সমর্থন দিলেও মাঠে ছিল না বিএনপি
জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালে নৈতিক সমর্থন দিলেও মাঠে নামেনি প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে হরতাল মোটামুটি সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।
পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নয়, সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে হরতালে নৈতিক সমর্থন দেওয়া হয়েছিল- এমন ব্যাখ্যাই দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হরতাল শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, হরতালে বিএনপির নৈতিক সমর্থন ছিল। মাঠে নামার কোনো বিষয় ছিল না। বাসায় বসেই টেলিভিশনে হরতালের খবর দেখেছেন বলে জানান ফখরুল। গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যে তাণ্ডব দেখা গেছে তিনি এর নিন্দা জানান। তাঁর মতে, একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে যদি সমাবেশের মতো নিরীহ কর্মসূচি করতে দিত, তাহলে আর এই হরতাল আসত না। তাই হরতালের জন্য যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে এর দায়ও সরকারের।
এদিকে গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে 'নৈতিক সমর্থন' দিলেও মাঠে ছিল না বিএনপি। এমনকি হরতালে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যত নেতা-কর্মীশূন্য ছিল দলটির পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
গতকাল সরেজমিনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিন যেখানে সকাল থেকে নেতা-কর্মীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়, সেখানে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ কোনো নেতাকে কার্যালয়ে দেখা যায়নি। সকাল ১০টার দিকে কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়া কেউ নেই। কার্যালয়ের ফটক ছিল তালাবদ্ধ। সামনে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান আর গণমাধ্যমকর্মীদের সরব উপস্থিতি।
দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল কবির শাহিন উপস্থিত হন কার্যালয়ে। তখন তালা খুললেও ফটক বন্ধ রাখা হয়। বিকেল ৩টার পর কার্যালয়ে যান দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের কোনো সিদ্ধান্ত না থাকলেও সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেন রিজভী আহমেদ। 'যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্যই জামায়াত ও বিএনপি যৌথভাবে হরতাল ডেকেছে'- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, সরকার যখন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা নানা ধরনের কথা বলতে থাকে। আওয়ামী লীগে প্রকৃত রাজনীতিবিদ নেই, তাই হাইব্রিড নেতাদের নেতৃত্বে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
রিজভী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের সমাবেশ করতে দেয়নি। শুধু সরকারের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে বিএনপি হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নয়।
জামায়াতের হরতালে ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি পালনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, হরতাল জামায়াতের কর্মসূচি। অবরোধ ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচি। হরতালের কোনো প্রভাব জোটের কর্মসূচিতে পড়বে না। হরতালে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সব ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে। তাই সব সহিংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হরতাল শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, হরতালে বিএনপির নৈতিক সমর্থন ছিল। মাঠে নামার কোনো বিষয় ছিল না। বাসায় বসেই টেলিভিশনে হরতালের খবর দেখেছেন বলে জানান ফখরুল। গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যে তাণ্ডব দেখা গেছে তিনি এর নিন্দা জানান। তাঁর মতে, একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে যদি সমাবেশের মতো নিরীহ কর্মসূচি করতে দিত, তাহলে আর এই হরতাল আসত না। তাই হরতালের জন্য যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে এর দায়ও সরকারের।
এদিকে গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে 'নৈতিক সমর্থন' দিলেও মাঠে ছিল না বিএনপি। এমনকি হরতালে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যত নেতা-কর্মীশূন্য ছিল দলটির পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
গতকাল সরেজমিনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিন যেখানে সকাল থেকে নেতা-কর্মীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়, সেখানে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ কোনো নেতাকে কার্যালয়ে দেখা যায়নি। সকাল ১০টার দিকে কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়া কেউ নেই। কার্যালয়ের ফটক ছিল তালাবদ্ধ। সামনে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান আর গণমাধ্যমকর্মীদের সরব উপস্থিতি।
দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল কবির শাহিন উপস্থিত হন কার্যালয়ে। তখন তালা খুললেও ফটক বন্ধ রাখা হয়। বিকেল ৩টার পর কার্যালয়ে যান দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের কোনো সিদ্ধান্ত না থাকলেও সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেন রিজভী আহমেদ। 'যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্যই জামায়াত ও বিএনপি যৌথভাবে হরতাল ডেকেছে'- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, সরকার যখন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা নানা ধরনের কথা বলতে থাকে। আওয়ামী লীগে প্রকৃত রাজনীতিবিদ নেই, তাই হাইব্রিড নেতাদের নেতৃত্বে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
রিজভী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের সমাবেশ করতে দেয়নি। শুধু সরকারের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে বিএনপি হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নয়।
জামায়াতের হরতালে ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি পালনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, হরতাল জামায়াতের কর্মসূচি। অবরোধ ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচি। হরতালের কোনো প্রভাব জোটের কর্মসূচিতে পড়বে না। হরতালে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সব ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে। তাই সব সহিংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments