শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত
রংপুর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি শরফুদ্দিন আহমদ ঝন্টু প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। শরফুদ্দিন আহমদ ঝন্টু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে ২৮ হাজার ৪৫০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
ঝন্টু পেয়েছেন এক লাখ ছয় হাজার ২৫৫ ভোট। মোস্তফার প্রাপ্ত ভোট ৭৭ হাজার ৪৫০।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৫৫ মিনিটে শহরের পুলিশ কমিউনিটি হলে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ১৭৮টি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ শেষে ঝন্টুকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এতে দেখা যায়, মেয়র পদে নাগরিক কমিটির প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হাঁস প্রতীকে ৭৭ হাজার ৮০৫ এবং তৃণমূল জাতীয় পার্টির মহানগর আহ্বায়ক আব্দুর রউফ মানিক চশমা প্রতীকে ৩৭ হাজার ২০৮ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান শফি ৪ হাজার ৯৫৪ ভোট, নাগরিক কমিটির প্রার্থী রংপুর সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ কবীর চৌধুরী গুঞ্জন, ১ হাজার ৮৬৮ ভোট, সাবেক বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলা ২১ হাজার ২৩৫, বাসদ নেতা আব্দুল কুদ্দুছ ৯৭৯, ওয়ার্কার্স পার্টির সমর্থিত মাঝিরুল ইসলাম লিটন ৯৫৯, নাগরিক ঐক্য সমর্থিত ডিসিসির অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ফারুক আজিজ শাহিন ২ হাজার ৩১৬, ব্যবসায়ী নেতা আলী হায়দার সরকার দুলু ৫০৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত এএসএম গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
নির্বাচনে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ ভোটারের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ সমান ২ লাখ ৮২ হাজার ১৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৫৩৪টি ভোট বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০৪টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
এসব কেন্দ্রে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ শতাধিক র্যাব, ৪ হাজার ১২৪ জন পুলিশ ও আনসার, ২ প্লাটুন বিজিবি, ৪৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনের একটি পর্যবেক্ষক দল দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। আর ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ভিজিলেন্স টিমের দায়িত্বে। ৫০টি কেন্দ্রে ভিডিও ক্যামেরা বসানো ছিল। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।
এছাড়া ১৭৮ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২ হাজার ১৪০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু মেয়র হওয়ার মধ্য দিয়েই রংপুরে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব সংকটে পড়লো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এরশাদের কথিত জনপ্রিয়তার কোমড় ভেঙ্গে দিয়ে এই অঞ্চলে আবারও আওয়ামী লীগের ভীত মজবুত হলো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সমর্থন নিয়ে নানা নাটকীয়তার জন্ম দেন জাতীয় পর্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
রংপুরের সাধারণ মানুষ এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মতামতের বাইরে গিয়ে নিজের স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মেয়র পদে সমর্থন দিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন এরশাদ।
পড়ে দুর্গ সামলাতে ২৯ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রাঙ্গাকে তুলে নিলেও মাঠে থেকে যায় জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই নেতা একেএম আব্দুর রউফ মানিক ও মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
কিন্তু তাদের দুইজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নিতে এরশাদের নানা নাটকীয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে নেতাকর্মী ও ভোটাররা বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ঝন্টুর ব্যালটে সিল মারেন।
বলা যায়, এরমাধ্যমে এরশাদের রংপুরে দীর্ঘ দুই যুগের একচ্ছত্র আধিপত্য ভেঙে খান খান হয়ে গেলো। গত সাধারণ নির্বাচনে খোদ রংপুরের ৬টি আসনেরই ৩টি আসন জাতীয় পার্টির হাতছাড়া হওয়ার পর রংপুর সিটি করপোরেশন হাতছাড়া হওয়ার মাধ্যমে এই অঞ্চলে জাতীয় পাটি অস্তিত্ব সংকটে পড়লো।
এখন রংপুর সিটি করপোরেশনই আগামী দিনে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ হলো বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এতে দেখা যায়, মেয়র পদে নাগরিক কমিটির প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হাঁস প্রতীকে ৭৭ হাজার ৮০৫ এবং তৃণমূল জাতীয় পার্টির মহানগর আহ্বায়ক আব্দুর রউফ মানিক চশমা প্রতীকে ৩৭ হাজার ২০৮ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান শফি ৪ হাজার ৯৫৪ ভোট, নাগরিক কমিটির প্রার্থী রংপুর সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ কবীর চৌধুরী গুঞ্জন, ১ হাজার ৮৬৮ ভোট, সাবেক বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলা ২১ হাজার ২৩৫, বাসদ নেতা আব্দুল কুদ্দুছ ৯৭৯, ওয়ার্কার্স পার্টির সমর্থিত মাঝিরুল ইসলাম লিটন ৯৫৯, নাগরিক ঐক্য সমর্থিত ডিসিসির অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ফারুক আজিজ শাহিন ২ হাজার ৩১৬, ব্যবসায়ী নেতা আলী হায়দার সরকার দুলু ৫০৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত এএসএম গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
নির্বাচনে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ ভোটারের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ সমান ২ লাখ ৮২ হাজার ১৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৫৩৪টি ভোট বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০৪টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
এসব কেন্দ্রে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ শতাধিক র্যাব, ৪ হাজার ১২৪ জন পুলিশ ও আনসার, ২ প্লাটুন বিজিবি, ৪৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনের একটি পর্যবেক্ষক দল দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। আর ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ভিজিলেন্স টিমের দায়িত্বে। ৫০টি কেন্দ্রে ভিডিও ক্যামেরা বসানো ছিল। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।
এছাড়া ১৭৮ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২ হাজার ১৪০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু মেয়র হওয়ার মধ্য দিয়েই রংপুরে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব সংকটে পড়লো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এরশাদের কথিত জনপ্রিয়তার কোমড় ভেঙ্গে দিয়ে এই অঞ্চলে আবারও আওয়ামী লীগের ভীত মজবুত হলো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সমর্থন নিয়ে নানা নাটকীয়তার জন্ম দেন জাতীয় পর্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
রংপুরের সাধারণ মানুষ এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মতামতের বাইরে গিয়ে নিজের স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মেয়র পদে সমর্থন দিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন এরশাদ।
পড়ে দুর্গ সামলাতে ২৯ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রাঙ্গাকে তুলে নিলেও মাঠে থেকে যায় জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই নেতা একেএম আব্দুর রউফ মানিক ও মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
কিন্তু তাদের দুইজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নিতে এরশাদের নানা নাটকীয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে নেতাকর্মী ও ভোটাররা বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ঝন্টুর ব্যালটে সিল মারেন।
বলা যায়, এরমাধ্যমে এরশাদের রংপুরে দীর্ঘ দুই যুগের একচ্ছত্র আধিপত্য ভেঙে খান খান হয়ে গেলো। গত সাধারণ নির্বাচনে খোদ রংপুরের ৬টি আসনেরই ৩টি আসন জাতীয় পার্টির হাতছাড়া হওয়ার পর রংপুর সিটি করপোরেশন হাতছাড়া হওয়ার মাধ্যমে এই অঞ্চলে জাতীয় পাটি অস্তিত্ব সংকটে পড়লো।
এখন রংপুর সিটি করপোরেশনই আগামী দিনে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ হলো বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
No comments