নীলফামারীতে পুকুর ভরাটে অনিয়মের অভিযোগ by মীর মাহমুদুল হাসান
নীলফামারী পৌর পার্কের পরিত্যক্ত একটি পুকুর ভরাটে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে পুকুর ভরাটের জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির ২১ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নামমাত্র কিছু মাটি ফেলে বরাদ্দ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ প্রথম আলোকে জানান, পার্ক সম্প্রসারণের জন্য পুকুরটি ভরাট করতে ১৬০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ চাওয়া হয়, কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া গেছে ২১ মেট্রিক টন। ওই গম দিয়ে পুকুরের ছয় ভাগের এক ভাগ ভরাট করা হয়েছে এবং পার্কে কিছু মাটি ফেলা হয়েছে। এখন বরাদ্দ না পাওয়ায় শহরের আবর্জনা দিয়ে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে, তার চেয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে। দুর্নীতির প্রশ্নই আসে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নীলফামারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পৌর পার্কের মধ্যে প্রায় এক বিঘা আয়তনের পরিত্যক্ত পুকুরটি শুকনা। এর এক পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। পার্কের পাশ ঘেঁষে শহরের প্রধান সড়ক। পাশে ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কেন্দ্রীয় ঈদগা, অদূরে নীলফামারী মহিলা কলেজ, সাধারণ গ্রন্থাগার ও নীলফামারী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভার আবর্জনা পরিবহনের ট্রাক দিয়ে পুকুরে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পাশের এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা-মাছির উপদ্রবও বাড়ছে। এলাকার বাসিন্দা নুরুল জাকি প্রথম আলোকে জানান, শহরের ডাস্টবিনের আবর্জনা ফেলে পুকুর ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার গন্ধে ওই এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে পার্কে যাওয়া যায় না।
ওই কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান কাউন্সিলর কলিম উদ্দিন জানান, এখানে কোনো দুর্নীতি করা হয়নি। শহরে মাটি পাওয়া যায় না, তাই বাইরে থেকে মাটি কিনে ১৩৫ ট্রাক মাটি ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রলি দিয়েও অনেক মাটি ফেলা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, পার্কে আড়াই ফুট উঁচু করে মাটি ভরাট করা হয়েছে এবং পুকুরেও মাটি ফেলা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি গম দিয়ে পরিশোধ করার নিয়ম থাকলেও কেন তা মানা হয়নি, এ ব্যাপারে তিনি আরও জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) সঙ্গে কথা বলে এটা করা হয়েছে। সেখানে ছয় থেকে সাতজন শ্রমিক ট্রাকে মাটি আনা ও মাটি ফেলে সমান করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
নীলফামারী সদর উপজেলার পিআইও আবুল আসাদ মিয়া বলেন, ‘ওই প্রকল্প সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সে সময় আমি নীলফামারীতে ছিলাম না। এখন ফাইল খুঁজে বিষয়টি দেখব।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, নীলফামারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পৌর পার্কের মধ্যে প্রায় এক বিঘা আয়তনের পরিত্যক্ত পুকুরটি শুকনা। এর এক পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। পার্কের পাশ ঘেঁষে শহরের প্রধান সড়ক। পাশে ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কেন্দ্রীয় ঈদগা, অদূরে নীলফামারী মহিলা কলেজ, সাধারণ গ্রন্থাগার ও নীলফামারী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভার আবর্জনা পরিবহনের ট্রাক দিয়ে পুকুরে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পাশের এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা-মাছির উপদ্রবও বাড়ছে। এলাকার বাসিন্দা নুরুল জাকি প্রথম আলোকে জানান, শহরের ডাস্টবিনের আবর্জনা ফেলে পুকুর ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার গন্ধে ওই এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে পার্কে যাওয়া যায় না।
ওই কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান কাউন্সিলর কলিম উদ্দিন জানান, এখানে কোনো দুর্নীতি করা হয়নি। শহরে মাটি পাওয়া যায় না, তাই বাইরে থেকে মাটি কিনে ১৩৫ ট্রাক মাটি ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রলি দিয়েও অনেক মাটি ফেলা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, পার্কে আড়াই ফুট উঁচু করে মাটি ভরাট করা হয়েছে এবং পুকুরেও মাটি ফেলা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি গম দিয়ে পরিশোধ করার নিয়ম থাকলেও কেন তা মানা হয়নি, এ ব্যাপারে তিনি আরও জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) সঙ্গে কথা বলে এটা করা হয়েছে। সেখানে ছয় থেকে সাতজন শ্রমিক ট্রাকে মাটি আনা ও মাটি ফেলে সমান করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
নীলফামারী সদর উপজেলার পিআইও আবুল আসাদ মিয়া বলেন, ‘ওই প্রকল্প সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সে সময় আমি নীলফামারীতে ছিলাম না। এখন ফাইল খুঁজে বিষয়টি দেখব।’
No comments