গুজরাটে বিজেপির বিপুল জয়-প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আরেক ধাপ এগোলেন মোদি
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পেয়েছে হিন্দুবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
একই সঙ্গে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে মোদির প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা আরো জোরালো হলো।
গত ১৩ ও ১৭ ডিসেম্বর দুই দফায় গুজরাটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ১১৫টি আসনে জিতেছে। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬১টি আসন। গুজরাট পরিবর্তন দল জিতেছে দুটি আসনে।
গুজরাটে বিজেপির এ সাফল্য অবশ্য অপ্রত্যাশিত নয়। ছয় কোটি জনসংখ্যার গুজরাট অর্থনৈতিকভাবে ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্যগুলোর একটি। যদিও সামগ্রিকভাবে মোদির ভাবমূর্তি খুব পরিচ্ছন্ন নয়। দেশের সবচেয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনীতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গার সময়ও তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওই দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার লোক নিহত হয়। বেশির ভাগই মুসলমান। অভিযোগ রয়েছে, ওই দাঙ্গা বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি তিনি। বরং দাঙ্গায় তাঁর উসকানি ছিল। তবে সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন মোদি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই মোদিকে এখন পর্যন্ত ভিসা দেয় না যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এর মধ্যেও মোদির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে নামার ব্যাপারে অনেকেই আশাবাদী। রাজ্যের প্রধান শহর আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান মোরিস বলেন, 'তিনি (মোদি) দেখিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা তাঁর আছে। মোদির ধাক্কা সামাল দিতে কংগ্রেসকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।' মোদি নিজে অবশ্য কখনোই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গতকাল ফল প্রকাশের পর তাঁর সমর্থকরা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এবারের ভোটকে 'মহড়া' হিসেবে উল্লেখ করেন। বিজেপির মধ্যেও জাতীয় রাজনীতিতে মোদিকে নিয়ে এগোনোর ব্যাপারে অস্বস্তি রয়েছে। নয়াদিলি্লর জওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিষয়ক কেন্দ্রের প্রলয় কানুনগো বলেন, 'একটি রাজ্যে সাফল্য পাওয়ার অর্থ এই নয় যে দল মোদিকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিয়ে আসার জন্য তৈরি হয়ে গেছে। দল ও সম্ভাব্য মিত্রদের সন্তুষ্ট রাখাই এখন তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৪ সালে বিজেপির প্রার্থী হতে মোদিকে এখনো তাঁর রাজনৈতিক দক্ষতায় শান দিতে হবে।'
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস জয়ী
হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। গতকাল প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, মোট ৬৮ আসনের এই বিধানসভায় কংগ্রেস ৩৬ আসনে বিজয়ী হয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ২৪টি। পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী কংগ্রেস নেতা বীরভদ্র সিং আবারও দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৪ নভেম্বর হিমাচলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস, এএফপি।
গত ১৩ ও ১৭ ডিসেম্বর দুই দফায় গুজরাটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ১১৫টি আসনে জিতেছে। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬১টি আসন। গুজরাট পরিবর্তন দল জিতেছে দুটি আসনে।
গুজরাটে বিজেপির এ সাফল্য অবশ্য অপ্রত্যাশিত নয়। ছয় কোটি জনসংখ্যার গুজরাট অর্থনৈতিকভাবে ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্যগুলোর একটি। যদিও সামগ্রিকভাবে মোদির ভাবমূর্তি খুব পরিচ্ছন্ন নয়। দেশের সবচেয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনীতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গার সময়ও তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওই দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার লোক নিহত হয়। বেশির ভাগই মুসলমান। অভিযোগ রয়েছে, ওই দাঙ্গা বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি তিনি। বরং দাঙ্গায় তাঁর উসকানি ছিল। তবে সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন মোদি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই মোদিকে এখন পর্যন্ত ভিসা দেয় না যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এর মধ্যেও মোদির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে নামার ব্যাপারে অনেকেই আশাবাদী। রাজ্যের প্রধান শহর আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান মোরিস বলেন, 'তিনি (মোদি) দেখিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা তাঁর আছে। মোদির ধাক্কা সামাল দিতে কংগ্রেসকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।' মোদি নিজে অবশ্য কখনোই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গতকাল ফল প্রকাশের পর তাঁর সমর্থকরা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এবারের ভোটকে 'মহড়া' হিসেবে উল্লেখ করেন। বিজেপির মধ্যেও জাতীয় রাজনীতিতে মোদিকে নিয়ে এগোনোর ব্যাপারে অস্বস্তি রয়েছে। নয়াদিলি্লর জওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিষয়ক কেন্দ্রের প্রলয় কানুনগো বলেন, 'একটি রাজ্যে সাফল্য পাওয়ার অর্থ এই নয় যে দল মোদিকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিয়ে আসার জন্য তৈরি হয়ে গেছে। দল ও সম্ভাব্য মিত্রদের সন্তুষ্ট রাখাই এখন তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৪ সালে বিজেপির প্রার্থী হতে মোদিকে এখনো তাঁর রাজনৈতিক দক্ষতায় শান দিতে হবে।'
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস জয়ী
হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। গতকাল প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, মোট ৬৮ আসনের এই বিধানসভায় কংগ্রেস ৩৬ আসনে বিজয়ী হয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ২৪টি। পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী কংগ্রেস নেতা বীরভদ্র সিং আবারও দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৪ নভেম্বর হিমাচলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস, এএফপি।
No comments