বাসের দাম আছে, দাম নেই ঢাবি শিক্ষার্থীর প্রাণের! by মাহমুদুল হাসান
হরতালেও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাস্তায় বাস পাবেন না ভেবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন দর্শন বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষার্থী ফাহমিদা মিলি।
মিরপুর ১০ থেকে বাসে ওঠার পরপরই পিকেটারদের ছুড়ে মারা ইটে ভেঙে পড়ে বাসের জানালা। ভাঙা কাঁচে গুরুতরভাবে কেটে যায় মিলির গাল ও গলা। তাৎক্ষণিক তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কেটে যাওয়া ক্ষতগুলোতে দেওয়া হয় ৭ টি সেলাই।
পরীক্ষা মিলিকে দিতেই হবে কারণ এটি তার মার্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা। তাই অনেকটা জোর করেই তিনি চলে আসেন ক্যাম্পাসে। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চার ঘন্টার পরীক্ষায়্ও অংশ নেন।
পরীক্ষা শেষে দ্রুত মিলিকে পাঠানো হয় তার বাসায়। কিন্তু এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তার বন্ধুরা। মিলির সহপাঠি আঁখি ক্ষোভের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, “এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কেন পরীক্ষা দিতে আসতে হবে।”
পরীক্ষা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ ছিলো বলেই মিলিকে পাবলিক বাসে চেপে এই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে বলে জানান আঁখি।
হরতালে বাস বন্ধ করা হবে কিন্তু পরীক্ষা চলবে। তাহলে কি ছাত্র-ছাত্রীর প্রানের চেয়ে বাসের দাম বেশি হয়ে গেলো? প্রশ্ন এই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হরতালের দিন পরীক্ষা নেওয়া হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলি ছাড়া হয় না। ফলে বিভিন্ন পাবলিক বাস ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে হয়।
তাদের মতে, হরতালে পিকেটারদের ভাংচুর কিংবা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হতে পারে এই ভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি বাংলানিউজের কাছে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাও।
তারা জানান, আগে হরতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ ও পরীক্ষা নেওয়া হতো না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই হরতালেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভংচুর বা অগ্নিসংযোগ হতে পারে এই আশঙ্কায় বাস বন্ধ রাখা হয়। ডিসেম্বর মাসের ৫টি হরতাল ও ১ টি অবরোধের দিন প্রায় সবকটি রুটেই বাস চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিহন বিভাগের হিসাব মতে, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ৮০ টি বাস চলাচল করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এক দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল থাকে বন্ধ, অন্যদিকে পিকেটারদের ভয়ে অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন থাকে বন্ধ। ফলে পরীক্ষা দিতে রাস্তায় নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় নানা রকম দূর্ভোগ। এদের মধ্যে কেউ কেউ রাজধানীর বাইরে এর সংলগ্ন বিভিন্ন স্থান থেকেও আসেন।
টঙ্গী থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ঢাবি শিক্ষার্থী রিফাত রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তাদের হরতালের দিনে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পাওয়া যায়না, পাওয়া যায়না পাবলিক বাসও। কখনো রিকশা, কখনো সিএনজি দিয়ে ভেঙে ভেঙে আসতে হয় পুরো রাস্তা। সারাটা সময় আসতে হয় এক ধরণের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে।
এ বিষয়ে সিনিয়র পরিবহণ ম্যানেজার আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, হরতাল ও অবরোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ বাস চলাচল করেনি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যায়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর হরতালে ১১ টি পরীক্ষা, ৯ ডিসেম্বর অবরোধে ১৯ টি পরীক্ষা, ১১ ডিসেম্বর হরতালে ১৪ টি, ১৩ ডিসম্বর হরতালে ১৪ টি, ১৮ সিসেম্বর হরতালে ৮টি এবং ২০ ডিসেম্বর ১২টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কলা ভবন ও কার্জন হল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিভাগের এই ৭৮ টি পরীক্ষায় প্রায় ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে অংশ নিতে হয়।
কারো কারো পক্ষে এই যাতায়ত এতটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে যে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো শিক্ষার্থীরা বিরোধীতা করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকেও বিরত থাকে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র জানায়, ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা হরতালে ২ টি পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ৯ ডিসেম্বর অবরোধে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেন নি। এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের একটি পরীক্ষায় ১২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা এই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগ থেকে তাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে। পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া হবে কি-না এমন কোন কিছু ষ্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন।
‘হরতালে পরীক্ষা কেন নেওয়া হচ্ছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশেই আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, “পরীক্ষা দিতে আসার পথে পিকেটারদের হাতে ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। তবে আমরা মূলত সেশন জট দূর করতেই পরীক্ষা নিচ্ছি। শিক্ষার্থীরাও আমাদের এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারা যাতে হরতাল থাকেলে তার আগের দিনই ক্যাম্পাসে এসে হলে অবস্থান করে। হল প্রশাসনকেও এ বিষয়ে সাহায্য করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু হরতালের নামে এভাবে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে আহত করা কারো কারো প্রাণ কেড়ে নেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরতালে পরীক্ষা নেওয়ার বিপক্ষে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, বাস যদি আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয় থাকে তাহলে হরতালে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদেরও এ রকম ঝুঁকি থাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিৎ হরতাল অবরোধের দিন পরীক্ষা না নেওয়া।
পরীক্ষা নিতে হলে শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কি সেটা পারবে? প্রশ্ন রোবায়েত ফেরদৌসের।
হরতালে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না।
পরীক্ষা শেষে দ্রুত মিলিকে পাঠানো হয় তার বাসায়। কিন্তু এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তার বন্ধুরা। মিলির সহপাঠি আঁখি ক্ষোভের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, “এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কেন পরীক্ষা দিতে আসতে হবে।”
পরীক্ষা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ ছিলো বলেই মিলিকে পাবলিক বাসে চেপে এই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে বলে জানান আঁখি।
হরতালে বাস বন্ধ করা হবে কিন্তু পরীক্ষা চলবে। তাহলে কি ছাত্র-ছাত্রীর প্রানের চেয়ে বাসের দাম বেশি হয়ে গেলো? প্রশ্ন এই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হরতালের দিন পরীক্ষা নেওয়া হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলি ছাড়া হয় না। ফলে বিভিন্ন পাবলিক বাস ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে হয়।
তাদের মতে, হরতালে পিকেটারদের ভাংচুর কিংবা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হতে পারে এই ভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি বাংলানিউজের কাছে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাও।
তারা জানান, আগে হরতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ ও পরীক্ষা নেওয়া হতো না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই হরতালেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভংচুর বা অগ্নিসংযোগ হতে পারে এই আশঙ্কায় বাস বন্ধ রাখা হয়। ডিসেম্বর মাসের ৫টি হরতাল ও ১ টি অবরোধের দিন প্রায় সবকটি রুটেই বাস চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিহন বিভাগের হিসাব মতে, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ৮০ টি বাস চলাচল করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এক দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল থাকে বন্ধ, অন্যদিকে পিকেটারদের ভয়ে অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন থাকে বন্ধ। ফলে পরীক্ষা দিতে রাস্তায় নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় নানা রকম দূর্ভোগ। এদের মধ্যে কেউ কেউ রাজধানীর বাইরে এর সংলগ্ন বিভিন্ন স্থান থেকেও আসেন।
টঙ্গী থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ঢাবি শিক্ষার্থী রিফাত রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তাদের হরতালের দিনে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পাওয়া যায়না, পাওয়া যায়না পাবলিক বাসও। কখনো রিকশা, কখনো সিএনজি দিয়ে ভেঙে ভেঙে আসতে হয় পুরো রাস্তা। সারাটা সময় আসতে হয় এক ধরণের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে।
এ বিষয়ে সিনিয়র পরিবহণ ম্যানেজার আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, হরতাল ও অবরোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ বাস চলাচল করেনি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যায়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর হরতালে ১১ টি পরীক্ষা, ৯ ডিসেম্বর অবরোধে ১৯ টি পরীক্ষা, ১১ ডিসেম্বর হরতালে ১৪ টি, ১৩ ডিসম্বর হরতালে ১৪ টি, ১৮ সিসেম্বর হরতালে ৮টি এবং ২০ ডিসেম্বর ১২টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কলা ভবন ও কার্জন হল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিভাগের এই ৭৮ টি পরীক্ষায় প্রায় ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে অংশ নিতে হয়।
কারো কারো পক্ষে এই যাতায়ত এতটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে যে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো শিক্ষার্থীরা বিরোধীতা করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকেও বিরত থাকে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র জানায়, ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা হরতালে ২ টি পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ৯ ডিসেম্বর অবরোধে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেন নি। এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের একটি পরীক্ষায় ১২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা এই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগ থেকে তাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে। পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া হবে কি-না এমন কোন কিছু ষ্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন।
‘হরতালে পরীক্ষা কেন নেওয়া হচ্ছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশেই আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, “পরীক্ষা দিতে আসার পথে পিকেটারদের হাতে ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। তবে আমরা মূলত সেশন জট দূর করতেই পরীক্ষা নিচ্ছি। শিক্ষার্থীরাও আমাদের এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারা যাতে হরতাল থাকেলে তার আগের দিনই ক্যাম্পাসে এসে হলে অবস্থান করে। হল প্রশাসনকেও এ বিষয়ে সাহায্য করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু হরতালের নামে এভাবে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে আহত করা কারো কারো প্রাণ কেড়ে নেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরতালে পরীক্ষা নেওয়ার বিপক্ষে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, বাস যদি আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয় থাকে তাহলে হরতালে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদেরও এ রকম ঝুঁকি থাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিৎ হরতাল অবরোধের দিন পরীক্ষা না নেওয়া।
পরীক্ষা নিতে হলে শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কি সেটা পারবে? প্রশ্ন রোবায়েত ফেরদৌসের।
হরতালে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না।
No comments