মার্কিন দূতাবাসের গাড়িতে হামলা জামায়াতের-যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা
হরতালের সময় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশের তদন্তে সহযোগিতার জন্য জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
পাশাপাশি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, আজ বুধবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের কথা রয়েছে। এদিকে জামায়াতে ইসলামী গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই হামলার দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছে।
খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কে এম মোশারাফ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরা এলাকা থেকে গুলশান এলাকায় যাওয়ার সময় খেজুরবাগান ফুট ওভারব্রিজের পাশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি গাড়ি (জিপ) জামায়াত-শিবির কর্মীদের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হয়। ১০-১৫ জনের একটি মিছিল থেকে ওই গাড়িতে ইটপাথর ছোড়া হয়। এতে গাড়ির সামনের ও পেছনের অংশের কাঁচ ফেটে যায়। গাড়িটি দ্রুতগতিতে সামনের দিকে চলে যায়। গাড়িতে দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীরা ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে গতকাল সন্ধ্যায় দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, '৪ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল ৮:৪৫ মিনিটে একদল লোক ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়িতে হামলা চালালে গাড়ির ড্রাইভার সামান্য আহত হন এবং গাড়িটিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অভূতপূর্ব এই দুঃখজনক ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত শেষে এর দায় দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করছি এবং নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনার জন্য দূতাবাস এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এর ক্ষতিপূরণ দিতে আমরা প্রস্তুত।'
ওয়েবসাইটে ওই বিবৃতি প্রকাশের আগে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, 'আমরা তদন্ত করে দেখব। তবে তদন্ত ছাড়া আমরা এর দায়দায়িত্ব নিতে চাই না।' তদন্ত সাপেক্ষে জামায়াত দুঃখ প্রকাশ করবে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ ধরনের ঘটনা ন্যক্কারজনক।'
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল সকালে ওই হামলার পরপরই সংশ্লিষ্ট দূতাবাস হামলাকারীদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়। তারা নিশ্চিত হয়, হরতালের পক্ষে রাস্তায় নামা ব্যক্তিরাই ওই হামলা চালিয়েছে। আক্রান্ত গাড়িতে ওই সময় কোনো বিদেশি ছিলেন না। তা ছাড়া নম্বর প্লেট দেখা ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে তা দূতাবাসের গাড়ি বলেও বোঝার উপায় ছিল না। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, হরতাল আহ্বানকারীরা ওই হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেবে- এমনটাই কথা হয়েছে। ওই হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করে।
এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র কেলি এস ম্যাককারথি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়িটি আক্রান্ত হওয়ার সময় তাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাঁরাও আহত হয়েছেন। আহত গাড়িচালক চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত গাড়িচালক ও পুলিশ সদস্যদের কথা স্মরণে রেখে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাঁদের আরোগ্য কামনা করছে। তিনি আরো জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ওই হামলার ঘটনা তদন্ত করছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সম্পদ ও আমেরিকান নাগরিকদের রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ও ডিএমপি সাহায্য ও সহযোগিতা করবে- যুক্তরাষ্ট্র এটাই প্রত্যাশা করে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সম্ভাব্য কঠোরতম ভাষায় এ ধরনের সংঘাতের নিন্দা জানায়। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানো মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সংঘাতে জড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।'
মুখপাত্র আরো বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি এবং বিষয়টি আমরা ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছি। অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে জামায়াত ও অন্য যাদের কাছে ওই হামলা সম্পর্কে তথ্য আছে, তাদের আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান জানাই।'
খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কে এম মোশারাফ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরা এলাকা থেকে গুলশান এলাকায় যাওয়ার সময় খেজুরবাগান ফুট ওভারব্রিজের পাশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি গাড়ি (জিপ) জামায়াত-শিবির কর্মীদের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হয়। ১০-১৫ জনের একটি মিছিল থেকে ওই গাড়িতে ইটপাথর ছোড়া হয়। এতে গাড়ির সামনের ও পেছনের অংশের কাঁচ ফেটে যায়। গাড়িটি দ্রুতগতিতে সামনের দিকে চলে যায়। গাড়িতে দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীরা ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে গতকাল সন্ধ্যায় দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, '৪ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল ৮:৪৫ মিনিটে একদল লোক ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়িতে হামলা চালালে গাড়ির ড্রাইভার সামান্য আহত হন এবং গাড়িটিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অভূতপূর্ব এই দুঃখজনক ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত শেষে এর দায় দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করছি এবং নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনার জন্য দূতাবাস এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এর ক্ষতিপূরণ দিতে আমরা প্রস্তুত।'
ওয়েবসাইটে ওই বিবৃতি প্রকাশের আগে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, 'আমরা তদন্ত করে দেখব। তবে তদন্ত ছাড়া আমরা এর দায়দায়িত্ব নিতে চাই না।' তদন্ত সাপেক্ষে জামায়াত দুঃখ প্রকাশ করবে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ ধরনের ঘটনা ন্যক্কারজনক।'
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল সকালে ওই হামলার পরপরই সংশ্লিষ্ট দূতাবাস হামলাকারীদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়। তারা নিশ্চিত হয়, হরতালের পক্ষে রাস্তায় নামা ব্যক্তিরাই ওই হামলা চালিয়েছে। আক্রান্ত গাড়িতে ওই সময় কোনো বিদেশি ছিলেন না। তা ছাড়া নম্বর প্লেট দেখা ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে তা দূতাবাসের গাড়ি বলেও বোঝার উপায় ছিল না। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, হরতাল আহ্বানকারীরা ওই হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেবে- এমনটাই কথা হয়েছে। ওই হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করে।
এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র কেলি এস ম্যাককারথি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়িটি আক্রান্ত হওয়ার সময় তাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাঁরাও আহত হয়েছেন। আহত গাড়িচালক চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত গাড়িচালক ও পুলিশ সদস্যদের কথা স্মরণে রেখে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাঁদের আরোগ্য কামনা করছে। তিনি আরো জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ওই হামলার ঘটনা তদন্ত করছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সম্পদ ও আমেরিকান নাগরিকদের রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ও ডিএমপি সাহায্য ও সহযোগিতা করবে- যুক্তরাষ্ট্র এটাই প্রত্যাশা করে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সম্ভাব্য কঠোরতম ভাষায় এ ধরনের সংঘাতের নিন্দা জানায়। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানো মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সংঘাতে জড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।'
মুখপাত্র আরো বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি এবং বিষয়টি আমরা ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছি। অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে জামায়াত ও অন্য যাদের কাছে ওই হামলা সম্পর্কে তথ্য আছে, তাদের আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান জানাই।'
No comments