমির সংকটে থাকা ঢাকা শহর। একবার কোনো শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠলে তার হেরফের করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তা খুবই ব্যয়বহুল ব্যাপার, যা আমাদের বহন করার সাধ্য নেই। ফলে পরিকল্পনা আর চিন্তাভাবনা করে কাজ করার ব্যাপারে আমাদেরই সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। অথচ আমরা এসব থেকে অনেক দূরে।
জাতীয় সংসদের সামনে এ ধরনের একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে সংসদের হাউস কমিটির বৈঠকে। ন্যাম ফ্ল্যাটে বসবাসকারী সাংসদদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সাংসদদের যাতায়াতে যদি সত্যি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তা কীভাবে দূর করা যায়, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। হাউস কমিটির সভায় বিভিন্ন সাংসদ বিভিন্ন মত দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে নগর-পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ নিতে সমস্যা ছিল কোথায়। সাংসদেরা তাঁদের সমস্যার কথা বলতে পারেন, কিন্তু কীভাবে এর সমাধান হবে সে কাজটি তো বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কাজ। আর দেশের গর্ব করার মতো এমন একটি স্থাপত্যের আশপাশে কিছু করার আগে কি কোনো কিছুই বিবেচনা করার নেই? অতীতেও এ ধরনের ভুল ও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ হয়েছে ডেপুটি স্পিকারের ভবন নির্মাণ করে।
আমরা চাই, সংসদ এলাকায় এখনই এ ধরনের কোনো পদচারী-সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। সাংসদদের যাতায়াতে সত্যি যদি বড় কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তা বিশেষজ্ঞ ও নগর-পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হোক।
আজকের দুনিয়ায় শহর-নগর এমনকি গ্রামেও কিছু করতে গেলে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায়ই করা হয়। কোথায় কী হবে বা হবে না, সে ব্যাপারে নগর-পরিকল্পনাবিদ বা বিশেষজ্ঞরাই সিদ্ধান্ত নেন। অথচ একটি শহর যে কতটা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠতে পারে, তার এক বড় উদাহরণ বিপুল জনসংখ্যা ও জমির সংকটে থাকা ঢাকা শহর। একবার কোনো শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠলে তার হেরফের করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তা খুবই ব্যয়বহুল ব্যাপার, যা আমাদের বহন করার সাধ্য নেই। ফলে পরিকল্পনা আর চিন্তাভাবনা করে কাজ করার ব্যাপারে আমাদেরই সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। অথচ আমরা এসব থেকে অনেক দূরে।
জাতীয় সংসদের সামনে এ ধরনের একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে সংসদের হাউস কমিটির বৈঠকে। ন্যাম ফ্ল্যাটে বসবাসকারী সাংসদদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সাংসদদের যাতায়াতে যদি সত্যি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তা কীভাবে দূর করা যায়, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। হাউস কমিটির সভায় বিভিন্ন সাংসদ বিভিন্ন মত দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে নগর-পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ নিতে সমস্যা ছিল কোথায়। সাংসদেরা তাঁদের সমস্যার কথা বলতে পারেন, কিন্তু কীভাবে এর সমাধান হবে সে কাজটি তো বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কাজ। আর দেশের গর্ব করার মতো এমন একটি স্থাপত্যের আশপাশে কিছু করার আগে কি কোনো কিছুই বিবেচনা করার নেই? অতীতেও এ ধরনের ভুল ও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ হয়েছে ডেপুটি স্পিকারের ভবন নির্মাণ করে।
আমরা চাই, সংসদ এলাকায় এখনই এ ধরনের কোনো পদচারী-সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। সাংসদদের যাতায়াতে সত্যি যদি বড় কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তা বিশেষজ্ঞ ও নগর-পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হোক।
No comments