আজই সিরিজ জয়ের উৎসব! by তারেক মাহমুদ
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পা দিয়েই একটা হাহাকার শোনা গেল। বাংলাদেশ দল সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে, অথচ সবাই যেন ছুটছে কোন এক অনিশ্চিত গন্তব্যে। চোখেমুখে কী হয় কী হয় অনিশ্চয়তা! অন্য দিনের তুলনায় স্টেডিয়ামের চত্বর আর বিসিবির কার্যালয়ের করিডরে লোকজনের আনাগোনা বেশি।
বেশির ভাগই অচেনা মুখ। বিসিবিতে হঠাৎ এত অচেনা লোকের ভিড় কেন?
প্রশ্নের উত্তর পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা একটি টিকিটের জন্য। টেলিফোনে উত্তেজিত ভঙ্গিতে একজনকে বলতে শোনা গেল, ‘তোমার টিকিট পেয়ে গেছি...।’ যাঁর জন্য এই টিকিট, ক্রিকেট বোর্ডে পরিচিতজন থাকার সুবাদে তিনি নিশ্চিতভাবেই সৌভাগ্যবান। কারণ, বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডের টিকিট ফুরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে এক দিন আগেই। কালোবাজারিরাও নাকি কাল থেকেই দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে টিকিট ছাড়তে শুরু করেছে। আজকের ম্যাচের টিকিট সোনার হরিণের মতোই দুষ্প্রাপ্য।
সেই সোনার হরিণ যাঁরা পেয়ে গেছেন, বুকভরা আশা নিয়ে আজ তাঁরা শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসবেন। খুলনায় প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আসা বাংলাদেশ দল যদি উপহার দেয় উৎসবের রজনী, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যাবেন তাঁরাও। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে এসে মুশফিকুর রহিমের দলের ওপর তাই অনন্ত চাপ। তবে সংবাদ সম্মেলনে সেই চাপ ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২-০-তে এগিয়ে থাকা দলের ওপর আবার কিসের চাপ? সিরিজ হারের শঙ্কায় তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ! আজ জিতে গেলেও তাদের সিরিজে হারাতে বাংলাদেশ হাতে পাবে আরও দুই ম্যাচ। মুশফিক তির ছুড়লেন, ‘সব চাপ তো ওদের ওপর।’
সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটের আলোয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন দেখেও মনে হয়নি চাপ-টাপ বলে কিছু আছে তাদের ওপর। অনুশীলনটা বেশির ভাগ সময় যে যাঁর মতোই করলেন। সবাই একসঙ্গে করলেন মূলত গা গরম। অল্প একটু রানিং, হালকা ফুটবল খেলা, সামান্য ফিল্ডিং প্র্যাকটিস।
অন্যদিকে হরতালের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ঢুকে পড়েছিল খোলসের মধ্যে। অনুশীলন করেনি, সারা দিন হোটেলেই ছিল দল। তবে দলের মিডিয়া ম্যানেজার কোচ ওটিস গিবসনের যে বক্তব্য ই-মেইল করলেন, তাতে মনে হলো সিরিজে ফেরার ম্যাচে দলটা প্রেরণা খুঁজছে অতীত থেকে, ‘এই ভেন্যু আমাদের জন্য বরাবরই ভালো। এই মাঠে আমরা টেস্ট ম্যাচ জিতেছি, গত বছর ওয়ানডেও জিতেছি। তবে বাকি ম্যাচগুলো জিততে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের প্রেরণা বর্তমান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ শক্তি খুঁজছে অতীত থেকে। অতীত-বর্তমানের লড়াইয়ের ভেতরেই আপাতত লুকিয়ে সিরিজের ভবিষ্যৎ। তবে সিরিজ জয়ের ম্যাচের আগে একটা অতীত সতর্ক করে তুলছে বাংলাদেশ অধিনায়ককেও। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় শেষ তিন ওয়ানডে আর একমাত্র টি-টোয়েন্টি—সবই দিবারাত্রির ম্যাচ। কৃত্রিম আলোয় খেলা হবে শিশিরভেজা মাঠে। মুশফিকের মনে তাই ভেসে উঠছে ২০১০ সালের স্মৃতি, ‘মাঠে এসে একটু অবাকই লাগল...এত কুয়াশা! এর আগে একবার আমরা ভারতের সঙ্গে ২৯৬ রান করেও হেরে গিয়েছিলাম কুয়াশার কারণেই। ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগে বল হয়তো স্কিড করবে।’
আজকের ম্যাচের একাদশ ঠিক করার আগে তাই আর সবকিছুর সঙ্গে কুয়াশা নিয়েও মাথা ঘামাবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে একটা বিষয় অধিনায়ক কালই নিশ্চিত করে দিয়েছেন। পেসার আবুল হাসান চোটে পড়ায় এ ম্যাচে খেলবেন রুবেল হোসেন। হাসান ছাড়া বাকি তিন তরুণ তুর্কিই আছেন, যাঁরা ঢেকে দিচ্ছেন সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিও। ‘সাকিব থাকলে আরও ভালো হতো’—বলেও তাই মুশফিক বলতে পারছেন, ‘তামিম-সাকিব ছাড়াও আমাদের অনেক পারফরমার আছে, যারা ভালো খেলছে। এটা যেকোনো দলের জন্যই ভালো।’
বাংলাদেশ অধিনায়কের এমন কথা বলার সুযোগ কমই আসে। বাংলাদেশ দলের জন্যও এমন উপলক্ষের দেখা মেলে কমই। দুইয়ে দুই শূন্যকে তিনে তিন শূন্য করে দিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয়ের হাতছানি সামনে। যাঁরা এই ম্যাচের টিকিট পেয়েছেন, তাঁরা আসলেই পেয়েছেন সোনার হরিণ!
প্রশ্নের উত্তর পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা একটি টিকিটের জন্য। টেলিফোনে উত্তেজিত ভঙ্গিতে একজনকে বলতে শোনা গেল, ‘তোমার টিকিট পেয়ে গেছি...।’ যাঁর জন্য এই টিকিট, ক্রিকেট বোর্ডে পরিচিতজন থাকার সুবাদে তিনি নিশ্চিতভাবেই সৌভাগ্যবান। কারণ, বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডের টিকিট ফুরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে এক দিন আগেই। কালোবাজারিরাও নাকি কাল থেকেই দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে টিকিট ছাড়তে শুরু করেছে। আজকের ম্যাচের টিকিট সোনার হরিণের মতোই দুষ্প্রাপ্য।
সেই সোনার হরিণ যাঁরা পেয়ে গেছেন, বুকভরা আশা নিয়ে আজ তাঁরা শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসবেন। খুলনায় প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আসা বাংলাদেশ দল যদি উপহার দেয় উৎসবের রজনী, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যাবেন তাঁরাও। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে এসে মুশফিকুর রহিমের দলের ওপর তাই অনন্ত চাপ। তবে সংবাদ সম্মেলনে সেই চাপ ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২-০-তে এগিয়ে থাকা দলের ওপর আবার কিসের চাপ? সিরিজ হারের শঙ্কায় তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ! আজ জিতে গেলেও তাদের সিরিজে হারাতে বাংলাদেশ হাতে পাবে আরও দুই ম্যাচ। মুশফিক তির ছুড়লেন, ‘সব চাপ তো ওদের ওপর।’
সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটের আলোয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন দেখেও মনে হয়নি চাপ-টাপ বলে কিছু আছে তাদের ওপর। অনুশীলনটা বেশির ভাগ সময় যে যাঁর মতোই করলেন। সবাই একসঙ্গে করলেন মূলত গা গরম। অল্প একটু রানিং, হালকা ফুটবল খেলা, সামান্য ফিল্ডিং প্র্যাকটিস।
অন্যদিকে হরতালের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ঢুকে পড়েছিল খোলসের মধ্যে। অনুশীলন করেনি, সারা দিন হোটেলেই ছিল দল। তবে দলের মিডিয়া ম্যানেজার কোচ ওটিস গিবসনের যে বক্তব্য ই-মেইল করলেন, তাতে মনে হলো সিরিজে ফেরার ম্যাচে দলটা প্রেরণা খুঁজছে অতীত থেকে, ‘এই ভেন্যু আমাদের জন্য বরাবরই ভালো। এই মাঠে আমরা টেস্ট ম্যাচ জিতেছি, গত বছর ওয়ানডেও জিতেছি। তবে বাকি ম্যাচগুলো জিততে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের প্রেরণা বর্তমান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ শক্তি খুঁজছে অতীত থেকে। অতীত-বর্তমানের লড়াইয়ের ভেতরেই আপাতত লুকিয়ে সিরিজের ভবিষ্যৎ। তবে সিরিজ জয়ের ম্যাচের আগে একটা অতীত সতর্ক করে তুলছে বাংলাদেশ অধিনায়ককেও। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় শেষ তিন ওয়ানডে আর একমাত্র টি-টোয়েন্টি—সবই দিবারাত্রির ম্যাচ। কৃত্রিম আলোয় খেলা হবে শিশিরভেজা মাঠে। মুশফিকের মনে তাই ভেসে উঠছে ২০১০ সালের স্মৃতি, ‘মাঠে এসে একটু অবাকই লাগল...এত কুয়াশা! এর আগে একবার আমরা ভারতের সঙ্গে ২৯৬ রান করেও হেরে গিয়েছিলাম কুয়াশার কারণেই। ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগে বল হয়তো স্কিড করবে।’
আজকের ম্যাচের একাদশ ঠিক করার আগে তাই আর সবকিছুর সঙ্গে কুয়াশা নিয়েও মাথা ঘামাবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে একটা বিষয় অধিনায়ক কালই নিশ্চিত করে দিয়েছেন। পেসার আবুল হাসান চোটে পড়ায় এ ম্যাচে খেলবেন রুবেল হোসেন। হাসান ছাড়া বাকি তিন তরুণ তুর্কিই আছেন, যাঁরা ঢেকে দিচ্ছেন সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিও। ‘সাকিব থাকলে আরও ভালো হতো’—বলেও তাই মুশফিক বলতে পারছেন, ‘তামিম-সাকিব ছাড়াও আমাদের অনেক পারফরমার আছে, যারা ভালো খেলছে। এটা যেকোনো দলের জন্যই ভালো।’
বাংলাদেশ অধিনায়কের এমন কথা বলার সুযোগ কমই আসে। বাংলাদেশ দলের জন্যও এমন উপলক্ষের দেখা মেলে কমই। দুইয়ে দুই শূন্যকে তিনে তিন শূন্য করে দিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয়ের হাতছানি সামনে। যাঁরা এই ম্যাচের টিকিট পেয়েছেন, তাঁরা আসলেই পেয়েছেন সোনার হরিণ!
No comments