ইসিতে সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে জামায়াত
গঠনতন্ত্র থেকে সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থী ধারা বাদ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে দলটি। এতে ইসলামি শাসনের পরিবর্তে ‘সুবিচারপূর্ণ শাসন’ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর আইনবিষয়ক সম্পাদক জসীম উদ্দীন সরকার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিসহ সংশোধিত গঠনতন্ত্র ২ ডিসেম্বর জমা দেওয়া হয়েছে।
ইসি পাঁচ দফা তাগাদা দিয়ে চিঠি দেওয়ার পর জামায়াত সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিল।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জামায়াত তাদের গঠনতন্ত্রের ২ ধারার ৫ উপধারা থেকে ‘কাহাকেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয় এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে’ শব্দগুচ্ছ বাদ দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইসিকে লেখা জামায়াতের চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের গঠনতন্ত্রের ২ ধারার ৫ উপধারার আংশিক বিধান জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব ও আইনসভার কর্তৃত্বকে অস্বীকারের সমতুল্য প্রতীয়মান হওয়ায় ওই অংশটি ২০০৮ সালে সাময়িক নিবন্ধনের সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল। তখন জামায়াতের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক দলের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ইসিতে গিয়ে ওই অংশটি গঠনতন্ত্রের অংশ নয় মর্মে স্বাক্ষর করে তা লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়েছিলেন। চিঠিতে দাবি করা হয়, পরে গঠনতন্ত্র ছাপানোর সময় ‘ভুলবশত’ লাল কালিতে কাটা অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়নি।
গঠনতন্ত্রের মোট ছয়টি ধারা সংশোধন করে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে মোট পাঁচ দফা চিঠি দেয়। সর্বশেষ চিঠি দেওয়া হয় গত ৪ নভেম্বর।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, সংশোধিত গঠনতন্ত্র থেকে ‘ইসলামি জীবন বিধান’ বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। ধারা ৩ থেকে ‘ইসলামের সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম’ বাদ দিয়ে ‘সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম’-এর কথা বলা হয়েছে।
৬ ধারার ৪ উপধারা থেকে ‘ইসলামের পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠাকল্পে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংশোধন আনা’ বাদ দিয়ে ‘গণতান্ত্রিক পন্থায়’ পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। ৭ ধারার ১ থেকে ৩ উপধারা বাদ দেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে জামায়াতের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
ইসি পাঁচ দফা তাগাদা দিয়ে চিঠি দেওয়ার পর জামায়াত সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিল।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জামায়াত তাদের গঠনতন্ত্রের ২ ধারার ৫ উপধারা থেকে ‘কাহাকেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয় এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে’ শব্দগুচ্ছ বাদ দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইসিকে লেখা জামায়াতের চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের গঠনতন্ত্রের ২ ধারার ৫ উপধারার আংশিক বিধান জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব ও আইনসভার কর্তৃত্বকে অস্বীকারের সমতুল্য প্রতীয়মান হওয়ায় ওই অংশটি ২০০৮ সালে সাময়িক নিবন্ধনের সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল। তখন জামায়াতের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক দলের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ইসিতে গিয়ে ওই অংশটি গঠনতন্ত্রের অংশ নয় মর্মে স্বাক্ষর করে তা লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়েছিলেন। চিঠিতে দাবি করা হয়, পরে গঠনতন্ত্র ছাপানোর সময় ‘ভুলবশত’ লাল কালিতে কাটা অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়নি।
গঠনতন্ত্রের মোট ছয়টি ধারা সংশোধন করে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে মোট পাঁচ দফা চিঠি দেয়। সর্বশেষ চিঠি দেওয়া হয় গত ৪ নভেম্বর।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, সংশোধিত গঠনতন্ত্র থেকে ‘ইসলামি জীবন বিধান’ বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। ধারা ৩ থেকে ‘ইসলামের সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম’ বাদ দিয়ে ‘সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম’-এর কথা বলা হয়েছে।
৬ ধারার ৪ উপধারা থেকে ‘ইসলামের পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠাকল্পে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংশোধন আনা’ বাদ দিয়ে ‘গণতান্ত্রিক পন্থায়’ পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। ৭ ধারার ১ থেকে ৩ উপধারা বাদ দেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে জামায়াতের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
No comments