কালের কণ্ঠের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের নির্দেশে মামলার হিড়িক ছাত্রলীগের
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় দেশের শীর্ষ সারির দৈনিক কালের কণ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় 'ছাত্রনেতা হলেই ধনী' মূল শিরোনামের সঙ্গে ''ছাত্রলীগ 'সোনার ডিম পাড়া হাঁস''' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করার অভিযোগে গতকাল এসব মামলা করা হয়।
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ও প্রতিবেদককে আসামি করে মামলা দায়েরের পর কয়েকজন বাদী জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের নির্দেশেই তাঁরা মামলা করেছেন। কালের কণ্ঠের নামে গতকাল মামলা করা হয়েছে খুলনা, বগুড়া, কুমিল্লা, বাগেরহাট, পাবনা, পটুয়াখালী ও ঝিনাইদহ জেলায়। কুমিল্লা ও বগুড়ার মামলার বাদী স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদকদের কাছে ওপরের চাপ ও নির্দেশে মামলা করার কথা স্বীকার করেছেন।
বগুড়া : বগুড়ায় কালের কণ্ঠের প্রকাশক ও নিজস্ব প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। গতকাল বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ও সদর থানা আমলি আদালতে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলরাজী জুয়েলের দায়ের করা মামলায় কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও নিজস্ব প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. আব্দুল হামিদ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বগুড়ার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী ৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে বাদীর দুই কোটি টাকার মান-সম্মানের ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলরাজী জুয়েল বলেন, সংবাদটি প্রকাশের কারণে ছাত্রলীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় সভাপতি, সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক মামলাসহ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা ছাত্রলীগ করে তাদের সংবাদটি পড়লে খারাপ লাগার কথা। এ বিবেচনা থেকেই মামলা করা হয়েছে।
কুমিল্লা : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নির্দেশে গতকাল কুমিল্লায় কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। এতে কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ও প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়। বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু মামলা আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার পরবর্তী তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি।
মামলা দায়েরের পর আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল কালের কণ্ঠকে জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্দেশে তিনি মামলা করেছেন। ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশ মানা তাঁর দায়িত্ব।
খুলনা : কালের কণ্ঠ সম্পাদক, নিজস্ব প্রতিবেদক ও বার্তা সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে ১০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন পল্টু। গতকাল দুপুরে মহানগর হাকিম মহিবুল হাসানের আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছেন। পল্টু অভিযোগ করেন, এ সংবাদে ছাত্রলীগের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আর্থিক হিসাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, এতে তাঁর (বাদী) ১০ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ছাত্রলীগকে হাঁস এবং এর নেতা-কর্মীদের ডিমের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যা মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ।
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ও প্রতিবেদককে আসামি করে মামলা দায়েরের পর কয়েকজন বাদী জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের নির্দেশেই তাঁরা মামলা করেছেন। কালের কণ্ঠের নামে গতকাল মামলা করা হয়েছে খুলনা, বগুড়া, কুমিল্লা, বাগেরহাট, পাবনা, পটুয়াখালী ও ঝিনাইদহ জেলায়। কুমিল্লা ও বগুড়ার মামলার বাদী স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদকদের কাছে ওপরের চাপ ও নির্দেশে মামলা করার কথা স্বীকার করেছেন।
বগুড়া : বগুড়ায় কালের কণ্ঠের প্রকাশক ও নিজস্ব প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। গতকাল বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ও সদর থানা আমলি আদালতে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলরাজী জুয়েলের দায়ের করা মামলায় কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও নিজস্ব প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. আব্দুল হামিদ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বগুড়ার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী ৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে বাদীর দুই কোটি টাকার মান-সম্মানের ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলরাজী জুয়েল বলেন, সংবাদটি প্রকাশের কারণে ছাত্রলীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় সভাপতি, সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক মামলাসহ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা ছাত্রলীগ করে তাদের সংবাদটি পড়লে খারাপ লাগার কথা। এ বিবেচনা থেকেই মামলা করা হয়েছে।
কুমিল্লা : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নির্দেশে গতকাল কুমিল্লায় কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। এতে কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ও প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়। বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু মামলা আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার পরবর্তী তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি।
মামলা দায়েরের পর আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল কালের কণ্ঠকে জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্দেশে তিনি মামলা করেছেন। ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশ মানা তাঁর দায়িত্ব।
খুলনা : কালের কণ্ঠ সম্পাদক, নিজস্ব প্রতিবেদক ও বার্তা সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে ১০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন পল্টু। গতকাল দুপুরে মহানগর হাকিম মহিবুল হাসানের আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছেন। পল্টু অভিযোগ করেন, এ সংবাদে ছাত্রলীগের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আর্থিক হিসাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, এতে তাঁর (বাদী) ১০ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ছাত্রলীগকে হাঁস এবং এর নেতা-কর্মীদের ডিমের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যা মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ।
No comments