যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষ- ঘাটারচরে গণহত্যায় কাদের মোল্লা অংশ নিয়েছিলেন
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেছেন, কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরের গণহত্যায় কাদের মোল্লা অংশ নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যে এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন চলছে।
যুক্তি উপস্থাপনের সময় কাদের মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গতকাল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগ প্রমাণের জন্য যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে তিনি ৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণের জন্য যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। গত তিন দিনে রাষ্ট্রপক্ষ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১ ও ২ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত ৩ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেন, একাত্তরের ২৯ মার্চ মিরপুরের নিজ বাড়িতে সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যাকাণ্ডে কাদের মোল্লা জড়িত ছিলেন। এটি রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী খন্দকার আবু তালেবের ছেলে খন্দকার আবুল আহসান ও ১০ম সাক্ষী সৈয়দ আবদুল কাইয়ুমের সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
চতুর্থ অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, একাত্তরের ২৫ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, সেখানে কাদের মোল্লা অংশ নিয়েছিলেন। এটি রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম, সপ্তম ও অষ্টম সাক্ষীর সাক্ষ্য থেকে প্রমাণিত হয়।
ঘাটারচরে ওই দিন শতাধিক গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়েছিল।
বেলা একটায় মধ্যাহ্নবিরতি হয়। প্রথমার্ধে ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের মাত্র একজন আইনজীবী সাজ্জাদ আলী উপস্থিত ছিলেন। বিরতি শেষে বেলা দুইটার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বলেন, হরতালের কারণে প্রথমার্ধে আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ কোনো আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে পারেননি। এ জন্য তিনি ৪ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে আবারও রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানান। ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি একাত্তরের ২৪ এপ্রিল পল্লবী থানার আলুব্দী (আলোকদী) গ্রামে সংঘটিত গণহত্যা-সংক্রান্ত ৫ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম ২৬ ডিসেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
আলুব্দী গ্রামে ওই দিন ৩৪৪ জনকে হত্যা করা হয়।
যুক্তি উপস্থাপনের সময় কাদের মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গতকাল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগ প্রমাণের জন্য যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে তিনি ৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণের জন্য যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। গত তিন দিনে রাষ্ট্রপক্ষ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১ ও ২ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত ৩ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেন, একাত্তরের ২৯ মার্চ মিরপুরের নিজ বাড়িতে সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যাকাণ্ডে কাদের মোল্লা জড়িত ছিলেন। এটি রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী খন্দকার আবু তালেবের ছেলে খন্দকার আবুল আহসান ও ১০ম সাক্ষী সৈয়দ আবদুল কাইয়ুমের সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
চতুর্থ অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, একাত্তরের ২৫ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, সেখানে কাদের মোল্লা অংশ নিয়েছিলেন। এটি রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম, সপ্তম ও অষ্টম সাক্ষীর সাক্ষ্য থেকে প্রমাণিত হয়।
ঘাটারচরে ওই দিন শতাধিক গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়েছিল।
বেলা একটায় মধ্যাহ্নবিরতি হয়। প্রথমার্ধে ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের মাত্র একজন আইনজীবী সাজ্জাদ আলী উপস্থিত ছিলেন। বিরতি শেষে বেলা দুইটার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বলেন, হরতালের কারণে প্রথমার্ধে আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ কোনো আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে পারেননি। এ জন্য তিনি ৪ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে আবারও রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানান। ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি একাত্তরের ২৪ এপ্রিল পল্লবী থানার আলুব্দী (আলোকদী) গ্রামে সংঘটিত গণহত্যা-সংক্রান্ত ৫ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম ২৬ ডিসেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
আলুব্দী গ্রামে ওই দিন ৩৪৪ জনকে হত্যা করা হয়।
No comments