উদ্বিগ্ন মায়েরা by সাবিনা ইয়াসমিন
ছেলেকে ঠিকমতো স্কুলে পৌঁছানোর দায়িত্ব এত দিন গাড়িচালকের ছিল। কিন্তু এখন আর তা করেন না মা সালমা ফরিদি। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া অর্ক রহমান যতক্ষণ বিদ্যালয়ের ফটকে না পৌঁছায়, ততক্ষণ তিনি হাত ধরে রাখেন।
গত ১৮ নভেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর আসাদগেটে সেন্ট যোসেফ হাইস্কুলের সামনে ফুটপাতে পত্রিকা পেতে গোল হয়ে বসে আছেন মায়েরা। চোখে তাঁদের ভয় আর আশঙ্কা। সালমা ফরিদি বলেন, ‘রাতে ঘুমাতে পারছি না। অপহরণ ও গুম বেড়েই চলেছে।’ অনেক শোরগোলের মধ্যেও মুখ শুকনো; চুপ করে বসে আছেন রিতা হায়দার। কাছে যেতেই উত্তেজিত কণ্ঠে বললেন, সন্তান মায়ের সঙ্গে থাকলেই কী? মায়ের বুক থেকেই তো কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
গত ১২ নভেম্বর মাকে গুলি করে দুষ্কৃতকারীরা কেড়ে নিয়েছিল ছোট্ট শিশু পরাগকে। পরাগ যদিও ফিরেছে, কিন্তু এমন ঘটনায় আতঙ্কিত মায়েরা। ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে বসে থাকা মা নন্দিনী বলেন, ‘ঢাকা শহরের যে অবস্থা, তাতে নিরুপায় হয়ে সময় কাটাতে হয় স্কুলের গেটে বসে।’ ওয়াইডব্লিউসিএ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী সুপ্তি নার্সারিতে পড়ে। মা মাধবী দাস মিরপুর থেকে প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে যাতায়াত করেন। বিদ্যালয় ছুটি না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকেন অধীর অপেক্ষায়। ঢাকার ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে ইশরাত জাহান। মা-বাবা ব্যস্ত থাকায় আনা-নেওয়ার দায়িত্ব যত্নের সঙ্গে পালন করেন দাদি ফিরোজা বেগম। ছেলের বউ বারবার সাবধান করে দিয়েছেন, দেরি হলেও বিদ্যালয়ে বসে থাকতে হবে। পরিচিত কারও সঙ্গে যেন বাসায় না ফেরে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মো. ইমদাদুল হকের দুই মেয়ে পড়ে। নওশীন আতিয়া পড়ে অষ্টম শ্রেণীতে আর নিশাত লামিয়া পঞ্চম শ্রেণীতে। প্রতিদিন ইমদাদুল হক বিদ্যালয়ে দিয়ে আসেন আর মা নিয়ে আসেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য ও মানুষ করতে সবকিছু ছাড় দিতে রাজি তিনি। মতিঝিল আইডিয়াল বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকে দাঁড়িয়ে আছেন মা জাহান আরা। ছেলে জুবায়ের আহমেদ নবম শ্রেণীতে পড়ে। ছেলের জন্য সব সময় চিন্তায় থাকেন তিনি। আর চারপাশে যা ঘটছে, তাতে যেন চোখের ঘুম হারিয়ে গেছে তাঁর। বর্তমানে সব পরিবার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রেহেনা সুলতানার মেয়ে হুমায়রা আদীবা পড়ে নার্সারিতে। রেহেনা বলেন, ‘আমাদের শিশুরা যাতে নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে পারে, সেই নিশ্চয়তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।
গত ১২ নভেম্বর মাকে গুলি করে দুষ্কৃতকারীরা কেড়ে নিয়েছিল ছোট্ট শিশু পরাগকে। পরাগ যদিও ফিরেছে, কিন্তু এমন ঘটনায় আতঙ্কিত মায়েরা। ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে বসে থাকা মা নন্দিনী বলেন, ‘ঢাকা শহরের যে অবস্থা, তাতে নিরুপায় হয়ে সময় কাটাতে হয় স্কুলের গেটে বসে।’ ওয়াইডব্লিউসিএ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী সুপ্তি নার্সারিতে পড়ে। মা মাধবী দাস মিরপুর থেকে প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে যাতায়াত করেন। বিদ্যালয় ছুটি না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকেন অধীর অপেক্ষায়। ঢাকার ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে ইশরাত জাহান। মা-বাবা ব্যস্ত থাকায় আনা-নেওয়ার দায়িত্ব যত্নের সঙ্গে পালন করেন দাদি ফিরোজা বেগম। ছেলের বউ বারবার সাবধান করে দিয়েছেন, দেরি হলেও বিদ্যালয়ে বসে থাকতে হবে। পরিচিত কারও সঙ্গে যেন বাসায় না ফেরে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মো. ইমদাদুল হকের দুই মেয়ে পড়ে। নওশীন আতিয়া পড়ে অষ্টম শ্রেণীতে আর নিশাত লামিয়া পঞ্চম শ্রেণীতে। প্রতিদিন ইমদাদুল হক বিদ্যালয়ে দিয়ে আসেন আর মা নিয়ে আসেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য ও মানুষ করতে সবকিছু ছাড় দিতে রাজি তিনি। মতিঝিল আইডিয়াল বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকে দাঁড়িয়ে আছেন মা জাহান আরা। ছেলে জুবায়ের আহমেদ নবম শ্রেণীতে পড়ে। ছেলের জন্য সব সময় চিন্তায় থাকেন তিনি। আর চারপাশে যা ঘটছে, তাতে যেন চোখের ঘুম হারিয়ে গেছে তাঁর। বর্তমানে সব পরিবার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রেহেনা সুলতানার মেয়ে হুমায়রা আদীবা পড়ে নার্সারিতে। রেহেনা বলেন, ‘আমাদের শিশুরা যাতে নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে পারে, সেই নিশ্চয়তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।
No comments