ফিলিপাইনে 'বোফা'র আঘাত ৪০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'বোফা' আঘাত হেনেছে। এতে প্রাথমিকভাবে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে ৩২ জন। এদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিমান ও ফেরি চলাচল বিঘি্নত হয়েছে। দেড় লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বোফাকে এ বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে অভিহিত করছেন আবহাওয়াবিদরা। গতকাল ভোরে ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে বোফা। ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ঝড়ের কারণে অনেক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। মিন্দানাও দ্বীপে গাছের নিচে চাপা পড়ে, পানিতে ডুবে ও ঝড়ের কারণে ভয়ে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে আটজন মারা গেছে।
মিন্দানাও ছাড়াও ঝড়ের আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় দাভাদো ওরিয়েন্তাল, কমপোস্তেলা ভ্যালি, লেতি প্রদেশের বিস্তর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে দুর্গত এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে এক লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ফেরি ও নৌচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট বেনিনো অ্যাকুইনো গত সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে বলেন, 'এটা এ বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। তবে আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা করলে ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের পরিমাণ কম হবে।' সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড়টি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পশ্চিমে সরে যাচ্ছে। গতকালই এটার ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাওয়ার কথা। গত বছর ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ওয়াশির আঘাতে দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সূত্র: এএফপি, গার্ডিয়ান।
বোফাকে এ বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে অভিহিত করছেন আবহাওয়াবিদরা। গতকাল ভোরে ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে বোফা। ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ঝড়ের কারণে অনেক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। মিন্দানাও দ্বীপে গাছের নিচে চাপা পড়ে, পানিতে ডুবে ও ঝড়ের কারণে ভয়ে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে আটজন মারা গেছে।
মিন্দানাও ছাড়াও ঝড়ের আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় দাভাদো ওরিয়েন্তাল, কমপোস্তেলা ভ্যালি, লেতি প্রদেশের বিস্তর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে দুর্গত এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে এক লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ফেরি ও নৌচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট বেনিনো অ্যাকুইনো গত সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে বলেন, 'এটা এ বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। তবে আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা করলে ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের পরিমাণ কম হবে।' সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড়টি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পশ্চিমে সরে যাচ্ছে। গতকালই এটার ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাওয়ার কথা। গত বছর ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ওয়াশির আঘাতে দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সূত্র: এএফপি, গার্ডিয়ান।
No comments