বাজারে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা-ই দেখার বিষয় চাল সংগ্রহ অভিযান
প্রতিবছরের মতো সরকার এবারও আমন ধানের চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে; কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হবে। মোট তিন লাখ টন চাল। কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ ২৪ টাকা ৭৬ পয়সা ধরে সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ২৬ টাকা ও আতপ চাল ২৫ টাকা।
তিন লাখ টনের মধ্যে আড়াই লাখ টনই সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে।
সেদ্ধ চালের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে এক টাকা ২৪ পয়সা লাভ ধরে কৃষককে দাম দেওয়া হবে। কিন্তু উৎপাদন ব্যয় সম্পর্কে সরকারের হিসাব-নিকাশে কোনো গোলমাল থাকলে শেষ পর্যন্ত কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা কঠিন হবে। সরকার গত বছর ২৮ টাকা কেজি দরে আমন কিনেছিল। সে হিসাবে এবার দাম কমিয়ে দেওয়া হলো। তবু ধরে নেওয়া যায় যে সরকার মোটামুটি সঠিক হিসাবই করেছে। এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে কৃষকদের সাড়া থেকে। এ সপ্তাহে চাল কেনা শুরু হচ্ছে, এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ বোঝা যাবে তাঁরা কেমন সাড়া দিচ্ছেন।
সরকারের চাল কেনার ক্ষেত্রে একটি বড় বিষয় হলো চাল সংগ্রহ প্রক্রিয়া। সরকারি ক্রয় অভিযানে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অনিয়ম লক্ষ করা যায়; এ ব্যাপারে কৃষকদের অভিজ্ঞতা তিক্ত। তা ছাড়া, সংগ্রহ-প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে সরকারের লক্ষ্যও ঠিকমতো অর্জিত হয় না। ক্রয় অভিযানে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতা বা গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া যায়। তা ছাড়া, সংগ্রহ-প্রক্রিয়ার পরিকল্পনায়ও নানা ঘাটতি থাকে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সময়মতো সঠিক নির্দেশনা পাঠানো ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে যথাযথ নজরদারি থাকে না। আমরা আশা করব, সরকার এদিকেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখবে।
সরকারের এই ক্রয় অভিযানের মূল উদ্দেশ্য দুটো। প্রথমত, রাষ্ট্রীয় খাদ্যমজুত বাড়ানো, যেন যেকোনো আপৎকালীন সময়ে বা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট সংকটে বাজারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা যায়, পরিমাণমতো চালের সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, দাম নির্ধারণের মাধ্যমে বাজারে একটা বার্তা দেওয়া যে কৃষকের জন্য ন্যূনতম দর কত হতে পারে। প্রথম ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা সরকারি গুদামের অপ্রতুলতা। খাদ্যমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে সরকারি গুদামের ধারণক্ষমতা কম। তাই সরকার চাইলেও প্রচুর পরিমাণে চাল সংগ্রহ করে রাখা সম্ভব নয়। ধারণক্ষমতার এই সীমাবদ্ধতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বিষয়ে অতীতে যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়ায় এটি এখন বড় একটি সমস্যায় রূপ নিয়েছে। নতুন গুদাম নির্মাণ করা ব্যয়সাপেক্ষ তো বটেই, সময়সাপেক্ষও। অন্যদিকে সরকার-নির্ধারিত দর শেষ পর্যন্ত বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা-ও দেখার বিষয়। কেননা, কৃষকের দাম ও ভোক্তা পর্যায়ের দামে বিরাট পার্থক্য একটা সমস্যা তৈরি করবে।
সেদ্ধ চালের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে এক টাকা ২৪ পয়সা লাভ ধরে কৃষককে দাম দেওয়া হবে। কিন্তু উৎপাদন ব্যয় সম্পর্কে সরকারের হিসাব-নিকাশে কোনো গোলমাল থাকলে শেষ পর্যন্ত কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা কঠিন হবে। সরকার গত বছর ২৮ টাকা কেজি দরে আমন কিনেছিল। সে হিসাবে এবার দাম কমিয়ে দেওয়া হলো। তবু ধরে নেওয়া যায় যে সরকার মোটামুটি সঠিক হিসাবই করেছে। এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে কৃষকদের সাড়া থেকে। এ সপ্তাহে চাল কেনা শুরু হচ্ছে, এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ বোঝা যাবে তাঁরা কেমন সাড়া দিচ্ছেন।
সরকারের চাল কেনার ক্ষেত্রে একটি বড় বিষয় হলো চাল সংগ্রহ প্রক্রিয়া। সরকারি ক্রয় অভিযানে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অনিয়ম লক্ষ করা যায়; এ ব্যাপারে কৃষকদের অভিজ্ঞতা তিক্ত। তা ছাড়া, সংগ্রহ-প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে সরকারের লক্ষ্যও ঠিকমতো অর্জিত হয় না। ক্রয় অভিযানে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতা বা গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া যায়। তা ছাড়া, সংগ্রহ-প্রক্রিয়ার পরিকল্পনায়ও নানা ঘাটতি থাকে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সময়মতো সঠিক নির্দেশনা পাঠানো ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে যথাযথ নজরদারি থাকে না। আমরা আশা করব, সরকার এদিকেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখবে।
সরকারের এই ক্রয় অভিযানের মূল উদ্দেশ্য দুটো। প্রথমত, রাষ্ট্রীয় খাদ্যমজুত বাড়ানো, যেন যেকোনো আপৎকালীন সময়ে বা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট সংকটে বাজারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা যায়, পরিমাণমতো চালের সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, দাম নির্ধারণের মাধ্যমে বাজারে একটা বার্তা দেওয়া যে কৃষকের জন্য ন্যূনতম দর কত হতে পারে। প্রথম ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা সরকারি গুদামের অপ্রতুলতা। খাদ্যমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে সরকারি গুদামের ধারণক্ষমতা কম। তাই সরকার চাইলেও প্রচুর পরিমাণে চাল সংগ্রহ করে রাখা সম্ভব নয়। ধারণক্ষমতার এই সীমাবদ্ধতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বিষয়ে অতীতে যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়ায় এটি এখন বড় একটি সমস্যায় রূপ নিয়েছে। নতুন গুদাম নির্মাণ করা ব্যয়সাপেক্ষ তো বটেই, সময়সাপেক্ষও। অন্যদিকে সরকার-নির্ধারিত দর শেষ পর্যন্ত বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা-ও দেখার বিষয়। কেননা, কৃষকের দাম ও ভোক্তা পর্যায়ের দামে বিরাট পার্থক্য একটা সমস্যা তৈরি করবে।
No comments