যা নিয়ে আছি- প্রতিনিয়তই এগোচ্ছে দেশ
আতিক রহমান, জলবায়ু ও পরিবেশবিশেষজ্ঞ। বর্তমানে সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা কেন চিন্তা করি পাঠক হিসেবে আমি বিচিত্রগামী—সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শনসহ বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে ভালোবাসি।
সাধারণত বিমানভ্রমণ বা গাড়িতে চলাচলের পথেই পড়ালেখা করি এখন। এ ছাড়া অনেক সময় রাতের দিকেও বইপত্র পড়ি। এখন পড়ছি সুন্দর একটি বই দ্য বিগিনিং অব ইনফিনিটি। লেখক তরুণ দার্শনিক ডেভিড ডয়েস। এটি মূলত বিজ্ঞাননির্ভর বই। বিজ্ঞানের মাধ্যমে কীভাবে জ্ঞানের জন্ম হয় এবং কীভাবে ওই জ্ঞান চিন্তার বিভিন্ন পদ্ধতি ও কাঠামোর জন্ম দেয়, সেসব সবিস্তারে লেখা আছে এই বইয়ে। আমরা কেন চিন্তা করি, জীবজগতের অন্য প্রাণীরা কেন চিন্তা করে না—সবকিছু বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডেভিড চমৎকার দার্শনিক ব্যাখ্যা হাজির করেছেন এখানে। বইটি পড়তে গিয়ে যেমন নতুন ভাবনার খোরাক পাচ্ছি, তেমনি উদ্দীপনাও বোধ করছি।
আমার মাথা নত করে দাও
সংগীতে আমার প্রথম পক্ষপাত বাংলা গানের প্রতি। বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত ও পুরোনো দিনের গান। বাণীপ্রধান গানই পছন্দ। বেশি ভালো লাগে রবীন্দ্রনাথের পূজার গান। ওই গানগুলোর মধ্যে একধরনের সমর্পণ আছে, যা শান্তি দেয় আমাকে। প্রিয় শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস, পঙ্কজ মল্লিক, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সাদী মহম্মদ ও অদিতি মহসিন। এঁদের যে কারও কণ্ঠে ‘আমার মাথা নত করে দাও তোমার চরণ ধুলার তলে, সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে’ অথবা ‘ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু’—এসব গানের কথা ও সুরের মূর্ছনা যেন মুহূর্তেই যে কাউকে নিয়ে যেতে পারে মানসিক পরিতৃপ্তির অন্য এক জগতে।
সুন্দরের ছড়াছড়ি চারপাশে!
একসময় প্রায়ই বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনীতে যাওয়া হতো। বিশেষত যখন স্কটল্যান্ডে ছিলাম, তখন নিয়ম করে প্রতি রোববার প্রদর্শনী দেখতে যেতাম। আবার ভ্যান গঘ মিউজিয়ামে ভ্যান গঘের চিত্রসম্ভারের দিকে তাকিয়ে কতবার বিস্ময় জেগেছে! মনে হয়েছে, হাহাকারময় সুন্দরের ছড়াছড়ি চারপাশে! বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, আমিনুল ইসলাম আমাকে খুব টানেন।
আড্ডার স্বভাব
বরাবরই আমি আড্ডাবাজ মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনে আড্ডা দিয়েছি শরিফ মিয়ার ক্যানটিনে। লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং আমি ছিলাম সহপাঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ও হুমায়ূন দারুণ আড্ডার সময় পার করেছি। আমার সেই আড্ডার স্বভাব এখনো বহাল। মাঝেমধ্যে মনে হয়, আড্ডাই জ্ঞান-বিজ্ঞান বিশ্লেষণের আধার।
উজ্জ্বল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। যদিও আমাদের দেশে শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব আছে, তবুও জন্মহার রোধ, কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই এগোচ্ছে দেশ—এটা ভেবে বুকটা বড় হয়ে ওঠে।
আমার মাথা নত করে দাও
সংগীতে আমার প্রথম পক্ষপাত বাংলা গানের প্রতি। বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত ও পুরোনো দিনের গান। বাণীপ্রধান গানই পছন্দ। বেশি ভালো লাগে রবীন্দ্রনাথের পূজার গান। ওই গানগুলোর মধ্যে একধরনের সমর্পণ আছে, যা শান্তি দেয় আমাকে। প্রিয় শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস, পঙ্কজ মল্লিক, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সাদী মহম্মদ ও অদিতি মহসিন। এঁদের যে কারও কণ্ঠে ‘আমার মাথা নত করে দাও তোমার চরণ ধুলার তলে, সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে’ অথবা ‘ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু’—এসব গানের কথা ও সুরের মূর্ছনা যেন মুহূর্তেই যে কাউকে নিয়ে যেতে পারে মানসিক পরিতৃপ্তির অন্য এক জগতে।
সুন্দরের ছড়াছড়ি চারপাশে!
একসময় প্রায়ই বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনীতে যাওয়া হতো। বিশেষত যখন স্কটল্যান্ডে ছিলাম, তখন নিয়ম করে প্রতি রোববার প্রদর্শনী দেখতে যেতাম। আবার ভ্যান গঘ মিউজিয়ামে ভ্যান গঘের চিত্রসম্ভারের দিকে তাকিয়ে কতবার বিস্ময় জেগেছে! মনে হয়েছে, হাহাকারময় সুন্দরের ছড়াছড়ি চারপাশে! বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, আমিনুল ইসলাম আমাকে খুব টানেন।
আড্ডার স্বভাব
বরাবরই আমি আড্ডাবাজ মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনে আড্ডা দিয়েছি শরিফ মিয়ার ক্যানটিনে। লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং আমি ছিলাম সহপাঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ও হুমায়ূন দারুণ আড্ডার সময় পার করেছি। আমার সেই আড্ডার স্বভাব এখনো বহাল। মাঝেমধ্যে মনে হয়, আড্ডাই জ্ঞান-বিজ্ঞান বিশ্লেষণের আধার।
উজ্জ্বল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। যদিও আমাদের দেশে শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব আছে, তবুও জন্মহার রোধ, কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই এগোচ্ছে দেশ—এটা ভেবে বুকটা বড় হয়ে ওঠে।
No comments