বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলা চার গুণ বেড়েছে
২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে ইরাক যুদ্ধের পর গত প্রায় এক দশকে বিশ্বে হামলার ঘটনা প্রায় চারগুণেরও বেশি হারে বেড়েছে।
তবে গত কয়েক বছরে হামলার ঘটনা আগের তুলনায় কমলেও সিরিয়া ও ইয়েমেনে অস্থিতিশীলতার কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১০ বছরের সন্ত্রাসী হামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিঙ্ অ্যান্ড পিস (আইইপি) এ সূচক তৈরি করেছে। সূচকে সন্ত্রাসবাদের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এগিয়ে আছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের' নামে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে চলমান সামরিক অভিযানে পরিস্থিতি হয়তো আরো খারাপ হয়েছে। যদিও এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বেড়েছে।
২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের প্রভাব বিষয়ে ১৫৮টি দেশের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব সন্ত্রাসবাদবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হামলায় ক্ষয়ক্ষতির ভিত্তিতে দেশগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছেন গবেষকরা। এতে ওপরের দিকে আছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। সবার ওপরে আছে ইরাক। এরপর যথাক্রমে আছে পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান ও ইয়েমেনের নাম। সূচক অনুযায়ী, ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ১২ শতাংশ ঘটনা পাকিস্তানে, ১১ শতাংশ ভারতে ও ১০ শতাংশ আফগানিস্তানে ঘটেছে। গত ১০ বছরের সন্ত্রাসী হামলায় বিশ্বে যে পরিমাণ লোক হতাহত হয়েছে তাদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ইরাকের।
জিটিআইয়ে সন্ত্রাসের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সহিংসতা ও অবৈধ তৎপরতার মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ বা আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করে সরকারের বাইরের কোনো শক্তির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। গবেষকরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সামাজিক বৈষম্যের সম্পর্ক থাকতে পারে। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে সন্ত্রাসী তৎপরতা তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ছিল। বেশির ভাগই ঘটেছে ইরাক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। ২০০৭ সালের পর থেকে গত বছর পর্যন্ত বিশ্বের সন্ত্রাসী হামলা প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে। ২০০২ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ৯৮২টি। এতে মারা গেছে তিন হাজার ৮২৩ জন। গত বছর হামলা হয়েছে চার হাজার ৫৬৪টি। মারা গেছে সাত হাজার ৪৭৩ জন।
আইইপির নির্বাহী চেয়ারম্যান স্টিভ কাইলেলা বলেন, 'সন্ত্রাসবাদ এখনকার চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী একটি বিষয়। গত তিন বছরে এ ধরনের ঘটনা কমেছে। তবে সন্ত্রাসী হামলার বর্তমান হারও অগ্রহণযোগ্য।'
১৫৮ দেশের মধ্যে গত ১০ বছরে ৩১টি দেশে সন্ত্রাসী হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। টুইন টাওয়ারে হামলার পর উত্তর আমেরিকা সবচেয়ে নিরাপদ এলাকায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকাও অন্যান্য এলাকার চেয়ে নিরাপদ বিবেচিত হয়েছে।
জিটিআইয়ে জানানো হয়, আল-কায়েদা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ইয়েমেন ও উত্তর আফ্রিকায় আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত দলগুলোর তৎপরতাকে এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১০ বছরের সন্ত্রাসী হামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিঙ্ অ্যান্ড পিস (আইইপি) এ সূচক তৈরি করেছে। সূচকে সন্ত্রাসবাদের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এগিয়ে আছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের' নামে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে চলমান সামরিক অভিযানে পরিস্থিতি হয়তো আরো খারাপ হয়েছে। যদিও এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বেড়েছে।
২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের প্রভাব বিষয়ে ১৫৮টি দেশের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব সন্ত্রাসবাদবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হামলায় ক্ষয়ক্ষতির ভিত্তিতে দেশগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছেন গবেষকরা। এতে ওপরের দিকে আছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। সবার ওপরে আছে ইরাক। এরপর যথাক্রমে আছে পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান ও ইয়েমেনের নাম। সূচক অনুযায়ী, ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ১২ শতাংশ ঘটনা পাকিস্তানে, ১১ শতাংশ ভারতে ও ১০ শতাংশ আফগানিস্তানে ঘটেছে। গত ১০ বছরের সন্ত্রাসী হামলায় বিশ্বে যে পরিমাণ লোক হতাহত হয়েছে তাদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ইরাকের।
জিটিআইয়ে সন্ত্রাসের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সহিংসতা ও অবৈধ তৎপরতার মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ বা আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করে সরকারের বাইরের কোনো শক্তির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। গবেষকরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সামাজিক বৈষম্যের সম্পর্ক থাকতে পারে। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে সন্ত্রাসী তৎপরতা তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ছিল। বেশির ভাগই ঘটেছে ইরাক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। ২০০৭ সালের পর থেকে গত বছর পর্যন্ত বিশ্বের সন্ত্রাসী হামলা প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে। ২০০২ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ৯৮২টি। এতে মারা গেছে তিন হাজার ৮২৩ জন। গত বছর হামলা হয়েছে চার হাজার ৫৬৪টি। মারা গেছে সাত হাজার ৪৭৩ জন।
আইইপির নির্বাহী চেয়ারম্যান স্টিভ কাইলেলা বলেন, 'সন্ত্রাসবাদ এখনকার চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী একটি বিষয়। গত তিন বছরে এ ধরনের ঘটনা কমেছে। তবে সন্ত্রাসী হামলার বর্তমান হারও অগ্রহণযোগ্য।'
১৫৮ দেশের মধ্যে গত ১০ বছরে ৩১টি দেশে সন্ত্রাসী হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। টুইন টাওয়ারে হামলার পর উত্তর আমেরিকা সবচেয়ে নিরাপদ এলাকায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকাও অন্যান্য এলাকার চেয়ে নিরাপদ বিবেচিত হয়েছে।
জিটিআইয়ে জানানো হয়, আল-কায়েদা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ইয়েমেন ও উত্তর আফ্রিকায় আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত দলগুলোর তৎপরতাকে এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
No comments