সফলদের স্বপ্নগাথা- যোগাযোগ আনে সাফল্য by শেরিল
ফেসবুকের সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬৯ সালের ২৮ আগস্ট। ফেসবুকের আগে তিনি গুগলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ২০১২ সালের ২৫ মে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তিনি বক্তব্যটি দেন।
এখানে বক্তব্য দেওয়ার কথা যখন ডিন নোরিয়া আমাকে বললেন, আমি তখন ভাবলাম, আমার চেয়েও আশাবাদী কিছু তরুণের সামনে আমাকে কথা বলতে হবে। আমার অবশ্য তরুণদের সান্নিধ্য সব সময়ই পছন্দের। তবে মাঝেমধ্যে তারা যখন খুব অবাক হয়ে জানতে চায়, ইন্টারনেট ছাড়া আমরা আমাদের সময় কীভাবে পার করেছি, তখন আমি বিব্রত বোধ করি।
১৭ বছর আগে আমি এখানে (হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল) পড়তাম। খুব বেশি দিন হয়নি, যখন আমি তোমাদের জায়গায় ছিলাম। কিন্তু এই অল্প দিনেই পৃথিবীটা অনেক বদলে গেছে। আমি ছিলাম সেকশন বি-তে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম আমাদের শ্রেণীকক্ষকে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রথম অনলাইন শ্রেণীকক্ষে পরিণত করতে। আমরা একটি চ্যাটরুম ব্যবহার করতাম, যেখানে একটি ডায়াল সার্ভিস চালু ছিল। আমরা ছদ্মনামের একটা তালিকা তৈরি করতাম। কারণ, তখন ইন্টারনেটে আসল নাম ব্যবহারের প্রচলন ছিল না। আমাদের এই পদ্ধতি প্রায়ই ঠিকমতো কাজ করত না। কারণ, ওটা ৯০ জনের একসঙ্গে কাজ করার মতো উপযোগী ছিল না। কিন্তু তখন আমরা ঠিকই আঁচ করতে পেরেছিলাম এর সম্ভাবনাটা। আমরা বুঝতে পারতাম, ভবিষ্যৎটা এমন হবে, যেখানে প্রযুক্তি সহজেই আমাদের বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে সহজেই যুক্ত করবে। একটা সময় ছিল, যখন শুধু খ্যাতিমান ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিরাই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে পারতেন। এখন সময় বদলেছে। সাধারণ মানুষেরও এখন মতামত প্রকাশের জায়গা আছে। ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার করে যে কেউ এখন যেকোনো বিষয়ে আওয়াজ তুলতে পারছে। এটা বদলে দিচ্ছে ক্ষমতা বা কাজের গতানুগতিক ভাবনা। এখন ক্ষমতা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে এবং ক্ষমতাবানের হাত থেকে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। মতামত এখন খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এক ক্ষেত্র থেকে অন্য ক্ষেত্রে।
ফেসবুকে যোগ দেওয়ার পর আমাকে এর ব্যবসায়িক দিকটাও দেখতে হতো। আমি চাইতাম ফেসবুকের নিজস্ব ধরনটাকে বাধাগ্রস্ত না করে আমার কাজ চালিয়ে যেতে। একজন উপযুক্ত নেতা বুঝতে পারেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে সব কর্মী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাই নেতারই দায়িত্ব কর্মীদের কাজে উৎসাহিত করা।
তোমারা আজ গ্র্যাজুয়েট। নিজেকে একবার প্রশ্ন করো, তুমি কি সহজ-সরল ভাষায় কথা বলো? তুমি কি সততার খোঁজ করো? তখন তোমার প্রতিক্রিয়া কেমন হয়? যেহেতু যোগাযোগকে আরও সহজ করার জন্য আমরা চেষ্টা করি, সেহেতু অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমাদের আরও বিশ্বস্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আমি কাজে বিশ্বাসী। যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই আমার প্রেরণার সৃষ্টি হয়। যদি আমরা কাউকে গুরুত্ব দিতে চাই, তাহলে তাকে অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না যে সোম থেকে শুক্রবার শুধু কাজ নিয়েই থাকব, নিজের জন্য শুধু বাকি দুই দিন ব্যবহার করব। কর্মক্ষেত্রকেও নিজের উপযোগী করে নিতে হবে। নিজের ভালো লাগা ও খারাপ লাগা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। এতে করে কর্মক্ষেত্রে কাজের একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মূল কথা হচ্ছে, তুমি যা, নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করো।
সম্প্রতি আমি কর্মক্ষেত্রে নারীদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছি। একজন নারী হয়েও আমি আমার কাজ করেছি অন্য সবার মতোই। এটা কখনো বলো না, আমি মেয়ে। আমি এটা কখনো বলিনি। ১৯৯৫ সালে আমি যখন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করি, তখন ভেবেছিলাম, আমাদের ব্যাচ থেকে কেউ একজন এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলবে। তবে সেদিন আমি আমার কথা মোটেও ভাবিনি।
আমরা কর্মক্ষেত্রে সমতা অর্জন করতে চাই। কিন্তু এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে লিঙ্গবৈষম্য এখনো নেতৃত্বদানের কাজে নারীদের জন্য একটা বিশাল প্রতিবন্ধকতা। উচ্চপর্যায়ের কাজে নারীর সংখ্যা এখনো ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে থেমে আছে। নারীদের সফলতাকে এখনো নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। তাই এটা বেশি খেয়াল রাখতে হবে, নারীরা যাতে নিজেদের ক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন না করেন। নারীদের কাজে উৎসাহিত করতে হলে ভিন্নধর্মী শিক্ষা দিতে হবে, তাঁদের উৎসাহিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে তাঁদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম আমি বিকেল পাঁচটায় অফিস ছাড়ি, যাতে আমি আমার সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে রাতের খাবার খেতে পারি। আমি খুবই অবাক হয়েছি, যখন দেখলাম সংবাদপত্রগুলো এটা অনেক ফলাও করে প্রচার করেছে। আমার এক বন্ধু এতে মজা করে বলেছে যে আমি যদি কুঠার দিয়ে কাউকে হত্যা করতাম, তবুও হয়তো এত সংবাদের শিরোনাম হতে পারতাম না! এটাই প্রমাণ করে যে এই সমস্যাটা এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই। তা না হলে এ ব্যাপারে কেন এত লেখালেখি হবে? সবচেয়ে জরুরি হলো, কীভাবে মেয়েদের উচ্চপদের কাজগুলোর প্রতি উৎসাহিত করে তোলা যায় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নারী-পুরুষের আকাঙ্ক্ষার ব্যবধান ঘোচাতে পারব না, ততক্ষণ পর্যন্ত নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের ব্যবধান কমাতে পারব না। কয়েক সপ্তাহ আগে বার্নার্ড কলেজের সমাবর্তনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছিলেন যে শুধু টেবিলে বসার জন্য নারীদের প্রয়োজন নয়, নারীরা এখানে তাদের সঠিক জায়গাটা করে নিক, তা-ই আমরা চাই।
তোমরা সহপাঠীরা কয়েক দিন পরই কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে যোগাযোগটা সব সময় রেখো।
সবশেষে তোমাদের আমি চারটি বিষয়ে কথা বলতে চাই:
ফেসবুকের মাধ্যমে একটা যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি কোরো।
সব সময় সত্যের পথে চলবে।
নিজের কাছে বিশ্বস্ত থাকবে।
আমরা যা করতে পারিনি, আশা করি, তোমরাই তা অর্জন করবে। আমাদের এমন একটা পৃথিবী উপহার দেবে, যেখানে আমাদের অর্ধেক পরিবার পুরুষ দিয়ে এবং অর্ধেক প্রতিষ্ঠান নারী দিয়ে পরিচালিত হবে। আর এমনটা যদি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়, তবে আমরা একটা সুন্দর পৃথিবীর সন্ধান পাব।
সবার জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
সূত্র: ওয়েবসাইট, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: হাবিবা সিদ্দিকা
১৭ বছর আগে আমি এখানে (হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল) পড়তাম। খুব বেশি দিন হয়নি, যখন আমি তোমাদের জায়গায় ছিলাম। কিন্তু এই অল্প দিনেই পৃথিবীটা অনেক বদলে গেছে। আমি ছিলাম সেকশন বি-তে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম আমাদের শ্রেণীকক্ষকে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রথম অনলাইন শ্রেণীকক্ষে পরিণত করতে। আমরা একটি চ্যাটরুম ব্যবহার করতাম, যেখানে একটি ডায়াল সার্ভিস চালু ছিল। আমরা ছদ্মনামের একটা তালিকা তৈরি করতাম। কারণ, তখন ইন্টারনেটে আসল নাম ব্যবহারের প্রচলন ছিল না। আমাদের এই পদ্ধতি প্রায়ই ঠিকমতো কাজ করত না। কারণ, ওটা ৯০ জনের একসঙ্গে কাজ করার মতো উপযোগী ছিল না। কিন্তু তখন আমরা ঠিকই আঁচ করতে পেরেছিলাম এর সম্ভাবনাটা। আমরা বুঝতে পারতাম, ভবিষ্যৎটা এমন হবে, যেখানে প্রযুক্তি সহজেই আমাদের বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে সহজেই যুক্ত করবে। একটা সময় ছিল, যখন শুধু খ্যাতিমান ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিরাই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে পারতেন। এখন সময় বদলেছে। সাধারণ মানুষেরও এখন মতামত প্রকাশের জায়গা আছে। ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার করে যে কেউ এখন যেকোনো বিষয়ে আওয়াজ তুলতে পারছে। এটা বদলে দিচ্ছে ক্ষমতা বা কাজের গতানুগতিক ভাবনা। এখন ক্ষমতা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে এবং ক্ষমতাবানের হাত থেকে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। মতামত এখন খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এক ক্ষেত্র থেকে অন্য ক্ষেত্রে।
ফেসবুকে যোগ দেওয়ার পর আমাকে এর ব্যবসায়িক দিকটাও দেখতে হতো। আমি চাইতাম ফেসবুকের নিজস্ব ধরনটাকে বাধাগ্রস্ত না করে আমার কাজ চালিয়ে যেতে। একজন উপযুক্ত নেতা বুঝতে পারেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে সব কর্মী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাই নেতারই দায়িত্ব কর্মীদের কাজে উৎসাহিত করা।
তোমারা আজ গ্র্যাজুয়েট। নিজেকে একবার প্রশ্ন করো, তুমি কি সহজ-সরল ভাষায় কথা বলো? তুমি কি সততার খোঁজ করো? তখন তোমার প্রতিক্রিয়া কেমন হয়? যেহেতু যোগাযোগকে আরও সহজ করার জন্য আমরা চেষ্টা করি, সেহেতু অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমাদের আরও বিশ্বস্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আমি কাজে বিশ্বাসী। যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই আমার প্রেরণার সৃষ্টি হয়। যদি আমরা কাউকে গুরুত্ব দিতে চাই, তাহলে তাকে অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না যে সোম থেকে শুক্রবার শুধু কাজ নিয়েই থাকব, নিজের জন্য শুধু বাকি দুই দিন ব্যবহার করব। কর্মক্ষেত্রকেও নিজের উপযোগী করে নিতে হবে। নিজের ভালো লাগা ও খারাপ লাগা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। এতে করে কর্মক্ষেত্রে কাজের একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মূল কথা হচ্ছে, তুমি যা, নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করো।
সম্প্রতি আমি কর্মক্ষেত্রে নারীদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছি। একজন নারী হয়েও আমি আমার কাজ করেছি অন্য সবার মতোই। এটা কখনো বলো না, আমি মেয়ে। আমি এটা কখনো বলিনি। ১৯৯৫ সালে আমি যখন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করি, তখন ভেবেছিলাম, আমাদের ব্যাচ থেকে কেউ একজন এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলবে। তবে সেদিন আমি আমার কথা মোটেও ভাবিনি।
আমরা কর্মক্ষেত্রে সমতা অর্জন করতে চাই। কিন্তু এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে লিঙ্গবৈষম্য এখনো নেতৃত্বদানের কাজে নারীদের জন্য একটা বিশাল প্রতিবন্ধকতা। উচ্চপর্যায়ের কাজে নারীর সংখ্যা এখনো ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে থেমে আছে। নারীদের সফলতাকে এখনো নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। তাই এটা বেশি খেয়াল রাখতে হবে, নারীরা যাতে নিজেদের ক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন না করেন। নারীদের কাজে উৎসাহিত করতে হলে ভিন্নধর্মী শিক্ষা দিতে হবে, তাঁদের উৎসাহিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে তাঁদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম আমি বিকেল পাঁচটায় অফিস ছাড়ি, যাতে আমি আমার সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে রাতের খাবার খেতে পারি। আমি খুবই অবাক হয়েছি, যখন দেখলাম সংবাদপত্রগুলো এটা অনেক ফলাও করে প্রচার করেছে। আমার এক বন্ধু এতে মজা করে বলেছে যে আমি যদি কুঠার দিয়ে কাউকে হত্যা করতাম, তবুও হয়তো এত সংবাদের শিরোনাম হতে পারতাম না! এটাই প্রমাণ করে যে এই সমস্যাটা এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই। তা না হলে এ ব্যাপারে কেন এত লেখালেখি হবে? সবচেয়ে জরুরি হলো, কীভাবে মেয়েদের উচ্চপদের কাজগুলোর প্রতি উৎসাহিত করে তোলা যায় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নারী-পুরুষের আকাঙ্ক্ষার ব্যবধান ঘোচাতে পারব না, ততক্ষণ পর্যন্ত নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের ব্যবধান কমাতে পারব না। কয়েক সপ্তাহ আগে বার্নার্ড কলেজের সমাবর্তনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছিলেন যে শুধু টেবিলে বসার জন্য নারীদের প্রয়োজন নয়, নারীরা এখানে তাদের সঠিক জায়গাটা করে নিক, তা-ই আমরা চাই।
তোমরা সহপাঠীরা কয়েক দিন পরই কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে যোগাযোগটা সব সময় রেখো।
সবশেষে তোমাদের আমি চারটি বিষয়ে কথা বলতে চাই:
ফেসবুকের মাধ্যমে একটা যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি কোরো।
সব সময় সত্যের পথে চলবে।
নিজের কাছে বিশ্বস্ত থাকবে।
আমরা যা করতে পারিনি, আশা করি, তোমরাই তা অর্জন করবে। আমাদের এমন একটা পৃথিবী উপহার দেবে, যেখানে আমাদের অর্ধেক পরিবার পুরুষ দিয়ে এবং অর্ধেক প্রতিষ্ঠান নারী দিয়ে পরিচালিত হবে। আর এমনটা যদি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়, তবে আমরা একটা সুন্দর পৃথিবীর সন্ধান পাব।
সবার জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
সূত্র: ওয়েবসাইট, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: হাবিবা সিদ্দিকা
No comments