মানসম্পন্ন বিদ্যালয়ের সংকট কাটবে কবে?- শিশুদের ভর্তিযুদ্ধ
প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে রাজধানীসহ কয়েকটি বড় শহরে শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বেধে যায়। আগে সরাসরি মাসুম বাচ্চাদের খাতা-কলম নিয়ে পরীক্ষার হলে বসতে হতো। গত বছর থেকে পরীক্ষার বদলে লটারি চালু হওয়ায় শিশুদের ওপর মানসিক চাপ কমেছে।
কিন্তু অভিভাবকদের মানসিক চাপ মোটেই কমেনি। একটি আসনের বিপরীতে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ৩০-৪০ জন শিশুকে প্রতিযোগিতা করতে হয়। আর এই প্রতিযোগিতার সুযোগে কয়েকটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুদানের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। গত বছর এ রকম তিনটি বিদ্যালয়কে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েও শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা কার্যকর করতে পারেনি।
ভর্তি সমস্যার প্রধান কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা নয়, মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব। রাজধানীতে ২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে হাতে গোনা কয়েকটি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্রও প্রায় অভিন্ন। ঘুরেফিরে কয়েকটি বিদ্যালয়েই ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা যায়। মানসম্পন্ন বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য অভিভাবকেরা মরিয়া হয়ে ওঠেন।
এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় হলো রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে মানসম্পন্ন করা। বেসরকারি বিদ্যালয়ে সুযোগ-সুবিধার তারতম্য থাকলেও সব সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একই বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পড়াশোনার মানে আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকবে কেন? পৃথিবীর সব উন্নত দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় স্থানীয় নাগরিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। আমাদের দেশেও শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে তাঁদের কাছ থেকে অগ্রণী ভূমিকা প্রত্যাশিত।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরীর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এলাকাভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শহরের উত্তরে বসবাসকারী একজন নাগরিক তাঁর সন্তানকে দক্ষিণের কোনো বিদ্যালয়ে পড়ালে যে বাড়তি সময় ও অর্থ খরচ হয়, তার পরিমাণটা একবার হিসাব করুন। এলাকাভিত্তিক মানসম্পন্ন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে রাজধানীতে যানজটের চাপও কমবে। সরকার রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে যে মানসম্পন্ন নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল, তা দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।
ভর্তি সমস্যার প্রধান কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা নয়, মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব। রাজধানীতে ২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে হাতে গোনা কয়েকটি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্রও প্রায় অভিন্ন। ঘুরেফিরে কয়েকটি বিদ্যালয়েই ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা যায়। মানসম্পন্ন বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য অভিভাবকেরা মরিয়া হয়ে ওঠেন।
এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় হলো রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে মানসম্পন্ন করা। বেসরকারি বিদ্যালয়ে সুযোগ-সুবিধার তারতম্য থাকলেও সব সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একই বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পড়াশোনার মানে আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকবে কেন? পৃথিবীর সব উন্নত দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় স্থানীয় নাগরিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। আমাদের দেশেও শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে তাঁদের কাছ থেকে অগ্রণী ভূমিকা প্রত্যাশিত।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরীর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এলাকাভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শহরের উত্তরে বসবাসকারী একজন নাগরিক তাঁর সন্তানকে দক্ষিণের কোনো বিদ্যালয়ে পড়ালে যে বাড়তি সময় ও অর্থ খরচ হয়, তার পরিমাণটা একবার হিসাব করুন। এলাকাভিত্তিক মানসম্পন্ন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে রাজধানীতে যানজটের চাপও কমবে। সরকার রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে যে মানসম্পন্ন নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল, তা দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।
No comments