এডিজির বদলি নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ক্ষোভ হতাশা
খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) এনায়েত হুসাইনকে বদলি করা নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা গেছে, প্রশাসন ব্যাচের এই কর্মকর্তা দুই বছর আগে প্রেষণে এডিজি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত করে বড় বড় অনিয়ম খুঁজে বের করেন।
তাঁকে বদলি করে জুনিয়র একজনকে এডিজি করায় বিসিএস (ফুড) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন গতকাল বৃহস্পতিবার খাদ্যসচিব মুশফিকা ইকফাতের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সচিব ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনায়েত হুসাইনকে গত বুধবার খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক পদে। একই দিনে খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান ১৯৮৪ ব্যাচের ফুড ক্যাডার কর্মকর্তা সরকারের যুগ্ম সচিব মাহফুজুল হক। এ পদে থেকে তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকদের নিয়ন্ত্রণ করবেন। এ নিয়োগের ফলে মাহফুজুল হক জুনিয়র কর্মকর্তা হয়েও খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকদের ওপরের ধাপে উঠে যান। কারণ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকরা ১৯৮২ ব্যাচের ফুড ক্যাডার কর্মকর্তা। অতীতে মাহফুজুল হক এই পরিচালকদের অধীনে চাকরি করেছেন।
গতকাল সকালে খাদ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে মাহফুজুল হকের নিয়োগের খবর পৌঁছালে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়। তারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খানের কাছে প্রতিবাদ জানায়। বিকেলে খাদ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যসচিবের কক্ষে কর্মকর্তারা অভিযোগ করে, এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীর (খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক) ইচ্ছায়। তিনি সব জায়গায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও তাঁর নিজ জেলা টাঙ্গাইলের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেন।
বিসিএস ফুড ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নতুন এডিজি মাহফুজুল হক ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। অন্যদিকে একই ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তারা পরিচালক পদে কর্মরত আছে। মাহফুজুল হক তাদের অধীনে ইতিপূর্বে কর্মরত ছিলেন। জুনিয়র কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে পদায়ন করায় খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা খাদ্যসচিবের কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছি।'
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এনায়েত হুসাইন নানা ধরনের অনিয়ম তুলে ধরে অনেকের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন। এজন্য তাঁকে সরিয়ে সেখানে বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারের শেষ সময়ে অতীতেও এ ধরনের নিয়োগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা আরো জানিয়েছে, বর্তমান সরকার চট্টগ্রামের হালিশহরে প্রায় এক লাখ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৯১টি খাদ্যগুদাম নির্মাণ করছে। এসব গুদামে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে এনায়েত হুসাইন তা পরিদর্শনে যান। তিনি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হাতেনাতে ধরেন। সরকারের একটি খাদ্য গুদাম অর্ধশত বছরের টার্গেট নিয়ে নির্মাণ করা হয়। এসব গুদাম নির্মাণে উন্নতমানের ইট, রড, সিমেন্ট ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব বিধিবিধান উপেক্ষা করে সেখানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল। এনায়েত হুসাইন তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন, হাত দিয়ে ধরলে যে ইট ভেঙে যায় সেই ইট দিয়ে গুদাম নির্মাণ করা হলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে। তাঁর এ প্রতিবেদন পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খানসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারক। এ-সংক্রান্ত খবর কালের কণ্ঠে ছাপা হলে এনায়েত হুসাইনের প্রতি কঠোর হয়ে ওঠেন তাঁরা। কঙ্বাজারের খাদ্য পরিদর্শক জিয়াউল করীম মো. তারেক ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে খাগড়াছড়ির জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও রামগড়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হয়রানি করে। এ ঘটনাও তদন্ত করেন এনায়েত হুসাইন। তদন্ত শেষে তারেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। কিন্তু তারেকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ভালো জায়গায় 'প্রাইজ পোস্টিং' দেওয়া হয়। খাদ্য পরিদর্শকদের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনায়ও একটি অংশ এনায়েত হুসাইনের প্রতি রুষ্ট ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনায়েত হুসাইনকে গত বুধবার খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক পদে। একই দিনে খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান ১৯৮৪ ব্যাচের ফুড ক্যাডার কর্মকর্তা সরকারের যুগ্ম সচিব মাহফুজুল হক। এ পদে থেকে তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকদের নিয়ন্ত্রণ করবেন। এ নিয়োগের ফলে মাহফুজুল হক জুনিয়র কর্মকর্তা হয়েও খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকদের ওপরের ধাপে উঠে যান। কারণ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকরা ১৯৮২ ব্যাচের ফুড ক্যাডার কর্মকর্তা। অতীতে মাহফুজুল হক এই পরিচালকদের অধীনে চাকরি করেছেন।
গতকাল সকালে খাদ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে মাহফুজুল হকের নিয়োগের খবর পৌঁছালে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়। তারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খানের কাছে প্রতিবাদ জানায়। বিকেলে খাদ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যসচিবের কক্ষে কর্মকর্তারা অভিযোগ করে, এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীর (খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক) ইচ্ছায়। তিনি সব জায়গায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও তাঁর নিজ জেলা টাঙ্গাইলের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেন।
বিসিএস ফুড ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নতুন এডিজি মাহফুজুল হক ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। অন্যদিকে একই ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তারা পরিচালক পদে কর্মরত আছে। মাহফুজুল হক তাদের অধীনে ইতিপূর্বে কর্মরত ছিলেন। জুনিয়র কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে পদায়ন করায় খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা খাদ্যসচিবের কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছি।'
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এনায়েত হুসাইন নানা ধরনের অনিয়ম তুলে ধরে অনেকের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন। এজন্য তাঁকে সরিয়ে সেখানে বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারের শেষ সময়ে অতীতেও এ ধরনের নিয়োগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা আরো জানিয়েছে, বর্তমান সরকার চট্টগ্রামের হালিশহরে প্রায় এক লাখ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৯১টি খাদ্যগুদাম নির্মাণ করছে। এসব গুদামে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে এনায়েত হুসাইন তা পরিদর্শনে যান। তিনি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হাতেনাতে ধরেন। সরকারের একটি খাদ্য গুদাম অর্ধশত বছরের টার্গেট নিয়ে নির্মাণ করা হয়। এসব গুদাম নির্মাণে উন্নতমানের ইট, রড, সিমেন্ট ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব বিধিবিধান উপেক্ষা করে সেখানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল। এনায়েত হুসাইন তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন, হাত দিয়ে ধরলে যে ইট ভেঙে যায় সেই ইট দিয়ে গুদাম নির্মাণ করা হলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে। তাঁর এ প্রতিবেদন পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খানসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারক। এ-সংক্রান্ত খবর কালের কণ্ঠে ছাপা হলে এনায়েত হুসাইনের প্রতি কঠোর হয়ে ওঠেন তাঁরা। কঙ্বাজারের খাদ্য পরিদর্শক জিয়াউল করীম মো. তারেক ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে খাগড়াছড়ির জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও রামগড়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হয়রানি করে। এ ঘটনাও তদন্ত করেন এনায়েত হুসাইন। তদন্ত শেষে তারেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। কিন্তু তারেকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ভালো জায়গায় 'প্রাইজ পোস্টিং' দেওয়া হয়। খাদ্য পরিদর্শকদের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনায়ও একটি অংশ এনায়েত হুসাইনের প্রতি রুষ্ট ছিল।
No comments