কিছুই দেননি তাজরীনের মালিক-আজ বেতন হতে পারে
'আমি এখনো কোনো অর্থ সহায়তা দিইনি। আর আহত ও নিহত শ্রমিকদের আমার বা কারখানার পক্ষ থেকে কী সহায়তা দেব, সে বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিজিএমইএ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে জানাবে'- প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সহায়তায় আপনার কী অংশগ্রহণ জানতে চাইলে তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন এভাবেই উত্তর দেন।
জানা যায়, নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে গতকাল প্রধানমন্ত্রী যে ছয় লাখ টাকা করে দিয়েছেন, তা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও লি অ্যান্ড ফাংয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এখানে তাজরীন ফ্যাশনস কর্তৃপক্ষের কোনো অর্থ নেই।
এদিকে তাজরীনের মোট শ্রমিকের সংখ্যা আগে এক হাজার ১৬৬ শোনা গেলেও গতকাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সংখ্যাটি হবে ৯৯০ জন। গতকাল পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, নির্ধারিত ৯৯০ জন শ্রমিককে আজ বুধবার মজুরি দেওয়া হবে।
তাজরীন কেন সহায়তা দেয়নি জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিজিএমইএ থেকে আমাকে বলা হয়েছে, এখন সরকার, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। সবার কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা হিসাব করে দেখার পরই আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। বিজিএমইএর নির্দেশনা মোতাবেক আমি আহত ও নিহত শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।'
এ বিষয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যে ছয় লাখ করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, তাতে তাজরীন গার্মেন্টের মালিকের কানাকড়িও নেই। এভাবে কোনো মালিককে ছেড়ে দেওয়া হলে কারখানায় শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে না।' তিনি বলেন, 'মালিকের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই ১২৪ জনেরও বেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে। বেওয়ারিশ হিসেবে ৫২ লাশ দাফন করা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক শ্রমিকের লাশ পুড়ে একেবারেই ছাই হয়ে গেছে। যাদের লাশ পাওয়া গেছে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। তবে যারা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, তাদের পরিবার লাশ, আর্থিক সহায়তা- কোনটাই পেল না। এটা খুবই নির্মম।'
শ্রমিকের সংখ্যা কত : কারখানার অন্য শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া নিয়ে চলছে কালক্ষেপণ। শ্রমিকের সংখ্যা নিয়েও দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। কারণ তাজরীন কারখানার শ্রমিকদের নাম, পদবি ও মজুরির হিসাব থাকা রেজিস্ট্রার খাতাটিও আগুনে পুড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে শ্রমিকদের বিষয়ে আর কোনো তথ্য নেই।
গত রবিবার শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেছিলেন, মালিকরা তাঁকে জানিয়েছেন, আগুনে পোড়া তাজরীন ফ্যাশনসে শ্রমিক সংখ্যা এক হাজার ১৬৬ জন। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল মঙ্গলবার বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলা হলো, তাজরীনের শ্রমিক সংখ্যা ৯৯০ জন। বলা হচ্ছে, কারখানার সুপারভাইজার, লাইন চিফ ও প্রডাকশন ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে এ সংখ্যা নির্ধারণ করেছে বিজিএমইএ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ও তা মেনে নিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দুই দিনের হিসাবে ফারাক ১৭৬ জন শ্রমিক, তারা তাহলে গেল কোথায়?
কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর গত ২৫ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক দেলোয়ার হোসেন নিজেই কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, 'গত রমজান মাসে এক হাজার ১৩৭ জন শ্রমিক ছিল। ঈদে বাড়ি যাওয়ার পর কিছু শ্রমিক আসেনি। আবার নতুন করেও অনেক শ্রমিক নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকৃত শ্রমিক কতজন তাও আমরা জানি না।' এ অবস্থায় প্রকৃত শ্রমিকসংখ্যা এসব হিসাবের চেয়েও কমিয়ে দেখাল বিজিএমইএ।
তাজরীন ফ্যাশনসসহ আরো ছয়টি কারখানা নিয়ে দেলোয়ার হোসেন গড়ে তুলেছেন তুবা গ্রুপ। গ্রুপটির একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের নানা তথ্যও রয়েছে। তবে গুলশানে অবস্থিত গ্রুপটির প্রধান কার্যালয়ে শ্রমিকদের ব্যাপারে নেই কোনো তথ্য এবং এই না থাকার কোনো কারণও দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে জানাতে পারেননি।
গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু বলেন, দেলোয়ার হোসেন তাজরীন ফ্যাশনসের কোনো শ্রমিককেই নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র দেননি। নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র দেওয়া হলে প্রধান কার্যালয়ে সেসব তথ্য সংরক্ষিত থাকার কথা।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, তুবা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অবশ্যই শ্রমিকদের ব্যাপারে তথ্য রয়েছে। শ্রমিকদের আগের দিনের ওভারটাইমের হিসাবও তো তারা রেখেছে। তাদের কম্পিউটারে এ-সংক্রান্ত সব তথ্য নিশ্চয়ই আছে। এখন যাতে নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে অর্থ না দিতে হয় সে জন্যই মালিকরা তথ্য গোপন করছে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে সহজেই নিহত শ্রমিকদের পরিচয় ও তাদের নিকটাত্মীয়দের খুঁজে বের করা সম্ভব। তা না করে ডিএনএ টেস্টের নামে সময় নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রবীণ এ শ্রমিক নেতা।
আজ বুধবার মজুরি : গতকাল পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, নির্ধারিত ৯৯০ জন শ্রমিককে বুধবার মজুরি দেওয়া হবে। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রম আইন অনুযায়ী পুরনো শ্রমিকদের প্রত্যেককে এক মাসের মজুরির সঙ্গে ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা করে দেওয়া হবে। আর নতুন শ্রমিকরা পাবে এক মাসের মজুরির সঙ্গে বাড়তি এক হাজার টাকা। সকাল সাড়ে ১০টায় আশুলিয়ার আইআরআই চত্বরে পোশাক শিল্প মালিক নেতা এবং শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধ করা হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেহেতু তাজরীন কারখানাটি কবে চালু করা হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই লে আউট সুবিধার পরিবর্তে শ্রমিকদের ছাঁটাই সুবিধা দেওয়া হবে।
কিসের ভিত্তিতে শ্রমিক সংখ্যা ৯৯০ জন নির্ধারণ করা হলো- জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, কারখানার সুপারভাইজার, লাইন চিফ ও প্রডাকশন ম্যানেজাররা শ্রমিকদের চেনে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই কর্মকর্তাদের পক্ষে কারখানার সব শ্রমিককে চেনা সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এদিকে তাজরীনের মোট শ্রমিকের সংখ্যা আগে এক হাজার ১৬৬ শোনা গেলেও গতকাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সংখ্যাটি হবে ৯৯০ জন। গতকাল পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, নির্ধারিত ৯৯০ জন শ্রমিককে আজ বুধবার মজুরি দেওয়া হবে।
তাজরীন কেন সহায়তা দেয়নি জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিজিএমইএ থেকে আমাকে বলা হয়েছে, এখন সরকার, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। সবার কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা হিসাব করে দেখার পরই আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। বিজিএমইএর নির্দেশনা মোতাবেক আমি আহত ও নিহত শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।'
এ বিষয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যে ছয় লাখ করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, তাতে তাজরীন গার্মেন্টের মালিকের কানাকড়িও নেই। এভাবে কোনো মালিককে ছেড়ে দেওয়া হলে কারখানায় শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে না।' তিনি বলেন, 'মালিকের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই ১২৪ জনেরও বেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে। বেওয়ারিশ হিসেবে ৫২ লাশ দাফন করা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক শ্রমিকের লাশ পুড়ে একেবারেই ছাই হয়ে গেছে। যাদের লাশ পাওয়া গেছে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। তবে যারা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, তাদের পরিবার লাশ, আর্থিক সহায়তা- কোনটাই পেল না। এটা খুবই নির্মম।'
শ্রমিকের সংখ্যা কত : কারখানার অন্য শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া নিয়ে চলছে কালক্ষেপণ। শ্রমিকের সংখ্যা নিয়েও দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। কারণ তাজরীন কারখানার শ্রমিকদের নাম, পদবি ও মজুরির হিসাব থাকা রেজিস্ট্রার খাতাটিও আগুনে পুড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে শ্রমিকদের বিষয়ে আর কোনো তথ্য নেই।
গত রবিবার শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেছিলেন, মালিকরা তাঁকে জানিয়েছেন, আগুনে পোড়া তাজরীন ফ্যাশনসে শ্রমিক সংখ্যা এক হাজার ১৬৬ জন। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল মঙ্গলবার বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলা হলো, তাজরীনের শ্রমিক সংখ্যা ৯৯০ জন। বলা হচ্ছে, কারখানার সুপারভাইজার, লাইন চিফ ও প্রডাকশন ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে এ সংখ্যা নির্ধারণ করেছে বিজিএমইএ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ও তা মেনে নিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দুই দিনের হিসাবে ফারাক ১৭৬ জন শ্রমিক, তারা তাহলে গেল কোথায়?
কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর গত ২৫ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক দেলোয়ার হোসেন নিজেই কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, 'গত রমজান মাসে এক হাজার ১৩৭ জন শ্রমিক ছিল। ঈদে বাড়ি যাওয়ার পর কিছু শ্রমিক আসেনি। আবার নতুন করেও অনেক শ্রমিক নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকৃত শ্রমিক কতজন তাও আমরা জানি না।' এ অবস্থায় প্রকৃত শ্রমিকসংখ্যা এসব হিসাবের চেয়েও কমিয়ে দেখাল বিজিএমইএ।
তাজরীন ফ্যাশনসসহ আরো ছয়টি কারখানা নিয়ে দেলোয়ার হোসেন গড়ে তুলেছেন তুবা গ্রুপ। গ্রুপটির একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের নানা তথ্যও রয়েছে। তবে গুলশানে অবস্থিত গ্রুপটির প্রধান কার্যালয়ে শ্রমিকদের ব্যাপারে নেই কোনো তথ্য এবং এই না থাকার কোনো কারণও দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে জানাতে পারেননি।
গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু বলেন, দেলোয়ার হোসেন তাজরীন ফ্যাশনসের কোনো শ্রমিককেই নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র দেননি। নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র দেওয়া হলে প্রধান কার্যালয়ে সেসব তথ্য সংরক্ষিত থাকার কথা।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, তুবা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অবশ্যই শ্রমিকদের ব্যাপারে তথ্য রয়েছে। শ্রমিকদের আগের দিনের ওভারটাইমের হিসাবও তো তারা রেখেছে। তাদের কম্পিউটারে এ-সংক্রান্ত সব তথ্য নিশ্চয়ই আছে। এখন যাতে নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে অর্থ না দিতে হয় সে জন্যই মালিকরা তথ্য গোপন করছে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে সহজেই নিহত শ্রমিকদের পরিচয় ও তাদের নিকটাত্মীয়দের খুঁজে বের করা সম্ভব। তা না করে ডিএনএ টেস্টের নামে সময় নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রবীণ এ শ্রমিক নেতা।
আজ বুধবার মজুরি : গতকাল পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, নির্ধারিত ৯৯০ জন শ্রমিককে বুধবার মজুরি দেওয়া হবে। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রম আইন অনুযায়ী পুরনো শ্রমিকদের প্রত্যেককে এক মাসের মজুরির সঙ্গে ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা করে দেওয়া হবে। আর নতুন শ্রমিকরা পাবে এক মাসের মজুরির সঙ্গে বাড়তি এক হাজার টাকা। সকাল সাড়ে ১০টায় আশুলিয়ার আইআরআই চত্বরে পোশাক শিল্প মালিক নেতা এবং শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধ করা হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেহেতু তাজরীন কারখানাটি কবে চালু করা হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই লে আউট সুবিধার পরিবর্তে শ্রমিকদের ছাঁটাই সুবিধা দেওয়া হবে।
কিসের ভিত্তিতে শ্রমিক সংখ্যা ৯৯০ জন নির্ধারণ করা হলো- জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, কারখানার সুপারভাইজার, লাইন চিফ ও প্রডাকশন ম্যানেজাররা শ্রমিকদের চেনে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই কর্মকর্তাদের পক্ষে কারখানার সব শ্রমিককে চেনা সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
No comments