আর্থিক খাতে প্রযুক্তি প্রকল্প by নুরুন্নবী চৌধুরী
সৃজনশীলতা আর উদ্ভাবনী পরিকল্পনার সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয় হলে দারুণ কিছু করা সম্ভব। আমাদের দেশে অর্থনৈতিক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক সুবিধা ও তথ্যপ্রযুক্তি। এই ধারাকে আরও বেগবান করতে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘সিটি ফাইন্যানশিয়াল আইটি কেস’ প্রতিযোগিতা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজে লাগে—এমন সব তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প নিয়েই হয়ে থাকে এ প্রতিযোগিতা।প্রতিযোগীদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক সিটি ব্যাংকের মানবকল্যাণ সংস্থা সিটি ফাউন্ডেশন। আর আয়োজক বেসরকারি সংস্থা ডেভেলপমেন্ট রিসার্চনেটওয়ার্ক (ডিনেট)।
সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিটি কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘অর্থনীতিতে শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির সফল ব্যবহারের জ্ঞান বাড়ানোই হচ্ছে প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য।’
ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান জানান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি যোগসূত্র এবং প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষার্থীদের এক করতেই চতুর্থবারের মতো এ আয়োজন। প্রতিবারই বাড়ছে প্রকল্প এবং বাড়ছে প্রতিযোগীর সংখ্যা। তিনি বলেন, ‘আগের বিজয়ী প্রকল্পগুলো বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহূত হচ্ছে এবং বিজয়ীরাও বিভিন্নভাবে প্রকল্পগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দলগুলোতে ব্যবসায় শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ন্যূনতম দুজন করে নিয়ে দল গঠিত হয়েছিল। প্রতিটি দলে ছিলেন একজন শিক্ষক, যিনি মেনটর হিসেবে কাজ করেছেন। ৫৯টি দলের প্রকল্পের মধ্যে বিচারকদের রায়ে নির্বাচিত তিনটি প্রকল্পকে চূড়ান্তভাবে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া দুটি প্রকল্প এবং ঢাকার বাইরের একটি প্রকল্পকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় সহযোগী ছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় জমকালো এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা।
বিজয়ী তিন প্রকল্প
কৃষকদের জন্য সহজ ঋণব্যবস্থা
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ কম—এমন কৃষকদের সহজে সঠিক ঋণ তথ্য প্রদানের চমৎকার উপায় নিয়ে তৈরি ‘ফার্মারাস লোন এলিজিবিলিটি চেকারস’ সফটওয়্যার তৈরি করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ‘আইআইটি-জেইউ-থাস্ট্রি ক্রো’ দল। এ দলের সদস্যরা হলেন: শাহনেওয়াজ লিওন, মো. মাহমুদুল হাসান, মো. তানভীর রহমান ও মো. সলিমান ইসলাম। বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে তিন হাজার ডলার।
শাহনেওয়াজ লিউন বলেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যের অভাবে এখনো বেশির ভাগ কৃষকই কৃষিঋণ পান অপ্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক খাত থেকে! যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবছরের ধার্যকৃত কৃষিঋণের বিতরণ কাগজে-কলমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে চলেছে বলে যোগ করলেন দলের আরেক সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান। মো. তানভীর রহমান জানান, ‘কৃষককে সঠিক ঋণ তথ্য প্রদানের উপায় নিয়ে আমরা এ বিশেষ সফটওয়্যারটি তৈরি করেছি। এটি কৃষকের সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচাবে এবং ব্যাংক তাদের ঋণ গ্রাহকদের দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে উপযুক্ত তথ্য দিতে পারবে অত্যন্ত সহজে ও সাশ্রয়ী সময়ে।’
মূল কাজটি হচ্ছে, যেকোনো মুঠোফোন থেকে সহজে কৃষককে ঋণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। বাংলায় এর সহজ ও সঠিক নির্দেশনা কৃষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী এবং এর মাধ্যমে ব্যাংক আগাম ঋণ আবেদন সম্পর্কে জানতে পারায়, তাদের গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবে। এ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন আইআইটির প্রভাষক শামীম আল মামুন।
অ্যাপসে ব্যাংকিং সেবা
প্রচলিত নিয়মে অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স জানা, অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো এসব কাজ করতে হয় ব্যাংকে গিয়ে। এ কাজটিই সহজ করে অ্যাপসের মাধ্যমেই এসব তথ্য পাওয়ার প্রকল্প তৈরি করে প্রথম রানার-আপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘বুয়েট-বিআরবি’ দল। এ দলের সদস্যরা হলেন: মুহাম্মাদ হুসাইন মাহদী, মেহরাব বিন মোরশেদ, তাসলিম আরেফিন খান ও সাদিয়া নাহরীন। ‘ইজি ব্যাংকিং সার্ভিস ভায়া স্মার্ট অ্যাপ’ নামক প্রকল্প করে দলটি পেয়েছে দুই হাজার ডলার পুরস্কার।
‘আমাদের দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতি বেশ সময়সাপেক্ষ’—বললেন দলের সদস্য মেহরাব বিন মোরশেদ। দলের আরেক সদস্য মুহাম্মাদ হুসাইন মাহদী বলেন, ‘গ্রাহক সন্তুষ্টির নানা দিক পর্যালোচনা করেই আমরা তৈরি করেছি বিশেষ অ্যাপস। এর মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের সন্তুষ্টির মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবসার প্রসার ছাড়াও আমাদের সিস্টেমে করপোরেট গ্রাহকদের জন্যও বিশেষ সুবিধা রয়েছে।’
এ অ্যাপসে ব্যাংকিং নানা তথ্য জানার পাশাপাশি এটিএম বুথের অবস্থান দেখা যাবে গুগল ম্যাপসে—জানালেন সাদিয়া নাহরীন। এ দলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমান।
কণ্ঠের মাধ্যমে নিরাপত্তা
অর্থব্যবস্থাপনা খাতকে কণ্ঠের মাধ্যমে নিরাপদ রাখার প্রযুক্তি প্রকল্প তৈরি করে দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে বুয়েটের ‘বুয়েট-বুয়েটিক’ দল। এ দলের সদস্যরা হলেন: এম এইচ এম মাজেদুর রহমান, ইজাজ আহমেদ, মো. মোমেন ভূঁইয়া ও আশিকুল মোস্তফা। ‘ভয়েস ভেরিফিকেশন: টু আপগ্রেড সিকিউরিটিজ ইন ফাইন্যানশিয়াল ইনস্টিটিউশন’ (ভিভিটি) শীর্ষক প্রকল্প করে দলটি পেয়েছে এক হাজার ডলার।
মো. মোমেন ভূঁইয়া বলেন, ‘নিজের কথা বা কণ্ঠস্বরের ওপর নির্ভর করে তৈরি আমাদের এই পদ্ধতি আসলে একধরনের পাসওয়ার্ড পদ্ধতি। ইজাজ আহমেদ সাদি বলেন, ‘একজন গ্রাহক তাঁর যেকোনো সাধারণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে তাঁর কথা বা শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে সে কথা বা শব্দের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে তিনি তাঁর অ্যাকাউন্টের সত্যতা প্রমাণের মধ্য দিয়ে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন সর্বাধিক নিরাপত্তার সঙ্গে সহজেই।’ এ দলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন বুয়েটের ম্যাটারিয়ালস অ্যান্ড ম্যাটারলজিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক তাকিয়ান ফকরুল।
সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিটি কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘অর্থনীতিতে শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির সফল ব্যবহারের জ্ঞান বাড়ানোই হচ্ছে প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য।’
ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান জানান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি যোগসূত্র এবং প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষার্থীদের এক করতেই চতুর্থবারের মতো এ আয়োজন। প্রতিবারই বাড়ছে প্রকল্প এবং বাড়ছে প্রতিযোগীর সংখ্যা। তিনি বলেন, ‘আগের বিজয়ী প্রকল্পগুলো বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহূত হচ্ছে এবং বিজয়ীরাও বিভিন্নভাবে প্রকল্পগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দলগুলোতে ব্যবসায় শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ন্যূনতম দুজন করে নিয়ে দল গঠিত হয়েছিল। প্রতিটি দলে ছিলেন একজন শিক্ষক, যিনি মেনটর হিসেবে কাজ করেছেন। ৫৯টি দলের প্রকল্পের মধ্যে বিচারকদের রায়ে নির্বাচিত তিনটি প্রকল্পকে চূড়ান্তভাবে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া দুটি প্রকল্প এবং ঢাকার বাইরের একটি প্রকল্পকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় সহযোগী ছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় জমকালো এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা।
বিজয়ী তিন প্রকল্প
কৃষকদের জন্য সহজ ঋণব্যবস্থা
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ কম—এমন কৃষকদের সহজে সঠিক ঋণ তথ্য প্রদানের চমৎকার উপায় নিয়ে তৈরি ‘ফার্মারাস লোন এলিজিবিলিটি চেকারস’ সফটওয়্যার তৈরি করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ‘আইআইটি-জেইউ-থাস্ট্রি ক্রো’ দল। এ দলের সদস্যরা হলেন: শাহনেওয়াজ লিওন, মো. মাহমুদুল হাসান, মো. তানভীর রহমান ও মো. সলিমান ইসলাম। বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে তিন হাজার ডলার।
শাহনেওয়াজ লিউন বলেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যের অভাবে এখনো বেশির ভাগ কৃষকই কৃষিঋণ পান অপ্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক খাত থেকে! যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবছরের ধার্যকৃত কৃষিঋণের বিতরণ কাগজে-কলমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে চলেছে বলে যোগ করলেন দলের আরেক সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান। মো. তানভীর রহমান জানান, ‘কৃষককে সঠিক ঋণ তথ্য প্রদানের উপায় নিয়ে আমরা এ বিশেষ সফটওয়্যারটি তৈরি করেছি। এটি কৃষকের সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচাবে এবং ব্যাংক তাদের ঋণ গ্রাহকদের দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে উপযুক্ত তথ্য দিতে পারবে অত্যন্ত সহজে ও সাশ্রয়ী সময়ে।’
মূল কাজটি হচ্ছে, যেকোনো মুঠোফোন থেকে সহজে কৃষককে ঋণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। বাংলায় এর সহজ ও সঠিক নির্দেশনা কৃষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী এবং এর মাধ্যমে ব্যাংক আগাম ঋণ আবেদন সম্পর্কে জানতে পারায়, তাদের গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবে। এ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন আইআইটির প্রভাষক শামীম আল মামুন।
অ্যাপসে ব্যাংকিং সেবা
প্রচলিত নিয়মে অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স জানা, অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো এসব কাজ করতে হয় ব্যাংকে গিয়ে। এ কাজটিই সহজ করে অ্যাপসের মাধ্যমেই এসব তথ্য পাওয়ার প্রকল্প তৈরি করে প্রথম রানার-আপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘বুয়েট-বিআরবি’ দল। এ দলের সদস্যরা হলেন: মুহাম্মাদ হুসাইন মাহদী, মেহরাব বিন মোরশেদ, তাসলিম আরেফিন খান ও সাদিয়া নাহরীন। ‘ইজি ব্যাংকিং সার্ভিস ভায়া স্মার্ট অ্যাপ’ নামক প্রকল্প করে দলটি পেয়েছে দুই হাজার ডলার পুরস্কার।
‘আমাদের দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতি বেশ সময়সাপেক্ষ’—বললেন দলের সদস্য মেহরাব বিন মোরশেদ। দলের আরেক সদস্য মুহাম্মাদ হুসাইন মাহদী বলেন, ‘গ্রাহক সন্তুষ্টির নানা দিক পর্যালোচনা করেই আমরা তৈরি করেছি বিশেষ অ্যাপস। এর মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের সন্তুষ্টির মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবসার প্রসার ছাড়াও আমাদের সিস্টেমে করপোরেট গ্রাহকদের জন্যও বিশেষ সুবিধা রয়েছে।’
এ অ্যাপসে ব্যাংকিং নানা তথ্য জানার পাশাপাশি এটিএম বুথের অবস্থান দেখা যাবে গুগল ম্যাপসে—জানালেন সাদিয়া নাহরীন। এ দলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমান।
কণ্ঠের মাধ্যমে নিরাপত্তা
অর্থব্যবস্থাপনা খাতকে কণ্ঠের মাধ্যমে নিরাপদ রাখার প্রযুক্তি প্রকল্প তৈরি করে দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে বুয়েটের ‘বুয়েট-বুয়েটিক’ দল। এ দলের সদস্যরা হলেন: এম এইচ এম মাজেদুর রহমান, ইজাজ আহমেদ, মো. মোমেন ভূঁইয়া ও আশিকুল মোস্তফা। ‘ভয়েস ভেরিফিকেশন: টু আপগ্রেড সিকিউরিটিজ ইন ফাইন্যানশিয়াল ইনস্টিটিউশন’ (ভিভিটি) শীর্ষক প্রকল্প করে দলটি পেয়েছে এক হাজার ডলার।
মো. মোমেন ভূঁইয়া বলেন, ‘নিজের কথা বা কণ্ঠস্বরের ওপর নির্ভর করে তৈরি আমাদের এই পদ্ধতি আসলে একধরনের পাসওয়ার্ড পদ্ধতি। ইজাজ আহমেদ সাদি বলেন, ‘একজন গ্রাহক তাঁর যেকোনো সাধারণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে তাঁর কথা বা শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে সে কথা বা শব্দের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে তিনি তাঁর অ্যাকাউন্টের সত্যতা প্রমাণের মধ্য দিয়ে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন সর্বাধিক নিরাপত্তার সঙ্গে সহজেই।’ এ দলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন বুয়েটের ম্যাটারিয়ালস অ্যান্ড ম্যাটারলজিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক তাকিয়ান ফকরুল।
No comments